চৌধুরী আলম গুম: মায়াসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ
Published: 10th, March 2025 GMT
পনেরো বছর আগে বিএনপি নেতা ঢাকার সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার মুক্তিযোদ্ধা চৌধুরী আলম গুমের ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জাল হোসেন চৌধুরী মায়া, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন শাখায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে চৌধুরী আলমের ছেলে আবু সাঈদ চৌধুরী সোমবার এই অভিযোগ দাখিল করেন। তাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।
অন্য যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে তারা হলেন- স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাসিম,
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাবেক সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট, সাবেক সেনা কর্মকর্তা কমান্ডার সোহায়েল, তৎকালীন র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (বরখাস্ত) কর্নেল মো.
অভিযোগটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন, ১৯৭৩ অনুযায়ী রেজিস্ট্রিভুক্ত করে অভিযোগ আনা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। ২০১০ সালের ২৫ জুন সন্ধায় চৌধুরী আলম ফার্মগেট সংলগ্ন ইন্দিরা রোড কালিন্দী এপার্টমেন্টের সামনে থেকে নিখোঁজ হন। এরপর তার আর খোঁজ মেলেনি। ওয়ান-ইলেভেনের পর চৌধুরী আলমের বিরুদ্ধে ১০টি মামলা দায়ের হয়। ওই সময় গ্রেপ্তার হয়ে টানা ২৭ মাস কারাভোগ করেন তিনি।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
কক্সবাজারে এসএসসি পরীক্ষা দিতে পারল না ১৩ শিক্ষার্থী
কক্সবাজারের উখিয়ায় প্রবেশপত্র না পাওয়ায় এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি হলদিয়া পালং আদর্শ বিদ্যা নিকেতন বিদ্যালয়ের ১৩ জন শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) পরীক্ষার দিন সকালে তারা প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে গিয়ে বিদ্যালয়ের গেটে তালা ঝুলতে দেখে হতভম্ব হয়ে পড়ে।
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ ও ভাঙচুর চালায়। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সময়মতো রেজিস্ট্রেশন ও ফরম পূরণের টাকা দিলেও বোর্ডে তাদের ফরম জমা দেওয়া হয়নি।
পরীক্ষার্থী মাসুমা আক্তারের অভিভাবক নুরুল আলম বলেন, “সব টাকা দিয়েছি, মেয়েটা সারাদিন কান্নাকাটি করেছে। স্কুলে গেলে দেখি তালাবদ্ধ, কেউ নেই।”
উপজেলা অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার বদরুল আলম বলেন, “১৩ জন শিক্ষার্থীর কারোই বোর্ডে ফরম পূরণ হয়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুল হোসেন চৌধুরী বলেন, “বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পরীক্ষার ৩০ মিনিট আগে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। আমরা বোর্ডে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, তাদের ফরম পূরণই হয়নি। ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে ওঠা এসব প্রতিষ্ঠানের কারণে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “ভুক্তভোগী অভিভাবকরা লিখিত অভিযোগ দিলে ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/তারেকুর/এস