দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণ ও নারী নিপীড়নের ঘটনায় সাধারণ মানুষের পাশাপাশি  ক্ষুব্ধ শিল্পীরাও। বিশেষ করে মাগুরার আট বছরের শিশুকে ধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তারকারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। ধর্ষণের ঘটনায় আসামিদের দ্রুত বিচারের দাবি জানিয়েছে শিল্পীরা। আজ সোমবার বিকেলে চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন চলচ্চিত্রের শিল্পী ও কলাকুশলীরা। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির উদ্যোগে এই মানববন্ধনে বক্তব্য দেন অভিনেত্রী রোজিনা, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগরসহ অনেকে।

চিত্রনায়িকা রোজিনা বলেন, ‘.

..ছোট একটি মেয়ে, তার সঙ্গে যে অন্যায় করা হয়েছে, এই কাজটি যারা করেছে, তারা মানুষ নয়। তারা মানুষ নামের ভয়ংকর পশু। আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই, তাদের জনসমক্ষে ফাঁসি দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। আমরা দেখতে পাই, দেশে শিশু থেকে বৃদ্ধা—কেউই ধর্ষকদের হাত থেকে রেহাই পায় না। ধর্ষকদের গ্রেপ্তার করার পর তাদের কী বিচার হয়? তাদের কী ধরনের বিচার হয় আমরা জানতে পারি না, তাদের ফাঁসি হয় কি না, তা–ও জানতে পারি না। আবার দেখা যায়, ধর্ষণকারীরা জামিনে বের হয়ে অবাধে চলাফেরা করে। ধর্ষকদের শাস্তি সংবিধানে থাকলেও তা আমরা বাস্তবায়ন হতে দেখি না। প্রকাশ্যে ফাঁসি না দিলে আমরা শান্ত হব না। এই প্রতিবাদ চালিয়ে যাব।’

ধর্ষণের ঘটনায় আসামিদের দ্রুত বিচারের দাবি জানিয়ে আজ সোমবার বিকেলে চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন চলচ্চিত্রের শিল্পী ও কলাকুশলীরা।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: চলচ চ ত র র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

টাকা আত্মসাৎকারীকে জামিন দেওয়ায় গ্রাহকদের ক্ষোভ

উপজেলার রামশালা গ্রামের মিতু আক্তারের প্রবাসী স্বামী  আক্কেলপুর ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট শাখায় পাঠান। সে টাকা কৌশলে আত্মসাৎ করে জমি-বাড়ি করেছে ক্যাশিয়ার মাসুদ রানা। টাকার জন্য মিতুর সংসারে অশান্তি শুরু হয়েছে। টাকা না পেলে সংসার ভেঙে যাবে তাঁর।

একই ব্যাংকে আমানতকারী জামাল উদ্দীনের প্রবাসী তিন ছেলে নিয়মিত টাকা পাঠান। ওই ব্যাংকের ক্যাশিয়ার তাদের কষ্টার্জিত ৩৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। গোপীনাথপুরের লিপি বেগম এ শাখায় স্থায়ী আমানত রেখেছিলেন। তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ১১ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। 

টাকা ফেরত পাওয়ার আশায় মিতু আক্তার, জামাল উদ্দিন, লিপি বেগমসহ অসংখ্য গ্রাহক বুধবার সকাল থেকে ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট শাখা ও উপজেলা পরিষদের সামনে সড়কে অবস্থান নিয়ে মানববন্ধন করেছেন। ঘণ্টাব্যাপী কর্মসূচিতে প্রতারিত গ্রাহক ছাড়াও দারুল কোরআন মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। এর আগে তারা প্রতারকদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। কর্মসূচি থেকে ১৩ এপ্রিল একই দাবিতে ইসলামী ব্যাংক জয়পুরহাট শাখার সামনে মানববন্ধন করার ঘোষণা দেওয়া হয়।

ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকরা জানান, ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট শাখার ক্যাশিয়ার মাসুদ রানা কৌশলে গ্রাহকদের আঙুলের ছাপ নিয়ে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নিতেন। তিনি বিভিন্ন স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদসহ ব্যক্তিগত ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে দেড় কোটি টাকা তুলে আত্মসাৎ করেছেন। ২৩ মার্চ ঘটনাটি জানাজানি হলে গ্রাহকরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নিয়ে মাসুদ রানাকে অবরুদ্ধ করেন। তিনি সাংবাদিকসহ সবার সামনে টাকা আত্মসাতের বিষয়টি স্বীকার করেন। ওইদিনই আক্কেলপুর দারুল কোরআন মাদ্রাসার মুহতামিম (প্রধান শিক্ষক) ফিরোজ আহম্মেদ বাদী হয়ে থানায় মামলা করলে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এক দিন পর আদালত থেকে তারা জামিনে ছাড়া পান। তিনি বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। এতে গ্রাহকরা আমানতের টাকা পাওয়া ও জড়িতদের শাস্তির বিষয়টি নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন। তারা জামিন বাতিল করে আসামিদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান। 

মানববন্ধনে আক্কেলপুর দারুল কোরআন মাদ্রাসার মুহতামিম ফিরোজ আহম্মেদ বলেন, ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট শাখায় মাদ্রাসা পরিচালনার জন্য এতিম ছাত্রদের দান-খয়রাতের টাকা রাখা ছিল। ডিজিটাল প্রতারণার মাধ্যমে কর্মকর্তারা মাদ্রাসার সাড়ে ৩৯ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এখন মাদ্রাসা পরিচালনা করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। এতিমদের টাকা দ্রুত ফেরত চাই।

ইসলামী ব্যাংক জয়পুরহাট শাখার ব্যবস্থাপক হাবিবুর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত দেড় কোটি টাকারও বেশি আত্মসাতের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এ ঘটনায় ব্যাংকের পক্ষ থেকে গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলে তদন্ত করা হচ্ছে। আপাতত ওই শাখায় লেনদেন বন্ধ রাখা হয়েছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ