বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক লি: কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের সকল পাওনা পরিশোধ অব্যাহত রেখেছে। 

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় শ্রমিক‌দের পাওনা প‌রি‌শোধ করা হ‌চ্ছে ব‌লে সোমবার (১০ মার্চ) শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞ‌প্তি‌তে এ তথ‌্য জানা‌নো হ‌য়ে‌ছে।

বেক্সিমকোর বন্ধ হওয়া ১৪টি কারখানার মধ্যে সাতটি পোশাক কারখানার মোট ১৬ হাজার ১৪২ জন শ্রমিকের চূড়ান্ত পরিশোধ সম্পন্ন করেছে। 

কোম্পানিটি এখন পর্যন্ত ৯টি পোশাক কারখানার সকল পাওনা পরিশোধ করেছে। অবশিষ্ট কারখানার শ্রমিকদের সকল বকেয়া পরিশোধ পর্যায়ক্রমে চলতে থাকবে।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এনএইচ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর শ ধ

এছাড়াও পড়ুন:

জলবায়ু ন্যায়বিচারের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ সুরক্ষার দাবিতে সমাবেশ

জলবায়ু সুরক্ষা ও জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতে জীবাশ্ম জ্বালানিতে অর্থায়ন বন্ধ, নবায়নযোগ্য শক্তির সম্প্রসারণ ও টেকসই কৃষিতে বিনিয়োগ বাড়ানোর দাবিতে সমাবেশ করেছেন অসংখ্য তরুণ-তরুণী।

শুক্রবার (১১ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের সামনে মানিক মিয়া এভিনিউয়ে অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের যুব প্ল্যাটফর্ম অ্যাক্টিভিস্টা বাংলাদেশের সহযোগিতায় আয়োজিত সমাবেশে বিশ্বনেতাদের প্রতি এ আহ্বান জানানো হয়।

সমাবেশ শেষে র‌্যালি করা হয়। র‌্যালিটি খামারবাড়ি থেকে আড়ং মোড় ঘুরে জাতীয় সংসদের সামনে দিয়ে আবার খামারবাড়ির সামনে এসে শেষ হয়।

শান্তিপূর্ণ সমাবেশে তরুণ জলবায়ুকর্মীরা স্লোগান, প্ল্যাকার্ড, চিত্রকর্ম, গান, নাটক এবং পোস্টার প্রদর্শনের মাধ্যমে জলবায়ু ন্যায়বিচারের দাবি জানান। ‘ডোন্ট সেল আওয়ার ফিউচার’, ‘ফিক্স দ্য ফাইন্যান্স’, ‘নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করো, ‘ক্ষতিকারক কৃষিচর্চায় বিনিয়োগ বন্ধ করো’, ‘ক্লাইমেট জাস্টিস নাউ’ এবং ‘জলবায়ু সহনশীল টেকসই কৃষি চর্চায় বিনিয়োগ করুন’ ইত্যাদি লেখা ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড হাতে সমাবেশে যোগ দেন জলবায়ু আন্দোলনকারীরা। তারা ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস, ক্লাইমেট জাস্টিস’, ‘ব্যাংক তুমি ভালো হয়ে যাও, জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধ করে দাও’, ‘জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ, ডেকে আনছে আমাদের দুর্যোগ’, ‘বেঁচে থাকার অধিকার, চাই জলবায়ু সুবিচার’, ‘নিড সলিউশন, নট পলিউশন’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

সমাবেশ থেকে টেকসই ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে জলবায়ুর জন্য ক্ষতিকর ও ব্যয়বহুল জীবাশ্ম জ্বালানিতে অর্থায়ন বন্ধ করতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। একইসঙ্গে ফিলিস্তিনে চলমান অমানবিক যুদ্ধের প্রতিবাদ ও যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হয়।

সমাবেশে জলবায়ু যোদ্ধারা বলেন, উন্নত দেশগুলো জীবাশ্ম জ্বালানিতে অর্থায়নের মাধ্যমে জলবায়ু সংকট সৃষ্টি করছে। তারা নব্য ঔপনিবেশিক শোষণ, যুদ্ধ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের মাধ্যমে এ পৃথিবীকে ধ্বংস করছে। পুঁজিবাদী মানসিকতা নিয়ে সর্বোচ্চ গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমণকারীরা জীবাশ্ম জ্বালানিতে অর্থায়নের মাধ্যমে পৃথিবীকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। যেখানে মানুষের চেয়ে মুনাফাই মুখ্য। এটি পৃথিবীতে বাস্তুতন্ত্র এবং জলবায়ুকে মারাত্মকভাবে ধ্বংস করছে। ফলে, বিরূপ প্রভাব পড়ছে দক্ষিণের দেশগুলোর তরুণ, কৃষক, নারী এবং প্রান্তিক সম্প্রদায়গুলোতে। এটি অনুন্নত দেশগুলোর সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায়ের কাছে তাদের পরিবেশগত ঋণ বহু গুণ বাড়িয়ে তুলছে। এই অবস্থায় জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে টেকসই প্রকল্প এবং নবায়নযোগ্য শক্তির ক্ষেত্রে বিনিয়োগের আহ্বান এসেছে গ্লোবাল ক্লাইমেট স্ট্রাইকে।

জলবায়ু সংকট নিরসন, এ বিষয়ে ন্যায়বিচার দাবি ও জনগণকে সচেতন করতে অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ ও অ্যাক্টিভিস্টা বাংলাদেশসহ ১৮ জেলার ৩৩টি যুব সংগঠনের ৩ হাজারের অধিক জলবায়ুকর্মী এই স্ট্রাইকে অংশ নেন। একই সময়ে সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, নোয়াখালী, কুড়িগ্রাম, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, সুনামগঞ্জ, সিলেট, কুষ্টিয়া, খুলনা, রাজশাহী, বরিশাল, পটুয়াখালী, টেকনাফ, বান্দরবান, বরগুনা ও নারায়ণগঞ্জসহ লোকাল রাইটস প্রোগ্রাম (এলআরপি) এবং বেশকিছু লোকাল ইয়ুথ হাবের তরুণ স্বেচ্ছাসেবকরাও গ্লোবাল ক্লাইমেট স্ট্রাইকে সংহতি প্রকাশ করেন।

এ সময় ফিলিস্তিনে চলমান অমানবিক যুদ্ধ বন্ধে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হয়। যুদ্ধে অসংখ্য শিশু, নারী ও বৃদ্ধের মৃত্যুতে গভীর সহানুভূতি ও শোক প্রকাশ করা হয়।

ঢাকা/হাসান/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ