এস আলম পরিবারের ১০০৬ বিঘা জমি জব্দের আদেশ
Published: 10th, March 2025 GMT
ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার পরিবারের স্বার্থ সংশ্লিষ্টদের নামে থাকা এক হাজার ছয় বিঘা জমি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এসব জমি ঢাকা ও চট্টগ্রামে রয়েছে।
সোমবার (১০ মার্চ) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, দুদকের পক্ষে এসব সম্পত্তি জব্দের আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন।
আবেদনে বলা হয়, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে সিঙ্গাপুর, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড, সাইপ্রাস ও অন্যান্য দেশে এক বিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান চলছে। তদন্তে তাদের নামে থাকা এসব সম্পদের খোঁজ পাওয়া গেছে। তাই অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের এসব সম্পদ জব্দ করা আবশ্যক।
এর আগে গত ৭ অক্টোবর এস আলম ও তার স্ত্রী ফারজানা পারভীনসহ তার পরিবারের ১২ সদস্যের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন একই আদালত।
গত ১৬ জানুয়ারি এস আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের ৩ হাজার ৫৬৩ কোটি ৮৪ লাখ ২১ হাজার টাকার শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশ দেয়া হয়। গত ৩ ফেব্রুয়ারি ৩৬৮ কোটি ২৫ লাখ ৬৩ হাজার পাঁচ শ টাকা মূল্যের ১৭৫ বিঘা সম্পদ জব্দ, ১২ ফেব্রুয়ারি ৪৩৭ কোটি ৮৫ লাখ ২ হাজার ২৭৪ টি শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ দেন আদালত। এসব শেয়ারের মূল্য ৫ হাজার ১০৯ কোটি টাকা। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি তাদের আট হাজার ১৩৩ কোটি ৫৬ লাখ ৭২ হাজার টাকা মূল্যের শেয়ার অবরুদ্ধেরও আদেশ দেন আদালত।
ঢাকা/মামুন/এনএইচ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ত র পর ব র র আলম ও ত র এস আলম
এছাড়াও পড়ুন:
প্রশাসনকে ‘মৃত’ ঘোষণা করে ববি শিক্ষার্থীদের কফিন মিছিল
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) প্রশাসনকে প্রতীকী ‘মৃত’ ঘোষণা করে অভিনব প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টায় ক্যাম্পাসে কফিন মিছিল ও গায়েবানা জানাজার আয়োজন করেন তারা। এ সময় তারা চার দফা দাবি জানান।
শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দাবি-দাওয়া না মেনে উল্টো তাদের বিরুদ্ধে হয়রানি মূলক বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে আসছে। দাবি-দাওয়া পূরণ, হয়রানিমূলক মামলা ও সাধারণ ডায়েরি উঠিয়ে নিতেই তারা এ প্রতিবাদী কর্মসূচি পালন করছেন।
আরো পড়ুন:
আন্দোলন দমাতে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে জিডি করেছে ববি প্রশাসন
ফয়জুল করীমকে বরিশালের মেয়র ঘোষণার দাবিতে মানববন্ধন
দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে— ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহসিন উদ্দিনের বিরুদ্ধে আনা মিথ্যা অভিযোগ প্রত্যাহার এবং তাকে সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলে পুনর্বহাল করা; আওয়ামী লীগ পদধারী রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামকে অপসারণ; ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারের সমর্থক শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অপসারণ; ফ্যাসিবাদের দোসরদের পুনর্বাসনের দায় স্বীকার করে উপাচার্যের প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী মোকাব্বেল শেখ বলেন, “আমরা গত ১০ দিন ধরে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফ্যাসিস্টদের বিদায়ে আন্দোলন করছি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখন পর্যন্ত আমাদের কোনো দাবি মেনে নেয়নি। এমনকি গতকাল আমরা সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করলেও কেউ দেখা পর্যন্ত করতে আসেনি। সুতরাং আমরা মনে করছি, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন মারা গেছে। সেজন্যই আমরা আজ প্রতীকী জানাজা ও কফিন মিছিল করেছি।”
শিক্ষার্থী নাজমুল ঢালি বলেন, “শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবী দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে জানিয়ে আসছি কিন্তু প্রশাসন এখনো পর্যন্ত কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়নি এবং তাদের এই নিস্তব্ধতার জন্য আজকে আমাদের এই কফিন মিছিল কর্মসূচি পালিত হয়েছে। আমরা আমাদের যৌক্তিক দাবি জানালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন থেকে আমাদের নামে মিথ্যা হয়রানিমূলক মামলা ও জিডি করে আন্দোলনকে দমন করার প্রচেষ্টা চালিয়েছে যা সম্পূর্ণ সৈরাচারী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ। আমরা অতিশীঘ্রই এ প্রশাসনের পদত্যাগ দাবি করছি।”
ঢাকা/সাইফুল/মেহেদী