রাজধানীর গুলশান এলাকায় ১০ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে সজল হোসেন পলাশ (৪০) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আজ সোমবার অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শিশুটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে।

গুলশান থানা-পুলিশ আজ দুপুরে শারীরিক পরীক্ষার জন্য শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে নিয়ে যায়।

শিশুটির মা বলেন, তাঁদের পূর্বপরিচিত সজল পেশায় গাড়িচালক। পাশের বাসায় থাকেন। মাঝেমধ্যে তাঁদের বাসায় আসা-যাওয়া করতেন। গতকাল তিনি কাজে গেলে ভবনের চারতলার চিলেকোঠায় নিয়ে তাঁর শিশুমেয়েকে ধর্ষণ করেন সজীব। পরে তিনি সন্ধ্যায় বাসায় এসে বিষয়টি জানতে পেরে গুলশান থানায় গিয়ে মামলা করেন।

আরও পড়ুনধর্ষণের শিকার কিশোরীকে সালিসে ডেকে অপবাদ, আত্মহত্যা৩ ঘণ্টা আগে

গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাঈম উদ্দিন সুজন বলেন, এ ঘটনায় সজলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শিশুটিকে দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে ফরেনসিক পরীক্ষা করানো হয়েছে। পরে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুননিরাপত্তা শঙ্কায় আদালতে নেওয়া যায়নি আসামিদের, রিমান্ড শুনানিও হয়নি০৯ মার্চ ২০২৫আরও পড়ুনলালমাটিয়ায় দুই তরুণীকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে রিংকুকে হেফাজতে নিল পুলিশ৩ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

নড়াইলে সাত বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা, গ্রেপ্তার ২

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় সাত বছরের এক মেয়েশিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়েছে। মামলার পর আজ সোমবার বিকেলে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন উপজেলার একটি গ্রামের পান্নু মোল্যা (৩৮) ও পান্নু মোল্যার ভাবি (৩২)। পান্নু শিশুটিকে ধর্ষণচেষ্টা করেন; আর তাঁর ভাবি এ ঘটনা কাউকে না জানাতে শিশুটিকে হুমকি দেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী শিশুটির মা প্রথম আলোকে বলেন, ‘মেয়ের ইজ্জতের কথা ভেবে এবং স্থানীয়ভাবে বিচার পাব—এমন আশায় প্রথমে চুপ ছিলাম; কিন্তু স্থানীয়ভাবে কোনো বিচার পায়নি। পরে মামলা করেছি। আমি এ ঘটনার ন্যায্য বিচার চাই।’

পুলিশ ও স্বজন সূত্রে জানা যায়, শিশুটি স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেনে শিশু শ্রেণিতে পড়ে। ৬ মার্চ সকাল ১০টার দিকে মেয়েটি স্কুল থেকে বাড়িতে ফেরে। পরে খাওয়াদাওয়া শেষ করে বাড়ির পাশে পান্নুদের বাড়িতে বরই কুড়াতে যায়। তখন মেয়েটিকে বরই খেতে দেওয়ার কথা বলে ঘরে নিয়ে ধর্ষণচেষ্টা করেন পান্নু। একপর্যায়ে শিশুটি ঘর থেকে বের হয়ে যায়। এ সময় পান্নুর ভাবি শিশুটিকে ঘটনাটি কাউকে না বলার জন্য নিষেধ করে। তবে মেয়েটি বাড়িতে ফিরে তার মাকে সব বলে দেয়।

এ ঘটনায় সোমবার বিকেলে লোহাগড়া থানায় পান্নু মোল্যা ও তাঁর ভাবিকে আসামি করে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন শিশুটির মা।

লোহাগড়া থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আশিকুর রহমান বলেন, মামলার পরপরই দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ