ছুরিকাঘাতে নিহত ছাত্রদলকর্মী অপূর্বর দাফন সম্পন্ন
Published: 10th, March 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাড়া বালুর মাঠে ছুরিকাঘাতে নিহত ছাত্রদলকর্মী অপূর্বর দায়িত্ব নিয়ে তার দাফন সম্পন্ন করেছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক সাবেক ছাত্রনেতা মনিরুল ইসলাম সজল ও সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদ।
সোমবার (১০ মার্চ) বাদ আছর নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে ছাত্রদল কর্মী অপূর্বর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড.
এদিকে সকাল থেকেই ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে অবস্থান করেন মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল ও সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদের নেতৃত্বে মহানগর যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ভীড় জমায় ছাত্রদল কর্মী অপূর্বর মৃত দেহের জন্য।
দুপুরের পর পর ময়নাতদন্ত শেষে অপূর্বর মৃত দেহ লাশ বাহি এসি গাড়ি ব্যবস্থা করে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে বাদ আছর জানাজার ব্যবস্থা করেন। এরপরও অপূর্ব মৃতদেহ মাসদাইরের বাড়িতে নিয়ে যায়। বাদ মাগরিব সেখানে জানাজার শেষে মাসদাইর কেন্দ্রীয় কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।
এর আগে গত রবিবার রাতে ঘটনা শুনা মাত্রই নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল ও সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদ হাসপাতালে ছুটে যান এবং নিহত ছাত্রদলকর্মী অপূর্বর দাফন কাফনসহ সম্পূর্ণ দায়িত্ব নেন।
উল্লেখ্য, গত রবিবার চাষাড়ার বালুর মাঠ এলাকায় এক বৃদ্ধের সাথে বাক-বিতন্ডায় জড়ায় ছিনতাইকারী সম্রাট। এসময় মিছিল শেষে যাওয়ার পথে বাক-বিতন্ডা করতে নিষেধ করে ছাত্রদল কর্মী অপূর্ব। নিষেধ করার কারণেই তার বুক বরাবর চাকু দিয়ে আঘাত করে সম্রাট।
এসময় সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তখন উত্তেজিত জনতা ছিনতাইকারীকে মারধর শুরু করে করে পুলিশে সোপর্দ করে। ছাত্রদল কর্মী অপূর্ব (২০), মাসদাইর এলাকার খোকন মিয়ার ছেলে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ছ ত র দল ন র য়ণগঞ জ সদস য স ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
মর্গ্যান গার্লস স্কুল এন্ড কলেজে জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা উপেক্ষিত
মর্গ্যান গার্লস স্কুল এন্ড কলেজেনারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা উপেক্ষিত হচ্ছে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে পাঠানো লিখিত নির্দেশ মানছেন না মর্গ্যান গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল নুসরত রেবেকা। সরকারি প্রজ্ঞাপনে আদেশ থাকা সত্ত্বেও সহকারী প্রধান শিক্ষক লায়লা আক্তারের সরকারি বেতন-ভাতা প্রদান করছে না।
ফলে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সঙ্গে দেখা করে তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিন শতাধিক শিক্ষক, অভিভাবক, এলাকাবাসী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ।
জানাগেছে, গত ২৩ এপ্রিল বুধবার তিন শতাধিক শিক্ষক, অভিভাবক, এলাকাবাসী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা মহোদয়ের সাথে দেখা করে মর্গ্যান গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের বিভিন্ন অনিয়ম ও বেআইনি কর্মকান্ড তুলে ধরেন।
এসময়ে জেলা প্রশাসক মহোদয় সকল শিক্ষক, অভিভাবক, এলাকাবাসী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের কথা মনোযোগ সহকারে শুনেন এবং বলেন কি কি অনিয়ম ও বেআইনি কর্মকান্ড হচ্ছে আপনারা লিখিতভাবে আমাকে দেন। আমি সে ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
তিনি আরও বলেন, কারো বেতন ভাতা বন্ধ করা আমার কাজ নয়, যেহেতু সরকারি প্রজ্ঞাপন রয়েছে বেতন ভাতা প্রদানের জন্য এবং তদন্ত কমিটি সুপারিশ করেছে তাহলে অবশ্যই লায়লা আক্তারসহ সকলের বেতন ভাতা প্রদান করা হবে।
এবিষয়ে শিক্ষক, অভিভাবক, এলাকাবাসী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ বলেন, মর্গ্যান গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক লায়লা আক্তার বিদ্যালয়ে না থাকায় বিদ্যালয়ে বিশৃঙ্খল ও অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। তার অনুপস্থিতিতে বিদ্যালয়ে পাঠদানে ব্যাপক বেগার্ড করছে। এমনকি শিক্ষকরাও দলাদলি এবং বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
তারা আরও বলেন, যেহেতু সরকারি প্রজ্ঞাপন রয়েছে বেতন ভাতা চালু ও স্বপদে বহাল করার এবং জেলা প্রশাসক মহোদয় দুইজন ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে তদন্ত করিয়েছেন । তদন্ত কমিটি সম্পূর্ন নির্দোষ ও বেতন ভাতা প্রদানের সুপারিশ করেছেন।
জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কার্যালয় হতে জেলা প্রশাসক মহোদয় বেতন ভাতা প্রদানের লিখিত নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু অদ্যবধি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নুসরত রেবেকা এখন পর্যন্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক লায়লা আক্তারের বেতন-ভাতা প্রদান করছেন না। তাই লায়লা আক্তারকে অবিলম্বে স্বপদে বহাল ও বেতন ভাতা চালু করতে জেলা প্রশাসক মহোদয়কে অনুরোধ করেন।
তবে এবিষয়ে জানতে মর্গ্যান গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল নুসরত রেবেকা বলেন, সরকারিভাবে প্রজ্ঞাপন বলা হয়েছে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের বেতন ভাতা দেওয়ার জন্য।
সহকারী প্রধান শিক্ষকের বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে কোন কিছু লেখা নাই। আর জেলা প্রশাসকের প্রজ্ঞাপনে তো আমি তার বেতন দিতে পারি না। সরকারিভাবে সহকারী প্রধান শিক্ষকের বিষয় প্রজ্ঞাপন আসতে হবে।
তিনি আরও বলেন, তিনি তো পদত্যাগ করেছে। আর আমার তো বেতন দেয়ার কোন এখতিয়ার নাই। আমাদের সভাপতিসহ কমিটি লোকজন আছে তাদের সাথে আলাপ-আলোচনা করে তারপরে তার বেতন বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
অফিস আওয়ারে স্কুলে আসবেন আপনার সাথে কথা বলবো। ফোনে আপনার সাথে বেশি কথা বলব না।