নাটকের নির্মাতা আদিবাসী মিজান ভালোবেসে বিয়ে করেন অভিনেত্রী মানসী প্রকৃতি। তবে তাদের দাম্পত্য জীবনে টানাপোড়েন চলছিল, যা এবার প্রকাশ্যে এলো। রবিবার (গতকাল) স্বামী আদিবাসী মিজানকে ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন মানসী প্রকৃতি।

সেই মুহূর্তে ফেসবুক লাইভে ছিলেন মানসী এসময় তিনি বলেন, ‘একজন মানুষ যদি মদখোর, জুয়াখোর হয়, তাহলে তার আর কী থাকে? মদ খেয়ে সে আমার নামে উল্টাপাল্টা ফেসবুকে লিখে যাচ্ছে। আমাকে নিয়ে সে যে সব কথা বলছে, তার প্রমাণ দিতে বলেছি, প্রয়োজনে লাইভে আসতে বলেছি। আমি আর মেনে নিতে পারছি না।’

লাইভে দেখা যায়, আদিবাসী মিজান চিৎকার করছেন। মানসী আরও অভিযোগ করেন, ‘মিজান বলছে, নিলয় ভাইয়ের (নিলয় আলমগীর) সঙ্গে কাজ করতে পারিনি বলে আমি তাকে মেরেছি! আমি তাকে কেন মারব? রোজার সময় সে রোজা না রেখে মদ খেয়ে যাচ্ছিল, বাজে সব কথা বলছিল।’

অভিনেত্রীর কথায়, ‘আমি বাধ্য হয়ে লাইভে এসেছি ওকে পুলিশে দিতে। প্রতিদিন সে বাইরে রাত কাটায়, নেশা করে, জুয়া খেলে। তাকে হাজারবার বলেও কোনো লাভ হয়নি। আমি ওর মা, বোনের কাছে সাহায্য চেয়েছি, তাকে বোঝানোর জন্য। কিন্তু কিছুই হয়নি, বরং সে আমার নামে আজেবাজে কথা বলছে। এখন আর সহ্য করা সম্ভব না।’

নাটকের পাশাপাশি সিনেমাতেও কাজ করছেন মানসী প্রকৃতি। তবে এই মুহূর্তে তিনি ব্যস্ত নাটক নিয়ে। সম্প্রতি তিনি ‘দুই বউ বয়রা’, ‘বেক্কল না সোজা’সহ বেশ কয়েকটি নাটকে অভিনয় করেছেন। ‘বউ বেক্কল’ নাটকের সিক্যুয়েলও আসছে শিগগিরই।

এছাড়া, পরিচালক ফরিদুল হাসানের ‘হাউজ হাসবেন্ড’, গোলাম সোহরাব দোদুলের ‘মিলন হবে কত দিনে’, এবং আদিবাসী মিজানের ‘বেক্কলের মেলা’ ধারাবাহিক নাটকে কাজ করছেন তিনি। মানসী অভিনীত মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমার মধ্যে রয়েছে ‘শেষ কথা’, ‘যন্ত্রণা’, ও ‘জল শ্যাওলা’।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অভ ন ত র

এছাড়াও পড়ুন:

মাদারীপুরে হাতকড়াসহ ২ আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় আটক ২৭ 

মাদারীপুরের কালকিনিতে ইয়াবাসহ আটক দুই যুবককে হাতকড়া পরা অবস্থায় পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ২৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় আহত হন ৪ পুলিশ সদস্য। 

আজ শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত ছিনিয়ে নেওয়া আসামিদের আটক করতে পারেনি পুলিশ। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কালকিনি পৌরসভার মাছ বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, মাদারীপুরের কালকিনির মাছ বাজার এলাকা থেকে ইয়াবাসহ আটক দুই যুবককে আটক করে পুলিশ। তাদের হাতে হাতকড়া পরানোর পর পুলিশের ওপর হামলা চালায় স্থানীয়রা। পরে পুলিশের কাছ থেকে আসামিদের ছিনিয়ে নেয় তারা। এ সময় চারজন পুলিশ সদস্য আহত হন।

আহতরা হলেন, কালকিনি থানার এসআই আবুল বাশার, এএসএই সোহেল রানা, কাজী কাজী স্বপন ও আতিকুল ইসলাম। ছিনিয়ে নেওয়া আসামিরা হল কালকিনি পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের ঠ্যাঙ্গামারা গ্রামের সিরাজ খানের ছেলে ও স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা রাশেদুল খান (৩৫)। তিনি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি বদিউজ্জামাল বাকামিনের বড় ভাই ও একই এলাকার মোস্তফা সরদারের ছেলে আল আমিন সরদার (৩০)। আল আমিনের বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে। 

কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে. এম সোহেল রানা বলেন, দুই আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ২৭ জনকে আটক করে যাচাই-বাছাই চলছে। জড়িত না হলে তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে।

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম মুঠোফোনে সমকালকে জানান, সন্ধ্যায় কালকিনি থানার এসআই আবুল বাশারের নেতৃত্বে কালকিনি বাজারের বড়ব্রিজ এলাকা থেকে ৫ পিস ইয়াবাসহ আটক করা হয় আল আমিন সরদার ও রাশেদুল খানকে। হাতকড়া পরিয়ে বড়ব্রিজ থেকে মাছবাজারের কাছাকাছি পৌঁছালে পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় স্থানীয়রা। এ সময় কালকিনি থানার এসআই আবুল বাশার, এএসএই সোহেল রানা, কাজী কাজী স্বপন ও আতিকুল ইসলামকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে হামলাকারীরা। পরে হাতকড়া পড়া অবস্থায় ছিনিয়ে নেওয়া হয় আটক দুই যুবককে। আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী, কালকিনি থানা পুলিশ ও জেলা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ যৌথ অভিযানে নামে। এই ঘটনায় আলাদা দুটি মামলা করবে পুলিশ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ