কক্সবাজারে এক মার্কিন নারীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে শহরের হিলডাউন সার্কিট হাউসের সামনের সড়কে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার মাত্র সাড়ে ৬ ঘণ্টার মাথায় অভিযুক্ত যুবক তারেকুল ইসলামকে (২৪) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে আগেও থানায় শ্লীলতাহানির অভিযোগ রয়েছে। সে ‘চুইল্যা তারেক’ নামে পরিচিত। 

কক্সবাজার পুলিশ সুপার সাইফুদ্দিন শাহীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ সুপার কার্যালয়ের মিডিয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) জসিম উদ্দিন চৌধুরী জানান, সকাল ১০টার দিকে ওই ঘটনা ঘটার পর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কক্সবাজার শহরের ঝাউতলা এলাকা থেকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত তারেকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

পুলিশ সুপার সাইফুদ্দিন শাহীন জানান, ঘটনার পর ভুক্তভোগী নারী এক শর্ট মেসেজের মাধ্যমে পুরো বিষয়টি পুলিশ সুপারকে জানান। 

ওই খুদে বার্তায় বলা হয়, ভুক্তভোগী মাকিন নারীসহ আরও এক নারী আজ সকাল ১০টার দিকে শহরের শহীদ সরণি দিয়ে হাঁটছিলেন। তারা বুঝতে পারেন একজন যুবক তাদের অনুসরণ করছে। এটা বুঝতে পেরে তারা হিলডাউন সার্কিট হাউসের সামনে দাঁড়িয়ে পড়েন। তখন তাদের অনিরাপদ মনে হচ্ছিল। তারা দাঁড়িয়ে গেলে যুবকটি এসে তাদের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করে। হঠাৎ যুবকটি ওই নারীকে পেছন থেকে ঝাপটে ধরে এবং স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দেয়। পরে ওই যুবক দৌড়ে পালিয়ে যায়। 

খুদে বার্তায় ওই মার্কিন নারী যৌন হয়রানিকারী যুবকের শারীরিক অবয়ব তুলে ধরেন। তিনি লিখেন, ছেলেটি খাটো। হলুদ রঙের টি-শার্ট পরা ছিল। 

পুলিশ সুপার বলেন, মাত্র ১০ সেকেন্ডের মধ্যেই এসব ঘটনা ঘটে যায়। খুদে বার্তা পাওয়ার পর পুলিশ ওই যুবককে ধরতে অভিযান শুরু করে। মাত্র সাড়ে ৬ ঘণ্টা মাথায় তাকে ধরা সম্ভব হয়েছে। ভুক্তভোগী নারীও ঘটনায় জড়িত যুবককে শনাক্ত করেছেন। 

অভিযুক্ত তারেকুল ইসলাম কক্সবাজার শহরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ফরিদুল আলমের ছেলে। তার বিরুদ্ধে আগেও কক্সবাজার মডেল থানায় শ্লীলতাহানির মামলা রয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শহর র

এছাড়াও পড়ুন:

শুল্ক স্থগিতের সিদ্ধান্ত এসেছে হৃদয় থেকে: ট্রাম্প

শুল্ক নীতি কার্যকর হওয়ার দিনই তা তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যেভাবে চীন মার্কিন পণ্যে প্রতিশোধমূলক শুল্ক এবং তার জবাবে যুক্তরাষ্ট্র চীনের পণ্যে শুল্কের হার বাড়িয়ে যাচ্ছিল, তাতে পৃথিবী নতুন এক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়। এর জেরে শেয়ারবাজারে ধস নামে, ডলারের বিনিময় হার কমে যায়, তেলের দাম চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে আসে। সামগ্রিকভাবে বাজার অর্থনীতিতে রীতিমতো কাঁপন শুরু হয়ে যায়।

অথচ শেষ মুহূর্ত পর্যন্তও এই শুল্কনীতি শিথিলের কোনও লক্ষণ দেখায়নি তার প্রশাসন। ট্রাম্পের দাবি, হৃদয়ের কথা শুনে হঠাৎ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। খবর পলিটিকোর

বুধবার নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি। 

পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, গত কয়েকদিন ধরেই শুল্কের বিষয়গুলো নিয়ে ভাবছি। বোধহয় আজ সকালে সব আমার কাছে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। তখন কোনও আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শের সময় ছিল না। কেবল নিজের অন্তরের কথা শুনে যেটি সঠিক মনে হয়েছে, সেটাই করেছি।

বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক ও অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্টের সঙ্গে মিলে ট্রাম্প এই পোস্ট লিখেছিলেন বলে জানান লুটনিক। তবে অনেক রিপাবলিকান আইনপ্রণেতার কাছেই এই ঘোষণা ছিল বিস্ময়কর।

শুল্ক কার্যকর হওয়ার পর শেয়ারবাজারে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে দেরি হয়নি। তবে তার আকস্মিক স্থগিত সিদ্ধান্তে হাওয়া বদলেও সময় লাগে না। যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সাত প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের বাজারমূল্য বুধবারই ১ ট্রিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি পায়।

স্থগিতাদেশের পর ট্রাম্প প্রশাসনের হয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে সবার আগে হাজির হয়েছেন বেসেন্ট। তিনি বলেন, বাজারের অস্থিরতার কারণে সিদ্ধান্তের পরিবর্তন হয়নি। ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর সঙ্গে আলাদাভাবে চুক্তি করার ইচ্ছা থেকেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

তিনি বলেছেন, প্রতিটি সমস্যার সমাধান হবে আলাদা। তাই, এ কাজে বেশ কিছুটা সময় প্রয়োজন। পুরো প্রক্রিয়াতে প্রেসিডেন্ট নিজে যুক্ত থাকতে চান বলেই ৯০ দিনের বিরতি দেওয়া হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ