Risingbd:
2025-03-10@19:26:54 GMT

‘হবিগঞ্জের নদীগুলো ভালো নেই’

Published: 10th, March 2025 GMT

‘হবিগঞ্জের নদীগুলো ভালো নেই’

“হবিগঞ্জের নদীগুলো ভালো নেই। দখল, দূষণ, বালু ও মাটি উত্তোলনসহ নানা কারণে চরম সংকটে পতিত হয়েছে এখানকার নদীগুলো। এই নদী সমূহকে বাঁচাতে হবে, ভালো রাখতে হবে। নদী ভালো না রাখলে আমরা ভালো থাকব না। সভ্যতা টিকবে না।”

আন্তর্জাতিক নদীকৃত্য দিবসকে সামনে রেখে ‘আমাদের নদী, আমাদের ভবিষ্যৎ’ প্রতিপাদ্যে সোমবার (১০ মার্চ) দুপুরে খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার ও প্ল্যানেটিয়ার্স ক্লাব হবিগঞ্জের আয়োজনে নদীর কথা বলি শীর্ষক এক কর্মসূচিতে বক্তারা একথা বলেন।

হবিগঞ্জের বার্ডস কেজি এন্ড হাই স্কুল প্রাঙ্গণে খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার তোফাজ্জল সোহেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বৃন্দাবন সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পরিবেশ সংগঠক অধ্যাপক মো.

ইকরামুল ওয়াদুদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন বার্ডস কেজি এন্ড হাই স্কুলের অধ্যক্ষ নুর উদ্দিন জাহাঙ্গীর। 

আরো পড়ুন:

নেত্রকোণার ধনু নদ থেকে ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার

পদ্মায় গোসলে নেমে এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু

প্লানেটিয়ার্স ক্লাব হবিগঞ্জের সমন্বয়ক সজীব চন্দ্র গোপের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- শিক্ষক সাদিয়া আরফিন রিকি, কাউসার আহমেদ, তুলনা দেব, মাহমুদা আক্তার, শিক্ষার্থী জেরিন খানম স্বর্ণা, উম্মে সাদাফ সৌমি, ঐশী রায় বর্ষা, তাসিন মোহাম্মদ নাবিল, সাইমা আকতার প্রাবন্তি। 

নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী শ্রাবন্তি বলেন, “এই দেশ আমাদের। দেশের নদীগুলোও আমাদের। অত্যন্ত দুঃখের বিষয় মানবসৃষ্ট বিভিন্ন কারণে আমাদের নদীগুলো হারিয়ে যেতে বসেছে।” 

হবিগঞ্জ পুরাতন খোয়াই নদী দখলমুক্ত করে সাঁতার উপযোগী করার দাবি জানান দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ঐশী রায় বর্ষা।

সপ্তম শ্রেণী শিক্ষার্থী স্বর্ণা ও সৌমি খোয়াই নদীর বন্যা, সুতাং নদীর ভয়াবহ দূষণসহ কয়েকটি নদীর চিত্র তুলে ধরেন তাদের উপস্থাপনায়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক মো. ইকরামুল ওয়াদুদ বলেন, “হবিগঞ্জের পরিবেশ ও প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষার ক্ষেত্রে অপরিহার্য খোয়াই নদী, পুরাতন খোয়াই, সুতাং, সোনাইসহ  অন্যান্য নদী রক্ষার ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা দেখছি না। সরকারের দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান নদী ও পরিবেশ রক্ষায় যথাযথ ভূমিকা পালন না করলে বর্তমানে নদীগুলো যে অবস্থায় রয়েছে ভবিষ্যতে এই অবস্থাও নষ্ট হবার আশঙ্কা রয়েছে।”

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নুর উদ্দিন জাহাঙ্গীর হবিগঞ্জের নদীগুলোর স্বাভাবিক প্রবাহ নিশ্চিতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।

সভাপতির বক্তব্যে তোফাজ্জল সোহেল বলেন, “চরম সংকটে রয়েছে এই অঞ্চলের নদীগুলো। খোয়াই নদীর অভ্যন্তরে এস্কেভেটর, ড্রেজার মেশিন, ট্রাক্টর ঢুকিয়ে অনিয়ন্ত্রিতভাবে মাটি, বালু উত্তোলনের কারণে নদীটি চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে আছে। বর্ষা মৌসুমে মানুষকে বন্যার আশঙ্কায় আতঙ্কে থাকতে হয়। নদী থেকে হারিয়ে যাচ্ছে মাছসহ জলজ প্রাণী।” 

পুরাতন খোয়াই নদী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “নদীটি দখলমুক্ত করার কার্যকর পদক্ষেপ দেখছি না। দিনদিন দখল, ভরাটের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে।”

তিনি বলেন, “কলকারখানার দূষণে সুতাং নদীকে মেরে ফেলা হচ্ছে। দেশের সব আইন অমান্য করে ব্যাপক দূষণ চালিয়ে আসছে কলকারখানাগুলো। নদী পাড়ের গ্রামবাসী ভয়াবহ পরিবেশ ও  মানবিক সংকটে রয়েছেন।”

ঢাকা/মামুন/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর নদ খ য় ই নদ র নদ গ ল পর ব শ আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

দখলমুক্ত হলো সাবেক এমপি জোয়াহেরুলের সেই বাড়িটি 

টাঙ্গাইল শহরে ছাত্র প্রতিনিধি পরিচয়ে সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহেরের ছয়তলা বাড়িটি দখলমুক্ত করা হয়েছে। শনিবার মারইয়াম মুকাদ্দাস মিষ্টি নামের ছাত্র প্রতিনিধি তালা ভেঙে শহরের ছোট কালীবাড়ি রোডের বাড়িতে ‌‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ ব্যক্তিদের এ রাখেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুহুল আমিন শরিফের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ও পুলিশ জোয়াহেরুল ইসলামের বাসভবনে যায়। এরপর ওই বাড়ি থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষদের বের করে সন্তোষ বড়ইতলা এলাকার আগের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়।

সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুহুল আমিন শরিফ বলেন, ১৭ জন মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়েছে। সমাজসেবাসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের পুনর্বাসন করা হবে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে সপরিবারে আত্মগোপনে জোয়াহেরুল ইসলাম। এর মধ্যে ৬ ফেব্রুয়ারি তাঁর বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে জোয়াহেরের বাড়িটি দখল করে আশ্রম করার ঘোষণা দেওয়া হয়।

স্থানীয়রা জানান, সকালে মিষ্টি তালা ভেঙে আল মুকাদ্দাস ফাউন্ডেশনের মানসিক ভারসাম্যহীন ২০ ব্যক্তিকে নিয়ে জোয়াহেরের বাড়িতে প্রবেশ করেন। জানতে চাইলে মিষ্টি বলেন, এটি জবরদখল নয়। কারণ কোনো ব্যক্তিবিশেষের ব্যবহারে বাড়িটি নেওয়া হয়নি। ফেসবুকে আগেই আওয়ামী লীগের সব নেতার বাড়িতে পাগলদের জন্য ‘আশ্রম’ গড়ে তোলার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে শনিবার ছয়তলা ভবনে ২০ পাগল রাখা হয়েছে। এ কাজে তাঁকে অন্যান্য ছাত্র প্রতিনিধি সমর্থন দিয়েছেন বলে জানান।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের টাঙ্গাইলের আহ্বায়ক আল আমিন জানান, মারইয়াম মুকাদ্দাস মিষ্টি নামে এক ছাত্র প্রতিনিধি আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে পাগলের আশ্রম করেছেন বলে তিনি শুনেছেন। তবে তারা এটি সমর্থন করেন না। আল আমিন বলেন, ‘মিষ্টি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছিলেন। তাই বলে তিনি বিশেষ সুবিধা নেবেন, তা কাম্য নয়। এটি ফ্যাসিস্টবিরোধী আন্দোলনের মূল চেতনার সঙ্গে যায় না। তা ছাড়া বর্তমানে কেউ সমন্বয়ক পরিচয় দিতে পারবেন না। বাড়ি দখলের মতো অপরাধ করলে অবশ্যই তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’

জোয়াহেরুল ইসলামের স্ত্রী রওশন আরা খান অভিযোগ করে বলেন, আমাদের কাছে প্রথমে মিষ্টি নামের এক মেয়ে ১০ কোটি টাকা চাঁদা চেয়েছিল। সেই টাকা না দেওয়ায় তারা বাড়ি জবরদখল করেছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দখলমুক্ত হলো সাবেক এমপি জোয়াহেরুলের সেই বাড়ি 
  • দখলমুক্ত হলো সাবেক এমপি জোয়াহেরুলের সেই বাড়িটি 
  • টাঙ্গাইলে দখলমুক্ত করা হলো সাবেক এমপির বাসা