বরিশালের গৌরনদীতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ৯জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দুইজনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।  

সোমবার (১০ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার মাহিলাড়া বাজারে সংঘর্ষটি হয়। গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. ইউনুস মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আহতরা হলেন- যুবদল কর্মী ফারুক সরদার, রাসেল হাওলাদার, সুজন মুন্সী, রাসেল খন্দকার, হাসান, ছাত্রদল কর্মী কাইউম হাওলাদার, ছাত্রদল কর্মী হৃদয় সরদার, যুবদল কর্মী বেল্লাল হোসেন ও আরমান। 

আরো পড়ুন:

জামালপুরে শিক্ষার্থী-আইনজীবী সংঘর্ষ, আহত ৮

সুনামগঞ্জে ২ পক্ষের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ২৫

হামলায় আহত যুবদল নেতা রাসেল হাওলাদার অভিযোগ করে বলেন, “আজ সকালে আমাদের একটি বালুর ট্রাক মাহিলাড়া থেকে নলচিড়ার দিকে যাচ্ছিল। মাহিলাড়া লালপুল নামক এলাকায় ট্রাক থামিয়ে চাঁদা দাবি করা হয়। একই সঙ্গে ট্রাকের চাবি নিয়ে যান হৃদয় সরদার ও তার সহযোগীরা। খবর পেয়ে যুবদল কর্মী রাসেল খন্দকার ও সুজন মুন্সীকে নিয়ে সেখানে গেলে আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়।” 

তিনি আরো বলেন, “পরে অন্যান্য যুবদল-ছাত্রদল কর্মীদের নিয়ে মাহিলাড়া বাজারে যাই। এসময় যুবদল নেতা সবুজ সিকদার ও তার সহযোগীরা হামলা চালিয়ে আমাদের ছয়জনকে আহত করে। এরমধ্যে ফারুক ও আমি শের-ই-বাংলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।”

অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা যুবদল নেতা সবুজ সিকদার বলেন, “সকালে মাহিলাড়া-নলচিড়া সড়কে বালু বোঝাই ট্রাক প্রবেশ করছিল। ছাত্রদল কর্মী হৃদয় সরদারের মোটরসাইকেলের সঙ্গে ট্রাকটির ধাক্কা লাগে। এ ঘটনায় হৃদয় আহত হন। ভারী ট্রাক রাস্তায় কেন ঢোকানো হয়েছে জানতে চাইলে হৃদয়ের ওপর ক্ষিপ্ত হন ট্রাক ড্রাইভার। এনিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে যুবদল নেতা মনির, রাসেল, সুজন, মোয়াজ্জেম, কবির চোকদারসহ ১০-১৫ জন ঘটনাস্থলে এসে হৃদয়, যুবদল কর্মী বেল্লাল ও আরমানকে মারধর করে।” 

তিনি আরো বলেন, “দ্বিতীয় দফায় মাহিলাড়া বাজারে হৃদয় সরদারের ভ্যারাইটিজ দোকান ও বিএনপি কর্মী মুজাহার সন্যামতের দোকানে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়।” 

গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো.

ইউনুস মিয়া বলেন, “ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/পলাশ/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ ব এনপ আহত য বদল ন ত স ঘর ষ গ রনদ

এছাড়াও পড়ুন:

পরীক্ষায় নকল সরবরাহের শর্তে টাকা আদায়

মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা আজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে। পরীক্ষা নিয়ে এবারও নকল সরবরাহসহ বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা করছে মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দ বেগম রোকেয়া মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীরা। শঙ্কায় আছেন অভিভাবকরাও। পরীক্ষায় নকল সরবরাহের শর্তে ১ হাজার ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা দিয়েছেন বলে জানিয়েছে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষার্থী।

জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মমিন মণ্ডল বলেন, যেসব কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ বা আগে অনিয়ম হয়েছে, সেখানে নজরদারি বাড়ানো হবে। কোচিং সেন্টারের শিক্ষকদের পরিদর্শক হিসেবে রাখা যাবে না। নির্দেশনা উপেক্ষা করে কোচিং শিক্ষকদের পরিদর্শক হিসেবে রাখা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

পায়রাবন্দ বেগম রোকেয়া মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে এবার মোট ৯টি বিদ্যালয়ের এক হাজার ৬৫ জন পরীক্ষা দেবে। বিদ্যালয়গুলো হলো– চূহড় উচ্চ বিদ্যালয়, বেতগাড়া উচ্চ বিদ্যালয়, বিরাহীমপুর উচ্চ বিদ্যালয়, পাইকান উচ্চ বিদ্যালয়, আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, জায়গীর স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং শালমারা দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়। কেন্দ্রের আশপাশে জায়গীরহাট গুগল কোচিং সেন্টার, পারফেক্ট স্টাডি কেয়ার, শাহিন কোচিং সেন্টার, টু-ইন-ওয়ান, ম্যাথ প্লাস কোচিং সেন্টার, শালমারা সংকল্প এবং তারাগঞ্জ শাহিন কোচিং সেন্টারের অবস্থান। অনেক বিদ্যালয়ের শিক্ষক এসব কোচিং সেন্টারের সঙ্গে যুক্ত। গত বছর তাদের অনেকে পরীক্ষা কেন্দ্রে পরিদর্শকের দায়িত্ব পালন করে টাকার বিনিময়ে শিক্ষার্থীদের অনৈতিক সুবিধা দিয়েছেন। এ নিয়ে সমকালে প্রতিবেদন প্রকাশের পর দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড তদন্ত করে। সত্যতা পেয়ে কেন্দ্রসচিব ও প্রতিষ্ঠান প্রধান মাহেদুল ইসলামকে ভর্ৎসনা করা হয়। তাঁকে ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ড না করার জন্য নির্দেশ দেয়। 

এবারও পরীক্ষা শুরুর আগেই জায়গীরহাট গুগল ও শাহীন কোচিং সেন্টারসহ কয়েকটি সেন্টারের পরিচালক শিক্ষার্থীদের বিশেষ সুবিধা দেওয়া হবে নিশ্চয়তা দিয়েছেন। এ কাজের জন্য তারা মোটা অঙ্কের টাকাও নিয়েছেন। বিশেষ করে ইংরেজি এবং গণিত পরীক্ষায় পাস করিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ১ হাজার ৫০০ থেকে এক হাজার ৮০০ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। 

জায়গীরহাট গুগল কোচিং সেন্টারের পরিচালক মওলা মিয়া বলেন, এ ধরনের অভিযোগ সঠিক নয়। তাদের সম্মান ক্ষুণ্ন করতে একটি মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে। একইভাবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শাহিন কোচিং সেন্টারের পরিচালক শাহিন মিয়াসহ অন্যরা। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র বর্মণ বলেন, পায়রাবন্দ কেন্দ্রের নিরাপত্তা এবং সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা নিশ্চিত করতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাড়তি নজরদারিতে থাকবে কেন্দ্রটি।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ