ঢাকার অদূরে সাভার উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এক যুবক নারীবিদ্বেষী নানা কর্মকাণ্ড করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর উত্ত্যক্ত করার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। ওই যুবকের নাম ‘খালিদ মাহমুদ রিদয় খান’ দাবি করে অনেকে তাঁকে গ্রেপ্তারের পর বিচারের দাবি করেছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওর সূত্র ধরে খালিদের আইডিতে থাকা বিভিন্ন ভিডিও পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, তিনি বিভিন্ন সময় মেয়েশিশু, কিশোরী ও নারীদের পথ আটকে নানা আপত্তিকর কথা বলেছেন। কী ধরনের পোশাক পরা উচিত, সে কথা বলেছেন।

ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর ওই যুবককে আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়েছে। জেইউ ইনসাইডার নামের একটি ফেসবুক পেজে বলা হয়েছে, এই যুবকের নাম খালিদ মাহমুদ রিদয় খান। থাকেন সাভারে। রাস্তায় দাঁড়িয়ে স্কুল–কলেজের মেয়েদের টিজ করেন, হেনস্তা করেন। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

রাজু নুরুল নামের এক ব্যক্তি তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ওই যুবকের একটি ভিডিও পোস্ট করে লিখেছেন, খালিদের ভিডিও আগেও চোখে পড়েছিল, ভেবেছিলেন তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন। তবে তিনি তা নন। রাস্তায় দাঁড়িয়ে তিনি স্কুল–কলেজের মেয়েদের টিজ করেন, হেনস্তা করেন। ধর্ষণের শিকার হওয়ার ভয় দেখান।

এ বিষয়ে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) মো.

শাহীনুর কবীর প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

নড়াইলে সাত বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা, গ্রেপ্তার ২

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় সাত বছরের এক মেয়েশিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়েছে। মামলার পর আজ সোমবার বিকেলে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন উপজেলার একটি গ্রামের পান্নু মোল্যা (৩৮) ও পান্নু মোল্যার ভাবি (৩২)। পান্নু শিশুটিকে ধর্ষণচেষ্টা করেন; আর তাঁর ভাবি এ ঘটনা কাউকে না জানাতে শিশুটিকে হুমকি দেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী শিশুটির মা প্রথম আলোকে বলেন, ‘মেয়ের ইজ্জতের কথা ভেবে এবং স্থানীয়ভাবে বিচার পাব—এমন আশায় প্রথমে চুপ ছিলাম; কিন্তু স্থানীয়ভাবে কোনো বিচার পায়নি। পরে মামলা করেছি। আমি এ ঘটনার ন্যায্য বিচার চাই।’

পুলিশ ও স্বজন সূত্রে জানা যায়, শিশুটি স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেনে শিশু শ্রেণিতে পড়ে। ৬ মার্চ সকাল ১০টার দিকে মেয়েটি স্কুল থেকে বাড়িতে ফেরে। পরে খাওয়াদাওয়া শেষ করে বাড়ির পাশে পান্নুদের বাড়িতে বরই কুড়াতে যায়। তখন মেয়েটিকে বরই খেতে দেওয়ার কথা বলে ঘরে নিয়ে ধর্ষণচেষ্টা করেন পান্নু। একপর্যায়ে শিশুটি ঘর থেকে বের হয়ে যায়। এ সময় পান্নুর ভাবি শিশুটিকে ঘটনাটি কাউকে না বলার জন্য নিষেধ করে। তবে মেয়েটি বাড়িতে ফিরে তার মাকে সব বলে দেয়।

এ ঘটনায় সোমবার বিকেলে লোহাগড়া থানায় পান্নু মোল্যা ও তাঁর ভাবিকে আসামি করে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন শিশুটির মা।

লোহাগড়া থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আশিকুর রহমান বলেন, মামলার পরপরই দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ