৩ লাশ উদ্ধারের পর নেত্রকোনায় ধনু নদের তীরে কান্নার রোল
Published: 10th, March 2025 GMT
নেত্রকোনার খালিয়াজুরিতে ধনু নদের তীরে কান্নার রোল পড়েছে। শখের বশে মাছ ধরতে গিয়ে গ্রামবাসীদের ধাওয়া খেয়ে ডুবে মারা যাওয়া তিন মাছশিকারির মরদেহ উদ্ধারের পর স্বজনেরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ সময় তাঁদের পাশে থাকা লোকজনের মধ্যেও শোকের ছায়া নেমে আসে। আজ সোমবার বিকেলে নদের নাউটানা ও পেটনা এলাকা থেকে লাশ তিনটি উদ্ধারের পর এ দৃশ্য দেখা যায়।
মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন আটপাড়া উপজেলার রূপচন্দ্রপুর গ্রামের শহিদ মিয়া (৪৯), মদন উপজেলার বাগজান গ্রামের আবদুল রুকন মিয়া (৪৮) ও কেন্দুয়া উপজেলার রোয়াইলবাড়ি গ্রামের হৃদয় মিয়া (৩২)।
শহিদ মিয়ার লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে তাঁর বড় ভাইয়ের ছেলে মো.
সেখানে উপস্থিত থাকা শহিদ মিয়ার বড় মেয়ে ঝুমা আক্তার (২২) বলছিলেন, ‘আমার আব্বার এইভাবে মৃত্যু হইব আমরা কোনো দিনই ভাবছি না। কেউ আমার আব্বারে বাঁচাইল না। আমার আব্বা পানিতে ডুবে খুব কষ্ট কইরা মরছে। অহন কারে আব্বা ডাকবাম?’ তিনি জানান, শনিবার ভোরে শহিদ মিয়াসহ গ্রামের ২৫ জনের মতো হাওরে মাছ শিকার করতে বাড়ি থেকে রওনা দেন। এরপর ওই দিন দুপুর থেকে তাঁরা নিখোঁজের খবর পান।
লাশ উদ্ধার হওয়া তিনজনের একজন হলেন আটপাড়া উপজেলার রূপচন্দ্রপুর গ্রামের শহীদ মিয়া। তাঁর মৃত্যুর খবরে বাড়িতে স্বজনদের কান্নার রোল পড়ে যায়উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উপজ ল র
এছাড়াও পড়ুন:
চলন্ত ট্রাকের চাকা বিস্ফোরণের পর রিংয়ের আঘাতে বিচ্ছিন্ন হলো পথচারীর পা
নাটোরের বড়াইগ্রামে চলন্ত ট্রাকের চাকা বিস্ফোরণ হলে চাকার সঙ্গে থাকা লোহার রিং ছিটকে একজন পথচারীর পায়ে লাগে। এতে ওই পথচারীর ডান পা হাঁটুর নিচ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে বনপাড়া-কুষ্টিয়া মহাসড়কের বড়াইগ্রামের ধানাইদহ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আহত পথচারীর নাম দুলাল প্রামাণিক (৪২)। তিনি পার্শ্ববর্তী লালপুর উপজেলার কদিমচিলান ডাঙ্গাপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি পেশায় একজন ইটভাটার শ্রমিক।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্থানীয় একটি ইটভাটায় কাজ সেরে দুলাল প্রামাণিক মহাসড়কের পাশ দিয়ে হেঁটে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় বিআরবি ক্যাবলস–এর একটি ট্রাক কুষ্টিয়া থেকে ঢাকায় যাওয়ার সময় ওই স্থানে পৌঁছালে সামনের বাঁ পাশের চাকা বিস্ফোরণ হয়। এতে চাকার সঙ্গে থাকা লোহার রিং ছুটে গিয়ে দুলালের ডান পায়ের হাঁটুর নিচে লাগে। এতে তাঁর পা প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে সামান্য ঝুলে থাকে। স্থানীয় মানুষেরা ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে বনপাড়া আমেনা হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে বগুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বনপাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন জানান, ঘটনার পর ট্রাকটি ফেলে চালক পালিয়ে গেছেন। ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনি প্রক্রিয়া চলমান আছে।