বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। মাহমুদউল্লাহকে রেখেই কেন্দ্রীয় চুক্তির তালিকা প্রস্তুত করেছিল বিসিবি।

রাইজিংবিডিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স সূত্র। শিগগিরই মাহমুদউল্লাহকে বাদ দিয়ে চুড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। তালিকায় ছিলেন মুশফিকুর রহিমও। তিনি অবসর নিয়েছেন।

মাহমুদউল্লাহসহ ২২ ক্রিকেটারকে রেখে কেন্দ্রীয় চুক্তির তালিকা তৈরি করেছিল বোর্ড। তবে মাহমুদউল্লাহর ভবিষ্যত পরিকল্পনা জানার জন্য তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। শুধু ওয়ানডে সংস্করণে খেলা মাহমুদউল্লাহ ছিলেন তৃতীয় ক্যাটাগরি তথা ‘বি’তে।

আরো পড়ুন:

তৃতীয় বিভাগ বাছাই লিগের ‘মেধাবী ক্রিকেটার’দের পরিচর্যায় বিসিবি

হাজার–বারো’শ উঠতি ক্রিকেটার নিয়ে বিসিবির টুর্নামেন্ট

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাজে পারফর্মের জন্য সমালোচনার মুখে পড়েন মাহমুদউল্লাহ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হতে শুরু করে সব জায়গায় আলোচনা হতে থাকে কবে থামবেন। মুশফিকের মতো অবসর না নিলেও চুক্তিতে না থাকায় মাহমুদউল্লাহকে দল থেকে বাদ দিতে সহজ হবে বিসিবির জন্য।

বাংলাদেশের জার্সিতে ২৩৯ ওয়ানডে খেলেছেন মাহমুদউল্লাহ। ৩৬.

৮৯ গড়ে রান করেছেন ৫ হাজার ৬৮৯টি। সেঞ্চুরি ৪টি আর হাফসেঞ্চুরি ৩২টি। ২০০৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অভিষেক হয়েছিল তার। আর সবশেষ ম্যাচ খেলেছে পাকিস্তানে, নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে।

ঢাকা/রিয়াদ/আমিনুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মৃৎশিল্পীদের ব্যস্ততা

মুরাদনগরে বৈশাখী মেলা ঘিরে কর্মব্যস্ত হয়ে পড়েছেন মৃৎশিল্পীরা। সারা বছর এই কাজের কদর না থাকলেও বৈশাখ রাঙাতে এই সময়টাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তারা।
আধুনিকতার ছোঁয়ায় আগের মতো চাহিদা নেই মৃৎশিল্পের। এই পেশায় নেই সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা। তাই প্রায় সারাবছরই অধিকাংশ নারী মৃৎশিল্পীকে অবসর সময় কাটাতে হয়। পুরুষ মৃৎশিল্পীদের অধিকাংশ চলে গেছেন অন্য পেশায়। তবে নববর্ষের আগে সব কাজ ফেলে তারা ছুটে আসেন পুরোনো এই পেশায়। মৃৎশিল্প থেকে সারা বছর কারিগররা আয়ের মুখ না দেখলেও বৈশাখী মেলা ঘিরে থাকে বাড়তি উপার্জনের সম্ভাবনা। এবারও মাসজুড়ে প্রতিটি কুমারপাড়ায় ছিল ব্যস্ততা।

কামাল্লা ও রামচন্দ্রপুর গ্রামের পালপাড়ায় দেখা গেছে, প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। জরাজীর্ণ আবাসগুলোতে কেউ মাটি ঘুটছেন, কেউ সেই মাটি ছাঁচে দিয়ে তৈজসপত্র তৈরি করছেন। কেউবা খেলনা শুকানোর পর রংতুলির আঁচড় দিচ্ছেন। বিশেষ করে শিশুদের চাহিদা মাথায় রেখে তৈরি করা হচ্ছে ছোট ছোট মাটির হাঁড়িপাতিল, মাটির চুলা, শিলপাটা, কড়াই, কলস, কুলা, পুতুল, হাতি, ঘোড়া, নৌকা, টিয়া, সিংহ, দোয়েল, কচ্ছপ, মাছ, হাঁসসহ নানা রকম ফল, ফুল আর বাহারি মাটির ব্যাংক, প্লেট, মগ, গ্লাস, চায়ের কাপ। এ ছাড়া রয়েছে মাটির তৈরি গৃহস্থালি জিনিসপত্র।

কামাল্লা গ্রামের সন্ধ্যা রানী পাল ও শিখা রানী পাল জানান, এখন মাটির জিনিসের তেমন কদর না থাকায় সারাবছর টানাপোড়েনের মধ্যে চলে তাদের সংসার। পূর্বপুরুষের পেশা হওয়ায় ইচ্ছা হলেও ছাড়তে পারছেন না। সারাবছর অবসর সময় পার করলেও বৈশাখী মেলায় মাটির তৈরি খেলনা ও জিনিসপত্রের চাহিদা থাকায় এই সময়ে ব্যস্ততা থাকে তাদের।
কথা হয় মৃৎশিল্পী হরি ভূষণ পালের সঙ্গে। তাঁর ভাষ্য, বছরের এই একটি উৎসব ঘিরে তাদের অনেক আশা থাকে। বৈশাখ মাস এলে মেলায় মাটির খেলনা সামগ্রীর চাহিদা বাড়ে। তাই এ সময় কিছু আয় হয়। তিনি হতাশার সুরে বলেন, ‘সরকার যদি আমাদের সহযোগিতা করত, তাহলে ব্যবসাটা ভালোভাবে করতে পারতাম।’
মৃৎশিল্পী কানন বালা জানান, পহেলা বৈশাখে বিভিন্ন জায়গায় মেলা বসে। এই মেলা থেকে শখের বসে অনেকে মাটির সামগ্রী, বিশেষ করে মাটির খেলনা কেনেন। তাই এই সময়ে কর্মব্যস্ততা বাড়ে তাদের।
রামচন্দ্রপুর গ্রামের খুশি পাল বলেন, ‘আমার বয়স ৫০ ছুঁই ছুঁই। বিয়ের পর থেকেই এই পেশার সঙ্গে জড়িত। আগে মাটির সামগ্রীর প্রচুর চাহিদা থাকলেও এখন আর তেমন নেই। এই শিল্পের সঙ্গে আমাদের জীবনজীবিকা নির্ভরশীল।’
মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুর রহমানের ভাষ্য, আধুনিকতার ছোঁয়ায় মৃৎশিল্প যে হারিয়ে গেছে, বিষয়টি তা নয়। বরং আধুনিকতার ছোঁয়ায় শিল্পকারখানার মাধ্যমে তৈরি হওয়া মাটির তৈজসপত্রর চাহিদা এখন প্রচুর। মুরাদনগরে যদি বেসরকারি কোম্পানি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এসব মৃৎশিল্পীকে কাজে লাগানো যায়, তাহলে অবশ্যই এই শিল্প থেকে ভালো সুফল পাওয়া সম্ভব। পাশাপাশি মৃৎশিল্প বাঁচিয়ে রাখতে বিআরডিবি ও সমবায় কার্যালয় থেকে যেন সরকারি সহায়তার ব্যবস্থা করা হয়। যেহেতু মুরাদনগরে কোনো মৃৎশিল্পের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নেই, তাই মৃৎশিল্পীদের এই পেশাকে বাঁচিয়ে রাখতে সহজে সরকারি সহায়তা দিতে উপজেলা প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মৃৎশিল্পীদের ব্যস্ততা
  • বিএমডিএর ৩ প্রকৌশলীকে অবসর-বরখাস্তের আদেশ স্থগিত