সীমান্তে হত্যা বন্ধে তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা জিরো লাইনে আজ সোমবার বিজিবি ও বিএসএফের সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে বিজিবির পক্ষে ঠাকুরগাঁও সেক্টরের কমান্ডার কর্নেল গোলাম রব্বানী ও বিএসএফের পক্ষে ভারতের শিলিগুড়ির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে পঞ্চগড় সদর উপজেলার ভিতরগড় সীমান্তে গত শনিবার আল আমিন (৩৭) হত্যার প্রতিবাদ জানিয়েছে বিজিবি। 

বৈঠক শেষে কমান্ডার গোলাম রব্বানী সাংবাদিকদের বলেন, আল আমিন হত্যার ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ ও ক্ষোভ জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে বলা হয়েছে, সীমান্তে মারণাস্ত্র ব্যবহার করে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে বিএসএফ। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে সেজন্য সতর্ক থাকবে বলে বিজিবিকে আশ্বস্ত করেছে বিএসএফ। এ ছাড়া আইনি প্রক্রিয়া শেষে দ্রুত আল আমিনের লাশ হস্তান্তর করা হবে বলে তারা জানিয়েছে। 

বৈঠকে বিএসএফকে জানানো হয়, সীমান্তে কেউ আটক হলে তাঁর বিরুদ্ধে মারণাস্ত্র ব্যবহার না করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে বিজিবির হাতে তুলে দেওয়া উচিত। বিজিবি যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।

গত শনিবার নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীন পঞ্চগড় সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নের ভিতরগড় সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হন আল আমিন। তিন দিনেও তাঁর লাশ ফেরত দেওয়া হয়নি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এসএফ ব এসএফ

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতীয় খাসিয়াদের হামলায় বাংলাদেশি যুবক নিহত

সিলেটের কানাইঘাট সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় খাসিয়াদের হামলায় শাহেদ মিয়া (২৫) নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে ভারতে প্রবেশের পর খাসিয়াদের হামলায় তিনি নিহত হন। গতকাল শুক্রবার সকালে মেঘালয় রাজ্যের লাইজুরী বাঁশকোনা এলাকা থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় বিএসএফ। 
নিহত শাহেদ মিয়া কানাইঘাট উপজেলার মঙ্গলপুর গ্রামের মোশাহিদ মিয়ার ছেলে। তবে গুলিতে না মারামারিতে তিনি মারা গেছেন, তা নিয়ে ভিন্ন তথ্য পাওয়া গেছে। 
বিজিবি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ৩টার দিকে জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়নের (১৯ বিজিবি) আওতাধীন সীমান্ত দিয়ে শাহেদ মিয়া ভারতে প্রবেশ করেন। এক পর্যায়ে সেখানকার স্থানীয় চোরাকারবারি খাসিয়াদের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়ান তিনি। এ সময় খাসিয়াদের হামলায় তাঁর মৃত্যু হয়। 
বিষয়টি জানার পর বিএসএফকে অবগত করা হয়। পরে বিএসএফ মৃত ব্যক্তির ছবি পাঠায়। ছবি দেখে শাহেদ মিয়ার পরিবার নিশ্চিত হয়। লাশ গ্রহণে বিএসএফের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন ১৯ বিজিবি অধিনায়ক মোহাম্মদ এমদাদুল হক। 
এদিকে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাতে শাহেদসহ কয়েক বাংলাদেশির সঙ্গে মেঘালয় রাজ্যের লাইজুরি এলাকার খাসিয়া চোরাচালানিদের দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। সেই দ্বন্দ্বের জেরে খাসিয়ারা তাদের ওপর গুলি ছোড়ে। এতে শাহেদ গুলিবিদ্ধ হন। লাইজুরি বাঁশকোনা এলাকার ১৩১৯ নম্বর পিলারের পাশে তাঁর মরদেহ পড়ে থাকে। সকালে সেখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় বিএসএফ। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পঞ্চগড় সীমান্তে গুলিতে বাংলাদেশি নিহত হওয়ার ঘটনায় বিএসএফের দুঃখ প্রকাশ
  • বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত: পতাকা বৈঠকে বিজিরির প্রতিবাদ
  • ‘আমার বাপটার লাশটা আইনা দেন, আমি নিজের হাতে গোসল করামু’
  • বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত, কড়া প্রতিবাদ বিজিবির 
  • ভারতীয় খাসিয়াদের হামলায় নিহত যুবকের লাশ ফেরত দিল বিএসএফ
  • পঞ্চগড় সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নাগরিক নিহত, পতাকা বৈঠক
  • পঞ্চগড়ে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশির মৃত্যু
  • পঞ্চগড় সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
  • ভারতীয় খাসিয়াদের হামলায় বাংলাদেশি যুবক নিহত