সমাজে সম্প্রীতি ও সহযোগিতার বন্ধন আরও সুদৃঢ় করতে প্রয়োজন সমন্বিত প্রয়াস ও ইতিবাচক উদ্যোগ। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে সর্বজনীন ঐক্য ফোরাম রমজানের পবিত্রতা ও মানবতার সেবাকে গুরুত্ব দিয়ে এক ইফতার মাহফিল ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার আল কারীম কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে কুতুবপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন, যা পারস্পরিক বোঝাপড়া ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের গতিকে আরও ত্বরান্বিত করবে।

এ ছাড়াও সংগঠনের উপদেষ্টা মন্ডলী, কুতুবপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিগণ এবং ফোরামের অন্যান্য সদস্যরা অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে সর্বজনীন ঐক্য ফোরামের সভাপতি এম.

সোহাগ হোসাইন সভাপতিত্ব করেন এবং সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ সাজ্জাদ হোসেন শাওন সঞ্চালনা করেন।

সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ফোরামের চলমান কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন। তারা উপস্থিত অতিথিদের মতামত ও পরামর্শ শোনেন এবং সংগঠনের উন্নয়নে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।

সভায় উপস্থিত উপদেষ্টারা ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা সর্বজনীন ঐক্য ফোরামের বিভিন্ন কার্যক্রমকে আরও কার্যকর করার পরামর্শ দেন। তারা কুতুবপুরের সার্বিক কল্যাণে সংগঠনের ভূমিকা আরও বিস্তৃত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এসময় সংগঠনের বিভিন্ন প্রস্তাব ও পরিকল্পনার প্রতি সমর্থন জানিয়ে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

সভায় অংশগ্রহণকারীরা পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও সহযোগিতার পরিবেশ বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। ইফতারের পূর্বে আয়োজিত মতবিনিময় সভাটি সকলের মধ্যে একতা ও সংহতির বার্তা পৌঁছে দেয়, যা উপস্থিত সদস্যদের মাঝে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।

সর্বজনীন ঐক্য ফোরামের নেতৃবৃন্দ মনে করেন, এই ধরনের উদ্যোগ সমাজে ঐক্য ও সম্প্রীতি গড়ে তুলতে সহায়ক হবে এবং আগামী দিনে আরও বৃহত্তর কল্যাণমূলক কার্যক্রমের ভিত্তি স্থাপন করবে। তারা ভবিষ্যতে এমন আরও আয়োজনের মাধ্যমে সমাজের উন্নয়নে ভূমিকা রাখার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ইফত র স গঠন র

এছাড়াও পড়ুন:

আমি যেভাবে বই পড়া বাড়ালাম

কেন বই পড়ি

হিসাবটা আদতে সোজাসাপটা। বই পড়তে চাই কি চাই না—এটাই প্রশ্ন। অনেকেই বলবেন, চাই না। কোনো কিছু জানতে ইন্টারনেট সার্চ করলেই তো হয়। সব তথ্য চলে আসে ঝাঁক বেঁধে। হালে চ্যাটজিপিটি বা এআই সেসব আরও গুছিয়ে দেয়। তাহলে পড়ার দরকার কী?

দরকার অনেক। ইংরেজিতে দুটি শব্দ আছে—ডেটা ও ইনফরমেশন। ডেটা মানে তথ্য, নানা রকম, নানা রূপের। সেখান থেকে কাজের জিনিসটা, অর্থবহ জিনিসটা বের করলে যা দাঁড়ায়, তার নাম ইনফরমেশন। ইন্টারনেটে সার্চ করলেন। এল অনেক তথ্য বা ডেটা। ইনফরমেশন এবং সেখান থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য নিজের খানিকটা জানাশোনা তো চাই। সে জন্য নানা দৃষ্টিকোণ থেকে একটা বিষয় কেমন দেখায়, জানতে হবে সেটা। এই বিষয়টার খোঁজ মিলবে বইয়ে। চ্যাটজিপিটিকে বললেও পাওয়া যাবে, তবে সেই সিদ্ধান্তটা যে আমাদের নিজের হবে না, তা আর বলতে!

নিজের দৃষ্টিভঙ্গি বা চিন্তাধারা গড়ে তোলার জন্যও বই পড়া জরুরি। জরুরি কল্পনাশক্তি গড়ে তোলার জন্য। মুগ্ধ হওয়ার জন্য। শব্দ পড়ে সেটাকে মাথায় ছবির রূপ দেওয়ার যে শক্তি, চর্চা করে তাতে ধার দিতে হয়।

এটুকু তো জ্ঞান, সেটা বুঝেশুনে নিজের দৃষ্টিভঙ্গি বা চিন্তাধারা গড়ে তোলার জন্যও বই পড়া জরুরি। জরুরি কল্পনাশক্তি গড়ে তোলার জন্য। মুগ্ধ হওয়ার জন্য। শব্দ পড়ে সেটাকে মাথায় ছবির রূপ দেওয়ার যে শক্তি, চর্চা করে তাতে ধার দিতে হয়। নাহয় মরচে পড়ে যাবে। আর কেবলই ভিডিও দেখলে, যেখানে ছবিটা দিয়েই দেওয়া হচ্ছে, তখন আর গড়েই উঠবে না নিজের মাথায় ছবি আঁকার ক্ষমতা। ফলে কল্পনাশক্তি গড়ে উঠবে না। তাতে দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে ওঠার সম্ভাবনাটুকু নাই হয়ে যাবে অঙ্কুরেই। এসবই আমার মাথায় ঘুরেফিরে বেড়াচ্ছিল। কাজেই বই পড়ার সিদ্ধান্তটা নিয়ে ফেললাম শুরুতেই। সে জন্য সময় বের করা চাই।

আরও পড়ুনশিশুর হাতে কেন মাতৃভাষায় লেখা বই তুলে দেবেন২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫রাতে যেভাবে পড়ি

ঘুমানোর আগে বিছানায় শুয়ে আধা ঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা বই পড়া যায় সহজেই। ক্লান্ত দেহের মতো মনেরও তো মলম চাই; গাছের গোড়ায় যেমন পানি দিতে হয়, তেমনি বই পড়া, মানে মাথাকে খানিকটা খাবার দেওয়া। এই খাবার আনন্দের, অফিসের চাপে চিঁড়েচ্যাপটা চিন্তাভাবনা নয়। এখানেই একটা বড় ঝামেলা টের পেলাম।

রাতে বিছানায় শুয়ে বই পড়ার বেলায় কম দামের সমাধান হলো রিডিং লাইট

সম্পর্কিত নিবন্ধ