Risingbd:
2025-04-10@09:57:04 GMT

‘হবিগঞ্জের নদীগুলো ভালো নেই’

Published: 10th, March 2025 GMT

‘হবিগঞ্জের নদীগুলো ভালো নেই’

“হবিগঞ্জের নদীগুলো ভালো নেই। দখল, দূষণ, বালু ও মাটি উত্তোলনসহ নানা কারণে চরম সংকটে পতিত হয়েছে এখানকার নদীগুলো। এই নদী সমূহকে বাঁচাতে হবে, ভালো রাখতে হবে। নদী ভালো না রাখলে আমরা ভালো থাকব না। সভ্যতা টিকবে না।”

আন্তর্জাতিক নদীকৃত্য দিবসকে সামনে রেখে ‘আমাদের নদী, আমাদের ভবিষ্যৎ’ প্রতিপাদ্যে সোমবার (১০ মার্চ) দুপুরে খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার ও প্ল্যানেটিয়ার্স ক্লাব হবিগঞ্জের আয়োজনে নদীর কথা বলি শীর্ষক এক কর্মসূচিতে বক্তারা একথা বলেন।

হবিগঞ্জের বার্ডস কেজি এন্ড হাই স্কুল প্রাঙ্গণে খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার তোফাজ্জল সোহেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বৃন্দাবন সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পরিবেশ সংগঠক অধ্যাপক মো.

ইকরামুল ওয়াদুদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন বার্ডস কেজি এন্ড হাই স্কুলের অধ্যক্ষ নুর উদ্দিন জাহাঙ্গীর। 

আরো পড়ুন:

নেত্রকোণার ধনু নদ থেকে ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার

পদ্মায় গোসলে নেমে এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু

প্লানেটিয়ার্স ক্লাব হবিগঞ্জের সমন্বয়ক সজীব চন্দ্র গোপের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- শিক্ষক সাদিয়া আরফিন রিকি, কাউসার আহমেদ, তুলনা দেব, মাহমুদা আক্তার, শিক্ষার্থী জেরিন খানম স্বর্ণা, উম্মে সাদাফ সৌমি, ঐশী রায় বর্ষা, তাসিন মোহাম্মদ নাবিল, সাইমা আকতার প্রাবন্তি। 

নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী শ্রাবন্তি বলেন, “এই দেশ আমাদের। দেশের নদীগুলোও আমাদের। অত্যন্ত দুঃখের বিষয় মানবসৃষ্ট বিভিন্ন কারণে আমাদের নদীগুলো হারিয়ে যেতে বসেছে।” 

হবিগঞ্জ পুরাতন খোয়াই নদী দখলমুক্ত করে সাঁতার উপযোগী করার দাবি জানান দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ঐশী রায় বর্ষা।

সপ্তম শ্রেণী শিক্ষার্থী স্বর্ণা ও সৌমি খোয়াই নদীর বন্যা, সুতাং নদীর ভয়াবহ দূষণসহ কয়েকটি নদীর চিত্র তুলে ধরেন তাদের উপস্থাপনায়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক মো. ইকরামুল ওয়াদুদ বলেন, “হবিগঞ্জের পরিবেশ ও প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষার ক্ষেত্রে অপরিহার্য খোয়াই নদী, পুরাতন খোয়াই, সুতাং, সোনাইসহ  অন্যান্য নদী রক্ষার ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা দেখছি না। সরকারের দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান নদী ও পরিবেশ রক্ষায় যথাযথ ভূমিকা পালন না করলে বর্তমানে নদীগুলো যে অবস্থায় রয়েছে ভবিষ্যতে এই অবস্থাও নষ্ট হবার আশঙ্কা রয়েছে।”

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নুর উদ্দিন জাহাঙ্গীর হবিগঞ্জের নদীগুলোর স্বাভাবিক প্রবাহ নিশ্চিতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।

সভাপতির বক্তব্যে তোফাজ্জল সোহেল বলেন, “চরম সংকটে রয়েছে এই অঞ্চলের নদীগুলো। খোয়াই নদীর অভ্যন্তরে এস্কেভেটর, ড্রেজার মেশিন, ট্রাক্টর ঢুকিয়ে অনিয়ন্ত্রিতভাবে মাটি, বালু উত্তোলনের কারণে নদীটি চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে আছে। বর্ষা মৌসুমে মানুষকে বন্যার আশঙ্কায় আতঙ্কে থাকতে হয়। নদী থেকে হারিয়ে যাচ্ছে মাছসহ জলজ প্রাণী।” 

পুরাতন খোয়াই নদী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “নদীটি দখলমুক্ত করার কার্যকর পদক্ষেপ দেখছি না। দিনদিন দখল, ভরাটের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে।”

তিনি বলেন, “কলকারখানার দূষণে সুতাং নদীকে মেরে ফেলা হচ্ছে। দেশের সব আইন অমান্য করে ব্যাপক দূষণ চালিয়ে আসছে কলকারখানাগুলো। নদী পাড়ের গ্রামবাসী ভয়াবহ পরিবেশ ও  মানবিক সংকটে রয়েছেন।”

ঢাকা/মামুন/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর নদ খ য় ই নদ র নদ গ ল পর ব শ আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতের মাতাল বিমানযাত্রী সহযাত্রীর সঙ্গে যে আচরণ করলেন

এয়ার ইন্ডিয়ার এক যাত্রীর বিরুদ্ধে আরেক সহযাত্রীর গায়ে প্রস্রাব করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার দিল্লি থেকে ব্যাংককে যাওয়ার পথে এ ঘটনা ঘটে। এর আগেও ভারতের যাত্রীদের ক্ষেত্রে এমন ঘটনা এটিই প্রথম নয়। তাঁরা একাধিকবার এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছেন। গতকালের ঘটনায় এয়ার ইন্ডিয়া ও ভারত সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলো অভিযোগের ঘটনা খতিয়ে দেখবে বলে ঘোষণা দিয়েছে।

এয়ার ইন্ডিয়ার যে ফ্লাইটে সহযাত্রীর গায়ে প্রস্রাব করার ঘটনা ঘটেছে, সেটার নম্বর এআই২৩৩৬। ভুক্তভোগী যাত্রীর অভিযোগের পর উড়োজাহাজের ক্রুরা ওই ঘটনায় হস্তক্ষেপ করেন।

এক বিবৃতিতে এয়ার ইন্ডিয়া ওই ঘটনাকে ‘উচ্ছৃঙ্খল আচরণ’ বলে মন্তব্য করেছে। এ ঘটনার কথা বেসামরিক বিমান চলাচল অধিদপ্তরকে (ডিজিসিএ) জানিয়েছে তারা এবং অভিযোগ খতিয়ে দেখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

এয়ার ইন্ডিয়া আরও জানিয়েছে, তাদের ক্রুরা যাত্রীদের কাছে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ নিয়ে সতর্কবার্তা জারি করছেন। পাশাপাশি ভুক্তভোগী যাত্রীকে ব্যাংককে নামার পর স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানাতে অনুরোধ করেছেন। তবে ভুক্তভোগী যাত্রী প্রাথমিকভাবে ব্যাংককে অভিযোগ করবেন না বলে জানিয়েছেন।

ভারতের বেসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রী কে রামমোহন নাইডু বলেছেন, ‘যদি কোনো অন্যায় করা হয়ে থাকে, আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’ তাঁর মন্ত্রণালয় বিষয়টি তদন্ত করবে এবং ফ্লাইট পরিচালনা কর্তৃপক্ষগুলোর সঙ্গে কথা বলবে।

ঘটনা খতিয়ে দেখতে এয়ার ইন্ডিয়া একটি স্বাধীন কমিটি গঠনের ঘোষণা দিয়েছে। কমিটি ঘটনা যাচাই করে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানাবে।

এর আগে ২০২৩ সালের মার্চ মাসে আর্য ভোহরা নামের এক ভারতীয় শিক্ষার্থী একটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে সহযাত্রীর গায়ে প্রস্রাব করেছিলেন। এই ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের এয়ারলাইনস তাঁকে নিষিদ্ধ করে। আর্য ভোহরা যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন।

ওই ঘটনার কয়েক মাস পর ২০২৪ সালের নভেম্বরে একই ধরনের আরেকটি ঘটনা ঘটেছিল। তখন শংকর মিশ্র নামের এয়ার ইন্ডিয়ার এক যাত্রী মাতাল অবস্থায় এক বয়স্ক নারী সহযাত্রীর গায়ে প্রস্রাব করে দিয়েছিলেন। এই ঘটনায় বেশ সমালোচনা হয়েছিল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ