সীমান্তে আল আমিন হত্যার প্রতিবাদ জানাল বিজিবি
Published: 10th, March 2025 GMT
সীমান্তে হত্যা বন্ধে তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা জিরো লাইনে আজ সোমবার বিজিবি ও বিএসএফের সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে বিজিবির পক্ষে ঠাকুরগাঁও সেক্টরের কমান্ডার কর্নেল গোলাম রব্বানী ও বিএসএফের পক্ষে ভারতের শিলিগুড়ির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে পঞ্চগড় সদর উপজেলার ভিতরগড় সীমান্তে গত শনিবার আল আমিন (৩৭) হত্যার প্রতিবাদ জানিয়েছে বিজিবি।
বৈঠক শেষে কমান্ডার গোলাম রব্বানী সাংবাদিকদের বলেন, আল আমিন হত্যার ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ ও ক্ষোভ জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে বলা হয়েছে, সীমান্তে মারণাস্ত্র ব্যবহার করে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে বিএসএফ। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে সেজন্য সতর্ক থাকবে বলে বিজিবিকে আশ্বস্ত করেছে বিএসএফ। এ ছাড়া আইনি প্রক্রিয়া শেষে দ্রুত আল আমিনের লাশ হস্তান্তর করা হবে বলে তারা জানিয়েছে।
বৈঠকে বিএসএফকে জানানো হয়, সীমান্তে কেউ আটক হলে তাঁর বিরুদ্ধে মারণাস্ত্র ব্যবহার না করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে বিজিবির হাতে তুলে দেওয়া উচিত। বিজিবি যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।
গত শনিবার নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীন পঞ্চগড় সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নের ভিতরগড় সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হন আল আমিন। তিন দিনেও তাঁর লাশ ফেরত দেওয়া হয়নি।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
১২ হাজার তরুণ–তরণীকে বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণ দেবে পিকেএসএফ
পেশাগত দক্ষতা বাড়াতে দেশের ১২ হাজার তরুণ-তরুণীকে বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণ দেবে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)। কারিগরি ও পেশাগত শিক্ষানির্ভর তিন বছর মেয়াদি এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে স্কিলস ফর ইন্ডাস্ট্রিজ কম্পিটিটিভনেস অ্যান্ড ইনোভেশন প্রোগ্রামের (এসআইসিআইপি) আওতায়। এ প্রকল্পে সহায়তা করছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
আজ সোমবার রাজধানীর পিকেএসএফ ভবনে এসআইসিআইপি ও পিকেএসএফের প্রকল্পের উদ্বোধন ও প্রশিক্ষণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়।
প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণার্থী তরুণেরা ১২টি খাতের প্রশিক্ষণ পাবেন। প্রশিক্ষণ চলাকালে থাকা-খাওয়ার সব খরচ প্রকল্প থেকে বহন করা হবে। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৩০ শতাংশ আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিত। বাকি ৭০ শতাংশের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন নিম্ন আয়ের ও প্রান্তিক অঞ্চলের তরুণেরা। প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার পর অংশগ্রহণকারীদের আত্মকর্মসংস্থান বা মজুরিভিত্তিক চাকরির ক্ষেত্রেও সহায়তা করা হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থসচিব খায়েরুজ্জামান মজুমদার বলেন, দেশে দক্ষ জনশক্তির চাহিদা রয়েছে, বিশেষ করে বিদেশে। এই প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে পিকেএসএফ ও এর সহযোগী সংস্থাগুলো সেই চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখতে পারবে।
পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল কাদের বলেন, ‘প্রতিবছর ২০ লাখের বেশি তরুণ শ্রমবাজারে প্রবেশ করছেন। এটি একই সঙ্গে আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা। প্রকল্পের আওতায় জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের স্বীকৃত কোর্স অনুযায়ী প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, যাতে প্রশিক্ষণ শেষে তাঁরা সহজেই কর্মসংস্থানে যুক্ত হতে পারেন।’
অনুষ্ঠানে পিকেএসএফের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জসীম উদ্দিন বলেন, বর্তমানে ১২ হাজার ছাড়াও আরও ৮ হাজার ৫০০ তরুণকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রস্তাব সরকারের কাছে দেওয়া হয়েছে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও তৃতীয় লিঙ্গের তরুণদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। পাশাপাশি ২ হাজার এতিম ও দুস্থ তরুণকেও প্রশিক্ষণের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।
এ সময় অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ওয়ালিদ হোসেন ও পিকেএসএফের চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খান বক্তব্য দেন।