‘হ্যারি পটার’ অভিনেতা সাইমন মারা গেছেন
Published: 10th, March 2025 GMT
‘হ্যারি পটার’ সিরিজের অন্যতম জনপ্রিয় চরিত্র অভিনেতা সাইমন ফিশার বেকার মারা গেছেন। সোমবার এক বিবৃতিতে অভিনেতার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন তার সংস্থা। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর।
সংস্থাটির ম্যানেজার বলেন, ‘১৫ বছরের বন্ধুত্ব আমাদের। খুব কাছের একজনকে হারালাম।’
প্রসঙ্গত, সাইমন ফিশার ছিলেন একজন ব্রিটিশ অভিনেতা। ‘হ্যারি পটার’-এ হগওয়ার্টসের মুণ্ডকাটা ভূতের ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল তাকে। এটি ছাড়াও সাইমন ‘ডক্টর হু’ নামে একটি জনপ্রিয় সিরিজে অভিনয় করেছিলেন।
বেশ কয়েকটি হিট টেলিভিশন ধারাবাহিকেও অভিনয় করেছিলেন তিনি। কমেডি চরিত্রের জন্যও পরিচিত ছিলেন তিনি। বিবিসির ‘পাপি লাভ’ সিরিজে টনি ফাজাকার্লির চরিত্রে অভিনয়ের জন্যও বেশ প্রশংসিত হয়েছিলেন তিনি।
টেলিভিশন এবং চলচ্চিত্রের বাইরেও সাইমন ফিশার বেকারের অডিও ইন্ডাস্ট্রিতেও অনেকখানি অবদান রয়েছে। সূত্র: ইউএসএ টুডে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মুক্তি মেলেনি
রাত ১টা। বসন্তের রাতেও কেন যেন বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে। নীরব নিশ্চুপ চারপাশ। ঘুমিয়ে গেছে কর্মমুখর শহর। থেমে গেছে সব কোলাহল। তবুও রাজ্যের হতাশা নিয়ে জেগে আছে ঊর্মিলা।
মুক্তি যখন দিলেই তখন এত দেরিতে কেন মুক্তি দিলে? এমন মুক্তি তো আমি চাইনি– যে মুক্তি আমায় শান্তি দেয়নি একদণ্ড, দেয়নি মনের খুশিতে সুনীল আকাশে স্বাধীনভাবে ডানা মেলে উড়ে চলার অধিকার। বরং তুমি আমায় বন্দি করে রাখ বুকের প্রকোষ্ঠে, না পাওয়ার বেদনায় যখন গভীর রাতে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদবে তখন না হয় আমি ব্যথা হয়ে ঝরব সাড়ে পাঁচ প্রহর। আলো আঁধারিয়া চিলেকোঠা রুমের আবছা আলোয় টেবিল ল্যাম্পের উষ্ণ তাপে শখের ডায়েরিতে এই কয়েক লাইন লিখতেই খানিকটা হাঁপিয়ে উঠল ঊর্মিলা।
আজ সেই দিন যেদিন একে অপরের কাছাকাছি এসেছিল ঊর্মিলা আর রাজন। একটা নির্লিপ্ত শীতের বিকেলে টিএসসিতে প্রথম দেখা হয়েছিল। তারপর কত স্বপ্ন কত আশা আর হাজারো কমিটমেন্টের ঘেরাটোপে ছুটে চলা। অতঃপর তিন মাস সংসারজীবনের ইতি ঘটিয়ে দু’জনের মুক্তি। আজ এই নিশুতি রাতে সেসব ভাবতে গিয়ে ছলছল করে উঠছে ঊর্মিলার চোখ। হাতের অপর পিঠে চোখটা খানিক মুছে আবারও ডায়েরির বুকে স্মৃতির পশরা সাজিয়ে বসল সে।
মুক্তির স্বাদ আমার কাছে মহার্ঘ্য অমৃত, তবু তো গর্ব করে বলতে পারি কেউ আমায় ভালোবেসেছিল খুব গোপনে। মুক্তির স্বাদ দিতে পারেনি। এ মুক্তি তো আমি চাইনি। কভু চাইনি এমন স্বাধীনতা। এক প্রহরে তোমার যত্ন নিয়ে না হয় বেড়ে উঠব তোমার মতো করে। আরেক প্রহরে না হয় ছুঁইয়ে দিও আমার আঙুল, সেখানে না হয় আমি অটুট বন্ধনের স্বাদ খুঁজে নেব। বাকি সাড়ে তিন প্রহর তোলা থাক তোমার প্রতিটি শ্বাস-প্রশ্বাসে, রক্তকণিকায় কিংবা প্রতিটি চোখের পলকে। আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রাখ আমায় তোমার অস্তিত্বজুড়ে, বেঁচে থাকুক আমার প্রথম প্রেম।
তুমি কি জান– তোমার জৌলুসহীন মুক্তি আমায় কপটতা শেখায় কিন্তু প্রেম শেখাতে পারেনি কোনোদিন। পারনি নিঃস্বার্থভাবে আমায় একটু ছুঁইয়ে দিতে কিংবা ওই রক্তগোলাপ অধরে আলতো একটা চুম্বন দিতে। মুক্তি দিয়েও আমায় অদৃশ্য শিকলে কেন বন্দি করে রাখলে? মুক্ত করা প্রেমে এত জ্বালা, এত বিষাদ থাকে কেন? তুমি কি তা বলতে পার? জানি পারবে না যুক্তিতে মুক্তি মিললেও, আদতে মুক্তির কোনোদিন মুক্তি মেলেনি।
আমার কিন্তু সেটা জানা ছিল না। সে তো হৃদয়ের তোমার মুক্ত করে দেওয়া প্রেম আজকাল বড্ড স্বার্থবাদী হয়ে গেছে... লেখা শেষ না করেই উঠে দাঁড়াল ঊর্মিলা। রুম থেকে বেরিয়ে ছাদের কার্নিশ ধরে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকল। বিদ্যুৎ চমকানোর সঙ্গে সঙ্গে মেঘের গর্জনটা বেশ বেড়েছে। পরক্ষণেই নিচতলা থেকে শোনা গেল কয়েকটি বেওয়ারিশ কুকুরের ডাক। v
সুহৃদ ঢাকা