সাবেক উপাচার্য, দুজন সাবেক সংসদ সদস্যসহ ১০ জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা
Published: 10th, March 2025 GMT
একজন সাবেক উপাচার্য, দুজন সাবেক সংসদ সদস্যসহ ১০ জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন আজ সোমবার এ আদেশ দেন।
আদালত সূত্র জানায়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এম আবদুস সুবহানের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া রাজশাহী-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন ও তাঁর স্ত্রী এলিনা আক্তারের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
এর বাইরে নেত্রকোনা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ইফতেখার উদ্দিন তালুকদার, তাঁর স্ত্রী ইসমত আরা, ছেলে ইবনাম ইফতেখার, মেয়ে সুমাইয়া মৌরমি ইফতি ও সাইবা মৌরমী ইশমার বিদেশযাত্রায়ও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান ও তাঁর স্ত্রী সাদিয়া আইনুনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
দুদক আদালতকে জানিয়েছে, উল্লিখিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। প্রত্যেকেই বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। পরে আদালত পৃথক আবেদনগুলোর শুনানি নিয়ে প্রত্যেকের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ঘরের চাবি তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বিশেষ আবাসন প্রকল্পে নির্মিত ঘরের চাবি তুলে দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধান উপদেষ্টা তেজগাঁওয়ের কার্যালয় থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
এ সময় চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী ও কুমিল্লা জেলা থেকে উপকারভোগীদের হাতে চাবি হস্তান্তর করা হয়।
প্রতিটি জেলা থেকে একজন করে উপকারভোগী তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেন। তারা প্রধান উপদেষ্টার প্রতি ধন্যবাদ জানান।
উজানের তীব্র ঢল আর অতি ভারি বৃষ্টির কারণে গত বছরের ২০ অগাস্ট থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়। পরে দ্রুতই তা ছড়িয়ে যায় ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, লক্ষ্মীপুর ও কক্সবাজারে।
ওই সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় জানায়, বন্যায় ১১ জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৫০ লাখ ২৪,২০২ জন। এসব জেলায় মারা যান ৭১ জন। এর মধ্যে ২৮ জনই ছিলেন ফেনীতে।
মৃতদের মধ্যে পুরুষ ছিলেন ৪৫ জন। এছাড়া, ১৯ শিশু এবং ৭ জন নারী মারা যান।
জেলাভিত্তিক তথ্য অনুযায়ী, ফেনীতে মারা যান সবচেয়ে বেশি ২৮ জন। এরপর কুমিল্লায় ১৯, চট্টগ্রামে ৬, নোয়াখালীতে ১১ জন, কক্সবাজারে ৩ এবং খাগড়াছড়ি, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, লক্ষ্মীপুর এবং ও মৌলভীবাজারে ১ জন করে মারা যান। দুর্গত এলাকায় ৩,৬১২টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়।
৩৬ দিনের গণ-আন্দোলন আর সহিংতায় সরকার পতনের ধাক্কা সামলে দেশকে স্থিতিশীলতার দিকে নিতে মাত্র কজ শুরু করেছিল অন্তর্বর্তী সরকার। ঠিক তখনই এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসে।
দুই সপ্তাহের মাথায় আসা এই দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকার দ্রুতই তৎপরতা দেখিয়েছিলো।
দেশের ১১ জেলায় বন্যা ছড়িয়ে পড়লে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গণত্রাণ সংগ্রহ কর্মসূচি শুরু করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, যার কেন্দ্র হয়ে ওঠে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র-টিএসসি।
ঢাকা/হাসান/ইভা