Prothomalo:
2025-04-30@06:22:37 GMT

কে এই আনিসুজ্জামান চৌধুরী

Published: 10th, March 2025 GMT

প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে আজ সোমবার নিয়োগ পেয়েছেন বিশিষ্ট গবেষক আনিসুজ্জামান চৌধুরী। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, প্রধান উপদেষ্টাকে সহায়তা করবেন তিনি। তবে কাজ করবেন অর্থ মন্ত্রণালয়ে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আনিসুজ্জামান চৌধুরীকে প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। বিশেষ সহকারী পদে থাকাকালে তিনি প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা, বেতন-ভাতা ও আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অর্থ মন্ত্রণালয়ে কীভাবে যুক্ত থাকবেন, এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আনিসুজ্জামান চৌধুরী যোগ্য ব্যক্তি। পুঁজিবাজার, আর্থিক খাতের সংস্কার, স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তর ইত্যাদি বিষয় তিনি গুরুত্ব নিয়ে দেখবেন। কাল (মঙ্গলবার) তাঁর কার্যপরিধি (টিওআর) ঠিক করা হতে পারে।’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। তিনি অর্থনীতি বিভাগের দ্বিতীয় ব্যাচের ছাত্র। পরে কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ম্যানিটোবা থেকে পিএইচডি ও এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন আনিসুজ্জামান চৌধুরী।

জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসকাপ) সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ আনিসুজ্জামান চৌধুরী প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় আজ সোমবার অনুষ্ঠিত ‘বিদেশে পাচারকৃত অর্থ পুনরুদ্ধার: গৃহীত পদক্ষেপ, চ্যালেঞ্জ ও করণীয়’ বিষয়ক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। তিনি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আন্তর্জাতিক বিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরামর্শক হিসেবে কাজ করে আসছিলেন এত দিন।

আনিসুজ্জামান চৌধুরী ওয়েস্টার্ন সিডনি ইউনিভার্সিটির স্কুল অব সোশ্যাল সায়েন্সেস অ্যান্ড সাইকোলজি এবং অস্ট্রেলিয়ান ডিফেন্স ফোর্স একাডেমি, ইউনিভার্সিটি অব নিউ সাউথ ওয়েলসের স্কুল অব বিজনেসে একযোগে অতিথি শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ও থাইল্যান্ডের ব্যাংককে জাতিসংঘের শীর্ষ পদে ২০০৮-১৬ সময়ে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ২০০১-১২ সময়ে ওয়েস্টার্ন সিডনি ইউনিভার্সিটিতে ছিলেন অর্থনীতির শিক্ষক। সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব নিউ ইংল্যান্ড (অস্ট্রেলিয়া) এবং কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ম্যানিটোবায় শিক্ষকতা করেন তিনি।

‘জার্নাল অব দ্য এশিয়া প্যাসিফিক ইকোনমি’র প্রতিষ্ঠাতা ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আনিসুজ্জামান চৌধুরী। তিনি ১৯৯৫-০৮ সময়ে এ দায়িত্বে ছিলেন। এর সম্পাদকীয় পরিষদের সহসম্পাদক হিসেবে এখনো যুক্ত তিনি। ইকোনমিক অ্যান্ড লেবার রিলেশনস রিভিউর সম্পাদকীয় পরিষদেও তিনি আছেন।

পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অর্থনীতি এবং ম্যাক্রো-ডেভেলপমেন্ট বিষয়ক নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে গবেষণা আছে আনিসুজ্জামান চৌধুরীর। তাঁর ৩০টির মতো বই রয়েছে এবং আন্তর্জাতিক মানের পত্রিকায় ১০০-এর বেশি জার্নাল প্রকাশিত হয়েছে।

জানতে চাইলে আনিসুজ্জামান চৌধুরী আজ মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, দেশের জন্য অনেক কাজ করার আছে। কাল অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তিনি এবং তাঁর পরামর্শ নিয়েই কাজের অগ্রাধিকার ঠিক করবেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব শ ষ সহক র ইউন ভ র স ট মন ত র করব ন

এছাড়াও পড়ুন:

রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম নিয়ে পরবর্তী রিভিউ শুনানি ১৮ মে

রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের পদমর্যাদাক্রম (ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স) নির্ধারণ সংক্রান্ত আপিল বিভাগের রায় রিভিউ আবেদনের শুনানি শুরু হয়েছে। প্রথম দিনের শুনানি শেষে ১৮ মে পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ৬ বিচারপতির বেঞ্চ রোববার শুনানির এদিন ধার্য করেন।

এর আগে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আইনজীবী ব্যারিস্টার সালাহউদ্দীন দোলন শুনানির জন্য সময় চেয়ে আবেদন করেন। তখন আপিল বিভাগ বলেন, এর আগে অনেকবার শুনানির জন্য সময় দেওয়া হয়েছে। আর সময় দেওয়া হবে না। আপনারা শুনানি শুরু করুন। পরে শুনানিতে ব্যারিস্টার সালাহউদ্দীন দোলন আপিল বিভাগের রায়ের মূল অংশবিশেষ তুলে ধরেন। এরপর শুনানি মূলতবি করে ১৮ মে ফের দিন ধার্য করা হয়েছে। এ সময় আদালতে রায় রিভিউ (পুনবিবেচনা) চেয়ে আবেদনকারী বিচারকদের সংগঠন জুডিসিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার নিহাদ কবীর।

২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম ঠিক করে রায় দেন আপিল বিভাগ। এরপর ২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর পুর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়, সংবিধান যেহেতু রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন, সেহেতু রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমের শুরুতেই সাংবিধানিক পদাধিকারীদের গুরুত্ব অনুসারে রাখতে হবে। রায়ে জেলা জজ ও সমমর্যাদার বিচার বিভাগীয় সদস্যরা রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমের ২৪ নম্বর থেকে ১৬ নম্বরে সরকারের সচিবদের সমমর্যাদায় উন্নীত করা হয়। অতিরিক্ত জেলা জজ ও সমমর্যাদার বিচার বিভাগীয় সদস্যদের অবস্থান হবে জেলা জজদের ঠিক পরেই, রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমে তাদের অবস্থান হবে ১৭ নম্বরে।

রায়ে আরও বলা হয়েছে, রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম কেবল রাষ্ট্রীয় আচার-অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে। নীতি নির্ধারণী ক্ষেত্র বা অন্য কোনো কার্যক্রমে যেন এর ব্যবহার না হয়।

প্রসঙ্গত, রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী ১৯৮৬ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরি করে তা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা হয়। ২০০০ সালে এটি সংশোধন করা হয়। সংশোধিত এ ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক মহাসচিব আতাউর রহমান। ওই রিটের ওপর ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে ওই ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স বাতিল করে আট দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়। পরে এর বিরুদ্ধে করা আপিলের শুনানি নিয়ে ২০১৫ সালে রায় দেন আপিল বিভাগ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন এক ধাপ বাড়ানোর উদ্যোগ, ভিন্নমত শিক্ষকদের
  • রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম নিয়ে পরবর্তী রিভিউ শুনানি ১৮ মে
  • এবার বিপিএম-পিপিএম পদক পাচ্ছেন ৬২ জন