আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেরা পাঁচ ব্যাটসম্যান
Published: 10th, March 2025 GMT
ভারতের শ্রেষ্ঠত্বের মধ্য দিয়ে পর্দা নামলো আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি-২০২৫ এর। ভারত চ্যাম্পিয়ন হলেও তাদের কোনো ব্যাটসম্যান সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারীদের তালিকায় শীর্ষে জায়গা করে নিতে পারেননি। বরং এক ম্যাচ কম খেলেও রান সংগ্রহকারীদের তালিকায় শীর্ষস্থান দখলে নিয়েছেন রানার্স-আপ হওয়া নিউ জিল্যান্ডের রাচিন রবীন্দ্র। তবে তার চেয়ে ২০ রানে পিছিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন ভারতের শ্রেয়াস আয়ার। এছাড়া বিরাট কোহলি আছেন সেরা পাঁচে।
৫.
বিরাট কোহলি (ভারত):
ভারতের টপ অর্ডার এই ব্যাটসম্যান মোট পাঁচ ম্যাচ খেলে ১ সেঞ্চুরি ও ১ হাফ সেঞ্চুরিতে মোট ২১৮ রান করেছেন। গড় ছিল ৫৪.৫০। স্ট্রাইক রেট ৮২.৮৮।
৪. জো রুট (ইংল্যান্ড):
ইংল্যান্ডের এই ব্যাটসম্যান মাত্র তিন ম্যাচ খেলেই রান করেছেন ২২৫টি। একটি সেঞ্চুরির পাশাপাশি একটি হাফ সেঞ্চুরিও করেছিলেন তিনি। আর এই রান নিয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারীদের তালিকায় চতুর্থ স্থানে আছেন রুট। তার গড় ছিল ৭৫.০০। আর স্ট্রাইক রেট ৯৬.৫৬।
আরো পড়ুন:
চ্যাম্পিয়ন হয়ে কতো টাকা পেল ভারত? নিউ জিল্যান্ড পেল কতো?
অবসর ভেঙে ফিরেই ২৮ বলে ১৫ ছক্কায় ডি ভিলিয়ার্সের সেঞ্চুরি
৩. বেন ডাকেট (ইংল্যান্ড):
ইংল্যান্ডের বেন ডাকেটও জায়গা করে নিয়েছেন সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারীদের তালিকায়। তিন ম্যাচ খেলে এক সেঞ্চুরিতে তিনি করেছেন ২২৭ রান। গড় ৭৫.৬৬ আর স্ট্রাইক রেট ১০৮.৬১।
২. শ্রেয়াস আয়ার (ভারত):
ভারতের শ্রেয়াস আয়ার আছেন তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে। ৫ ম্যাচ খেলে ২টি হাফ সেঞ্চুরিতে তিনি রান করেছেন ২৪৩টি। গড় ৪৮.৬০ আর স্ট্রাইক রেট ৭৯.৪১।
১. রাচিন রবীন্দ্র:
নিউ জিল্যান্ডের তারকা অলরাউন্ডার রাচিন রবীন্দ্র গ্রুপপর্বের প্রথম ম্যাচ খেলতে পারেননি। কিন্তু পরের চার ম্যাচে দুই সেঞ্চুরিতে করেছেন সর্বোচ্চ ২৬৩ রান। আর এই রান নিয়ে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী ব্যাটসম্যানদের তালিকায় তিনি অবস্থান নিয়েছেন শীর্ষে। তার গড় ছিল ৬৫.৭৫। স্ট্রাইক রেট ১০৬.৪৭।
রাচিন টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ও নির্বাচিত হয়েছেন।
ঢাকা/আমিনুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ন স গ রহক র দ র ত ল ক য় ব য টসম য ন কর ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
আমি যেভাবে বই পড়া বাড়ালাম
কেন বই পড়ি
হিসাবটা আদতে সোজাসাপটা। বই পড়তে চাই কি চাই না—এটাই প্রশ্ন। অনেকেই বলবেন, চাই না। কোনো কিছু জানতে ইন্টারনেট সার্চ করলেই তো হয়। সব তথ্য চলে আসে ঝাঁক বেঁধে। হালে চ্যাটজিপিটি বা এআই সেসব আরও গুছিয়ে দেয়। তাহলে পড়ার দরকার কী?
দরকার অনেক। ইংরেজিতে দুটি শব্দ আছে—ডেটা ও ইনফরমেশন। ডেটা মানে তথ্য, নানা রকম, নানা রূপের। সেখান থেকে কাজের জিনিসটা, অর্থবহ জিনিসটা বের করলে যা দাঁড়ায়, তার নাম ইনফরমেশন। ইন্টারনেটে সার্চ করলেন। এল অনেক তথ্য বা ডেটা। ইনফরমেশন এবং সেখান থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য নিজের খানিকটা জানাশোনা তো চাই। সে জন্য নানা দৃষ্টিকোণ থেকে একটা বিষয় কেমন দেখায়, জানতে হবে সেটা। এই বিষয়টার খোঁজ মিলবে বইয়ে। চ্যাটজিপিটিকে বললেও পাওয়া যাবে, তবে সেই সিদ্ধান্তটা যে আমাদের নিজের হবে না, তা আর বলতে!
নিজের দৃষ্টিভঙ্গি বা চিন্তাধারা গড়ে তোলার জন্যও বই পড়া জরুরি। জরুরি কল্পনাশক্তি গড়ে তোলার জন্য। মুগ্ধ হওয়ার জন্য। শব্দ পড়ে সেটাকে মাথায় ছবির রূপ দেওয়ার যে শক্তি, চর্চা করে তাতে ধার দিতে হয়।এটুকু তো জ্ঞান, সেটা বুঝেশুনে নিজের দৃষ্টিভঙ্গি বা চিন্তাধারা গড়ে তোলার জন্যও বই পড়া জরুরি। জরুরি কল্পনাশক্তি গড়ে তোলার জন্য। মুগ্ধ হওয়ার জন্য। শব্দ পড়ে সেটাকে মাথায় ছবির রূপ দেওয়ার যে শক্তি, চর্চা করে তাতে ধার দিতে হয়। নাহয় মরচে পড়ে যাবে। আর কেবলই ভিডিও দেখলে, যেখানে ছবিটা দিয়েই দেওয়া হচ্ছে, তখন আর গড়েই উঠবে না নিজের মাথায় ছবি আঁকার ক্ষমতা। ফলে কল্পনাশক্তি গড়ে উঠবে না। তাতে দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে ওঠার সম্ভাবনাটুকু নাই হয়ে যাবে অঙ্কুরেই। এসবই আমার মাথায় ঘুরেফিরে বেড়াচ্ছিল। কাজেই বই পড়ার সিদ্ধান্তটা নিয়ে ফেললাম শুরুতেই। সে জন্য সময় বের করা চাই।
আরও পড়ুনশিশুর হাতে কেন মাতৃভাষায় লেখা বই তুলে দেবেন২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫রাতে যেভাবে পড়িঘুমানোর আগে বিছানায় শুয়ে আধা ঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা বই পড়া যায় সহজেই। ক্লান্ত দেহের মতো মনেরও তো মলম চাই; গাছের গোড়ায় যেমন পানি দিতে হয়, তেমনি বই পড়া, মানে মাথাকে খানিকটা খাবার দেওয়া। এই খাবার আনন্দের, অফিসের চাপে চিঁড়েচ্যাপটা চিন্তাভাবনা নয়। এখানেই একটা বড় ঝামেলা টের পেলাম।
রাতে বিছানায় শুয়ে বই পড়ার বেলায় কম দামের সমাধান হলো রিডিং লাইট