পুঁজিবাজার বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহী পরিচালক (ইডি) মো. মাহবুবুল আলম পদত্যাগ করেছেন।

সোমবার (১০ মার্চ) তিনি অফিস করেন এবং পদত্যাগপত্র বিএসইসির চেয়ারম্যান বরাবর জমা দেন বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, মাহবুবুল আলম দীর্ঘ ২৫ বছরের বেশি সময় ধরে বিএসইসির কর্মরত ছিলেন। তবে গত বুধবার (৫ মার্চ) বিএসইসি চেয়ারম্যান ও তিন কমিশনারকে অবরুদ্ধ করে রাখাসহ নানা অভিযোগ আনা হয় তিনিসহ একাধিক কর্মকর্তা কর্মচারীর বিরুদ্ধে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) রাতে তিনিসহ ১৬ কর্মকর্তা কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। তবে মাহবুবুল আলম গত রবিবার (৯ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল রানা তার জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।

এদিকে রবিবার ও সোমবার পর্যন্ত বিএসইসির ১৩ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী আত্মসমর্পণ করে জামিন নিয়েছেন। তবে বিএসইসির সাবেক নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান, পরিচালক আবু রায়হান মো.

মোহতাছিন বিল্লা এবং উপ-পরিচালক তৌহিদুল ইসলাম এখনো জামিন নেননি বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মো. মাহবুবুল আলম রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, ‘‘রবিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নিয়েছি। সোমবার অফিস করেছি। সার্বিক দিক বিবেচনা করে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তাই আজকে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি।’’

ঢাকা/এনটি/এনএইচ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এসইস র পদত য গ

এছাড়াও পড়ুন:

বিএসইসি চেয়ারম্যান-কমিশনারকে অবরুদ্ধ, অপরাধীদের শাস্তি চায় অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান ও তিন কমিশনারের পদত্যাগের দাবিতে তাঁদের অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনাকে ‘সন্ত্রাসী কায়দা’ উল্লেখ করে অপরাধীদের শাস্তির দাবি করেছে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন।

আজ শনিবার প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের এই সংগঠনের সভাপতি ও পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম এবং মহাসচিব ও ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী এক বিবৃতি এই দাবি করেছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, ৫ মার্চ পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির কিছু উচ্ছৃঙ্খল কর্মকর্তা-কর্মচারী সংস্থাটির চেয়ারম্যান ও তিন কমিশনারের পদত্যাগের দাবি জানিয়ে তাদের বিএসইসি ভবনের চতুর্থ তলায় চার ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন এবং তাঁদের সঙ্গে থাকা কর্মকর্তাদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। পরে সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাঁদের উদ্ধার করেন।

অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন মনে করে, সরকারি কর্মচারীদের এ ধরনের উচ্ছৃঙ্খল আচরণ প্রচলিত আইনবিরোধী এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সরকারি কর্মচারীদের যেকোনো যৌক্তিক দাবি ও অভিযোগ নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে সরকারের প্রতি অনুগত থেকে পেশ করা উচিত। এ ধরনের অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা না গেলে রাষ্ট্রের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হবে।

আরও পড়ুনবিএসইসি চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি করছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা০৫ মার্চ ২০২৫

অ্যাসোসিয়েশন বলছে, সরকারি কর্মচারীদের জন্য প্রযোজ্য আচরণবিধিকে অমান্য করে সন্ত্রাসী কায়দায় সরকারি ভবন ও কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ ও আক্রমণ করায় সরকারের ভাবমূর্তি ব্যাপকভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে। তারা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও অপরাধীদের চিহ্নিত করে দ্রুত শাস্তির দাবি জানিয়েছে।

আরও পড়ুনবিএসইসি চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের পদত্যাগের দাবিতে কাল থেকে কর্মবিরতির ঘোষণা০৫ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিএসইসির সার্ভেইল্যান্সে সিস্টেম ব্যবহার অনিয়মের শঙ্কা: দুদক
  • বিএসইসির ১৩ কর্মকর্তার জামিন
  • এবার বিএসইসির সার্ভিলেন্স বিভাগে দুদকের অভিযান
  • সবাইকে কাজে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানালেন বিএসইসি চেয়ারম্যান
  • পিটার হাসকে হুমকি দেওয়া সেই মুজিবের স্ত্রী কারাগারে
  • বিএসইসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠকে পুঁজিবাজার স্টেকহোল্ডাররা
  • আসাদ পালালেও সংঘাত থামেনি সিরিয়ায়
  • বিএসইসি চেয়ারম্যান-কমিশনারকে অবরুদ্ধ, অপরাধীদের শাস্তি চায় অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন
  • সিরিয়ায় অভিযানে আলাউইত সম্প্রদায়ের ১৬২ জন নিহত, অস্ত্র সমর্পণের আহ্বান শারার