বার কাউন্সিলের ফি কমানোর দাবিতে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন
Published: 10th, March 2025 GMT
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের এনরোলমেন্ট পরীক্ষার ফি কমানোর দাবিতে মানববন্ধন করেছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১০ মার্চ) বিকেল ৪টায় আইন অনুষদের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নজরুল ভাস্কর্য এবং চির উন্নত মম শির এর সামনে এ কর্মসূচি পালন করে। এ সময় পরীক্ষার ফি ৪০২০ টাকা থেকে কমিয়ে ৩০০ টাকা করার দাবি জানান তারা।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের হাতে ‘অযৌক্তিক এবং বৈষম্যমূলক ফি বাতিল চাই’, ‘অধিকার নিয়ে বাণিজ্য,চলবে না’, ‘জুডিশিয়ারিতে ননক্যাডার চাই’, ‘বার কাউন্সিলের অযৌক্তিক ফি কমাতে হবে’, ‘বৈষম্যমুক্ত বার কাউন্সিল চাই’সহ বিভিন্ন লেখা সংবলিত প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।
শিক্ষার্থীরা জানান, ইন্টিমেশন দেওয়ার পর প্রথমেই রেজিস্ট্রেশনের জন্য ১ হাজার ৮০ টাকা দিতে হয়। এরপর আবার পরীক্ষায় বসার জন্য ৪ হাজার ২০ টাকা দিতে হয়। বিসিএসসহ অন্যান্য চাকরির ফি কমানো হয়েছে। আমাদের দোষটা কী? আমাদের দাবি ৪ হাজার ২০ টাকা থেকে কমিয়ে ফি ৩০০ টাকা নির্ধারণ করুন। আমরা এই যৌক্তিক দাবির দ্রুত বাস্তবায়ন চাই।
আইন ও বিচার বিভাগের শিক্ষার্থী তৈয়ব শাহনূর বলেন, “রাষ্ট্র যন্ত্রের এতগুলো সংস্কার চলছে.
আরেক শিক্ষার্থী সানজিদা সাবা বলেন, “বার কাউন্সিলের ফি কমানো আর জুডিশিয়ারিতে ননক্যাডার পদ যৌক্তিক দাবি। এগুলো নিয়ে টালবাহানা না করে দ্রুত মানতে হবে। এটা আমাদের অধিকার।
সম্প্রতি বার কাউন্সিল পূর্বের মত বার কাউন্সিল এনরোলমেন্ট পরীক্ষায় ৪ হাজার ২০ টাকা ফি নির্ধারণ করে বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার পর থেকে ঢাকাসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের শিক্ষার্থী ও শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা প্রতিবাদ জানিয়ে কর্মসূচি পালন করছে।
ঢাকা/তৈয়ব/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নারীদের ওপর সহিংসতার প্রতিবাদে নারীরা
ধর্ষণ-নিপীড়ন-সহিংসতার বিরুদ্ধে জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন নারীরা। এতে অংশ নেন দুই শর বেশি নারী। গতকাল শুক্রবার বিকেলে ‘নারী সহিংসতার বিরুদ্ধে নারী’ নামের একটি প্ল্যাটফর্মের উদ্যোগে এই মানববন্ধন হয়। সেখানে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর পদত্যাগের দাবি এবং নারীর অধিকার নিশ্চিত করাসহ নানা বক্তব্য সংবলিত প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে দাঁড়ান বিভিন্ন পেশার নারীরা। মানববন্ধন শেষে গান গেয়ে এবং ‘আজাদি, আজাদি’ স্লোগান দিয়ে শোভাযাত্রার মাধ্যমে কর্মসূচি শেষ করেন তাঁরা।
মানববন্ধন শেষে এর আয়োজকদের দেওয়া এক বার্তায় বলা হয়, ‘বাংলাদেশে নারীদের নিরাপত্তা এখন একটি প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দেশজুড়ে সমাজের সব স্তরের নারীদের ওপর হয়রানি, নির্যাতন, ধর্ষণ, গণপিটুনি ও সাইবার বুলিংয়ের উদ্বেগজনক ঘটনা ঘটছে। এগুলোকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে দেখার সুযোগ নেই; বরং এটি নারীদের বিরুদ্ধে একটি সুপরিকল্পিত সহিংসতা ও ভয় দেখানোর ধারাবাহিক প্যাটার্নের অংশ।’
বার্তায় আরও বলা হয়, এর মধে৵ ঢাকার শ্যামলীতে যৌনকর্মীদের ওপর হামলা, লালমাটিয়ায় দুই শিক্ষার্থীকে জনসমক্ষে নির্যাতন ও হয়রানি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারের কর্মীর এক শিক্ষার্থীকে হয়রানির ঘটনা, কক্সবাজারে হিজড়াদের ওপর হামলা, রংপুর ও জয়পুরহাটে মেয়েদের ফুটবল মাঠে আক্রমণ, আদিবাসী নারীদের ওপর অব্যাহত নিপীড়ন এবং ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় নারীদের ওপর প্রতিদিনের হয়রানি, এমনকি নিষ্ঠুর ‘মব অ্যাটাক’ (দলবদ্ধ হামলা) উল্লেখযোগ্য। নারীদের প্রতি সহিংসতার পাশাপাশি দেশের অন্যান্য প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ওপরও প্রতিশোধমূলক হামলা, হুমকি ও সংগঠিত ‘মব অ্যাটাক’ এখন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।
এসব ঘটনায় সরকারের প্রতিক্রিয়া কেবল মুখের কথায় পরিণত হয়েছে অভিযোগ করে বার্তায় বলা হয়েছে, ‘স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এবং পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের বিবৃতিগুলো নারীদের আশ্বস্ত করার পরিবর্তে পরিস্থিতিকে আরও জটিল করেছে। ভুল তথ্য, আইন ও বাস্তবতা সম্পর্কে বিভ্রান্তি তাদের বক্তব্যে স্পষ্ট, যা কিনা ঘটনার বিচার না করে বরং অপরাধীদের রক্ষা করেছে।’
নারীদের এই সমাবেশ থেকে পাঁচটি দাবি জানানো হয়। এর মধ্যে রয়েছে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে অপসারণ, সাইবার বুলিং বন্ধ ও অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা এবং গণমাধ্যমে ভুল তথ্য প্রচার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া।