সর্বজনীন ঐক্য ফোরামের ইফতার মাহফিল ও মতবিনিময় সভা
Published: 10th, March 2025 GMT
সমাজে সম্প্রীতি ও সহযোগিতার বন্ধন আরও সুদৃঢ় করতে প্রয়োজন সমন্বিত প্রয়াস ও ইতিবাচক উদ্যোগ। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে সর্বজনীন ঐক্য ফোরাম রমজানের পবিত্রতা ও মানবতার সেবাকে গুরুত্ব দিয়ে এক ইফতার মাহফিল ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার আল কারীম কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে কুতুবপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন, যা পারস্পরিক বোঝাপড়া ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের গতিকে আরও ত্বরান্বিত করবে।
এ ছাড়াও সংগঠনের উপদেষ্টা মন্ডলী, কুতুবপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিগণ এবং ফোরামের অন্যান্য সদস্যরা অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে সর্বজনীন ঐক্য ফোরামের সভাপতি এম.
সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ফোরামের চলমান কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন। তারা উপস্থিত অতিথিদের মতামত ও পরামর্শ শোনেন এবং সংগঠনের উন্নয়নে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
সভায় উপস্থিত উপদেষ্টারা ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা সর্বজনীন ঐক্য ফোরামের বিভিন্ন কার্যক্রমকে আরও কার্যকর করার পরামর্শ দেন। তারা কুতুবপুরের সার্বিক কল্যাণে সংগঠনের ভূমিকা আরও বিস্তৃত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এসময় সংগঠনের বিভিন্ন প্রস্তাব ও পরিকল্পনার প্রতি সমর্থন জানিয়ে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
সভায় অংশগ্রহণকারীরা পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও সহযোগিতার পরিবেশ বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। ইফতারের পূর্বে আয়োজিত মতবিনিময় সভাটি সকলের মধ্যে একতা ও সংহতির বার্তা পৌঁছে দেয়, যা উপস্থিত সদস্যদের মাঝে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
সর্বজনীন ঐক্য ফোরামের নেতৃবৃন্দ মনে করেন, এই ধরনের উদ্যোগ সমাজে ঐক্য ও সম্প্রীতি গড়ে তুলতে সহায়ক হবে এবং আগামী দিনে আরও বৃহত্তর কল্যাণমূলক কার্যক্রমের ভিত্তি স্থাপন করবে। তারা ভবিষ্যতে এমন আরও আয়োজনের মাধ্যমে সমাজের উন্নয়নে ভূমিকা রাখার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ইফত র স গঠন র
এছাড়াও পড়ুন:
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ঘরের চাবি তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বিশেষ আবাসন প্রকল্পে নির্মিত ঘরের চাবি তুলে দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধান উপদেষ্টা তেজগাঁওয়ের কার্যালয় থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
এ সময় চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী ও কুমিল্লা জেলা থেকে উপকারভোগীদের হাতে চাবি হস্তান্তর করা হয়।
প্রতিটি জেলা থেকে একজন করে উপকারভোগী তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেন। তারা প্রধান উপদেষ্টার প্রতি ধন্যবাদ জানান।
উজানের তীব্র ঢল আর অতি ভারি বৃষ্টির কারণে গত বছরের ২০ অগাস্ট থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়। পরে দ্রুতই তা ছড়িয়ে যায় ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, লক্ষ্মীপুর ও কক্সবাজারে।
ওই সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় জানায়, বন্যায় ১১ জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৫০ লাখ ২৪,২০২ জন। এসব জেলায় মারা যান ৭১ জন। এর মধ্যে ২৮ জনই ছিলেন ফেনীতে।
মৃতদের মধ্যে পুরুষ ছিলেন ৪৫ জন। এছাড়া, ১৯ শিশু এবং ৭ জন নারী মারা যান।
জেলাভিত্তিক তথ্য অনুযায়ী, ফেনীতে মারা যান সবচেয়ে বেশি ২৮ জন। এরপর কুমিল্লায় ১৯, চট্টগ্রামে ৬, নোয়াখালীতে ১১ জন, কক্সবাজারে ৩ এবং খাগড়াছড়ি, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, লক্ষ্মীপুর এবং ও মৌলভীবাজারে ১ জন করে মারা যান। দুর্গত এলাকায় ৩,৬১২টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়।
৩৬ দিনের গণ-আন্দোলন আর সহিংতায় সরকার পতনের ধাক্কা সামলে দেশকে স্থিতিশীলতার দিকে নিতে মাত্র কজ শুরু করেছিল অন্তর্বর্তী সরকার। ঠিক তখনই এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসে।
দুই সপ্তাহের মাথায় আসা এই দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকার দ্রুতই তৎপরতা দেখিয়েছিলো।
দেশের ১১ জেলায় বন্যা ছড়িয়ে পড়লে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গণত্রাণ সংগ্রহ কর্মসূচি শুরু করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, যার কেন্দ্র হয়ে ওঠে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র-টিএসসি।
ঢাকা/হাসান/ইভা