ব্রিটিশ অভিনেতা সাইমন ফিশার বেকার মারা গেছেন। ‘হ্যারি পটার’ সিনেমায় অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন তিনি। অভিনেতার মুখপাত্রের বরাত দিয়ে খবরটি জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য নিউইয়র্ক পোস্ট।
সংবাদমাধ্যমে পাঠানো শোকবার্তায় সাইমন ফিশারের মুখপাত্র লিখেছেন, ‘সাইমন ফিশার রোববার (৯ মার্চ) মৃত্যুবরণ করেন। আমি শুধু তার কর্মী ছিলাম না, ১৫ বছরের বন্ধুত্ব ছিল আমাদের। খুব কাছের একজনকে হারালাম।’
২০০১ সালের ‘হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ফিলোসফার্স স্টোন’ সিনেমায় হাফলপাফ হাউসের ভূত ফ্যাট ফ্রিয়ারের ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল সাইমন ফিশারকে। এ ছাড়া জনপ্রিয় সিরিজে ‘ডক্টর হু’তে অভিনয় করেন তিনি।
বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় টেলিভিশন ধারাবাহিকেও অভিনয় করেছিলেন সাইমন ফিশার। বিবিসির ‘পাপি লাভ’ সিরিজে টনি ফাজাকার্লির চরিত্রে অভিনয়ের জন্যও বেশ প্রশংসিত হয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুনস্ত্রীসহ অস্কারজয়ী অভিনেতা জিন হ্যাকম্যানের মরদেহ উদ্ধার২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রে অভিনয়ের বাইরে অডিও ইন্ডাস্ট্রিতেও জনপ্রিয় ছিলেন সাইমন ফিশার। তিনি ‘ডক্টর হু: দ্য কার্স অব স্লিপি হলো’তে ফাদার হার্ডউডের চরিত্রে কণ্ঠ দিয়েছিলেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স ইমন ফ শ র জনপ র য়
এছাড়াও পড়ুন:
১০ এপ্রিলকে বাংলাদেশের ‘রিপাবলিক ডে’ ঘোষণার দাবির প্রতি জোনায়েদ সাকির সমর্থন
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ১০ এপ্রিলকে বাংলাদেশের ‘রিপাবলিক ডে’ ঘোষণার জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) দাবিকে সমর্থন করেছেন। এই দাবিকে সমর্থন করে তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিলের স্বাধীনতা ঘোষণার মূল ভিত্তি ছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার। কিন্তু এই আদর্শগুলো ১৯৭২ সালে সংবিধান প্রণয়নের সময় আমলে নেওয়া হয়নি। ফলে গণমানুষের প্রত্যাশা সব সময় উপেক্ষিত হয়েছে এবং মানুষের ওপর নির্যাতন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ‘১০ এপ্রিলকে প্রজাতন্ত্র দিবস ঘোষণা, একই সঙ্গে সংবিধান সংস্কার সভা ও সংসদ নির্বাচনের দাবি’ শীর্ষক এক আলোচনায় জোনায়েদ সাকি এ কথা বলেন। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) এ সভার আয়োজন করে।
জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘১৯৭২ সালে সংবিধান প্রণয়নের সময় ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিলের স্বাধীনতার ঘোষণাকে আমলে না নিয়ে গোঁজামিল দেওয়া হয়েছিল। সেটার ওপর ভিত্তি করেই আমরা চলছি। আমরা এসব গোঁজামিল থেকে বের হতে চাই। ২৪-এর রক্তক্ষয়ী ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থান সে আকাঙ্ক্ষার কথাই বলে।’
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দখলে যাচ্ছে উল্লেখ করে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় হল এক দল দখল করে। আরেক দলকে দেখতে পাই হাট–ঘাট–বাজারের দখলে। যে যেখানে পারে সেখানে দখল করছে।’
জনগণকে ক্রমাগত ক্ষমতাহীন করে ফেলা হচ্ছে উল্লেখ করে জোনায়েদ সাকি বলেন, পুরো সংস্কারপ্রক্রিয়ার মধ্যে জনগণ ব্যাপারটাই যেন নেই। তবে বর্তমান সংস্কার প্রস্তাবের ধরন আগেকার যেকোনো সংস্কারপ্রক্রিয়ার চেয়ে ভালো।