চাষাড়ায় রেলওয়ের জায়গা দখল করে অবৈধ অটো স্ট্যান্ড, চাঁদাবাজি
Published: 10th, March 2025 GMT
একের পর এক সংঘাত-সংঘর্ষের মধ্যদিয়েই চলছে নারায়ণগঞ্জে দখলদারিত্ব। পাঁচ আগস্ট পরবর্তী সময়ে এখানকার রাস্তা-ঘাট, হাট-বাজার, পরিবহন ও ঝুট সেক্টরসহ অনেক বড় বড় সেক্টরগুলো দখল হয়ে গেলেও এখনও বন্ধ করা যাচ্ছে এসব দখলদারিত্ব ও চাঁদাবাজী।
প্রায় প্রতিদিনই খবরের কাগজে উঠে আসছে এসব দখলদারিত্ব ও চাঁদাবাজীর খবর। এবার সেই খবরে যোগ হলো চাষাঢ়ার রেলওয়ের জায়গা দখল করে অটো স্ট্যান্ড ও চাঁদাবাজীর ঘটনা।
জানাগেছে, চাষাঢ়া আল জয়নাল ট্রেড সেন্টার সংলগ্ন রেলওয়ের জায়গাটি দখল করে অটো রিকশা ড্রাইভার-মালিক ঐক্যপরিষদের নামে ভূয়া একটি সংগঠন খুলে স্ট্যান্ড করা হয়েছে। যেখানে প্রতিটি অটো রিকশা থেকে নিয়মিত আদায় করা হচ্ছে চাঁদা।
যানজট নিয়ন্ত্রণে ৪ জন স্বেচ্ছাসেবকের বেতন বাবদ ওই চাঁদা তোলা হয় বলে জানিয়েছেন ওই ভুঁইফোড় সংগঠনটির স্বঘোষিত সভাপতি মো: সাইদ। তবে তার কথার সাথে বাস্তবতার মিল বড় কঠিন।
খোঁজ নিয়ে আরও জানাগেছে, চাষাঢ়া-পঞ্চবটি রুটে প্রায় ৩ শতাধীক অটো রিকশা চলাচল করে। এসব অটো রিকশা থেকে বর্তমানে ৩০ টাকা হারে চাঁদা আদায় করা হয়। হিসেব অনুযায়ী ৩শ অটো রিকশা থেকে দৈনিক প্রায় ৯ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করা হয়।
অথচ ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করা ৪ জনের বেতন বাবদ দৈনিক ৭শ টাকা করে হলে মোট ২ হাজার ৮শ টাকা হয়। বাকি টাকা চাঁদাবাজদের পকেটেই ঢুকে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভুঁইফোড় সংগঠনটির স্বঘোষিত সভাপতি মো: সাইদ পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়ে এখানে স্ট্যান্ড করেছেন বলে দাবি করেন।
তিনি বলেন, আগে আমাদের অটো রিকশাগুলো পঞ্চবটি থেকে অক্টো অফিস পর্যন্ত চলাচল করতো। চাষাঢ়া থেকে পঞ্চবটি যাওয়া যাত্রীগুলো অনেক সময় চাষাঢ়া থেকে রিকশা করে অক্টো অফিসে গিয়ে সেখান থেকে অটো রিকশা করে পঞ্চবটিতে যেতো।
কিন্তু শহরে মিশুক চলাচলের অনুমতি দেওয়ায় ওরা চাষাঢ়া থেকে ৪ জন যাত্রী নিয়ে সোজা পঞ্চবটিতে যায়। ফলে যাত্রী সংকটে পরে অটো রিকশা চালকরা। পরে আমরা এ নিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম করি। আমরা এসপি অফিসে গেলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও টিআই এডমিন আমাদের এখানে স্ট্যান্ড করার অনুমতি দেন।
‘রেলওয়ের জায়গা স্ট্যান্ড করতে হলেতো রেলকর্তৃপক্ষের অনুমতি লাগে। আপনারা কি সেই অনুমতি নিয়েছেন?’ এমন প্রশ্নের উত্তরে সাইদ বলেন, নানা আমরা আপাতত কাউকে জানাইনি। আপাতত গাড়ীগুলো (অটো রিকশাগুলো) রাখাতাছি। পরে স্টেশন মাস্টারকে জানাবো।
এদিকে পুলিশের অনুমতি বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করে টিআই আবদুল করিম শেখ বলেন, ওই জায়গাতো আমাদের না। আমরা কেন অনুমতি দেবো। আমাদের কথা হলো, অটো রিকশা যেখানেই চলুক আর যেখানেই রাখুক শহরে ঢুকতে পারবে না।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ স ট য ন ড কর আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
চৈত্রসংক্রান্তি ও বৈসাবি উপলক্ষে পাঁচ দিন ছুটির দাবি
চৈত্রসংক্রান্তি ও বৈসাবি উপলক্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পাঁচ দিন ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধের দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘জুম্ম শিক্ষার্থী পরিবার’ নামের একটি সংগঠন। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবি জানান সংগঠনটির জ্যেষ্ঠ সদস্য মিশন চাকমা।
এতে বলা হয়, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত পাহাড়ি ও সমতলের জাতিগোষ্ঠীর প্রধান সামাজিক উৎসব বৈসুক, সাংগ্রাই, বিজু, বিহু, চাংক্রান, চৈত্রসংক্রান্তি আবহমান সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অংশ। এ উৎসব পার্বত্য অঞ্চলের পাহাড়ি জাতিসত্তা এবং সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জনগণের কাছে জাতীয় ও সামাজিক ঐক্যের প্রতীক। ১২ থেকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত এই উৎসব চলবে। কিন্তু চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সাত শতাধিক বিভিন্ন জাতিসত্তার শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত থাকলেও উৎসবের দিন তাঁদের ক্লাস-পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে উল্লেখ করা হয়, ইতিমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন উৎসব উপলক্ষে পাঁচ দিন ক্লাস ও পরীক্ষা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও এক দিনের রাষ্ট্রীয় ছুটি ঘোষণা করেছে।
এর আগে গত ৫ মার্চ উপাচার্যকে চিঠি দিয়ে পাঁচ দিন ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধের দাবি জানিয়েছিল বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন। চিঠি দেওয়া ওই সংগঠনগুলো হচ্ছে ত্রিপুরা স্টুডেন্টস ফোরাম, বাংলাদেশ মারমা স্টুডেন্টস কাউন্সিল, বাংলাদেশ ম্রো স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জুম্ম শিক্ষার্থী পরিবার, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ।