চুরি করতে গিয়ে ধরা, বেরিয়ে এলো ধর্ষণের পর হত্যার তথ্য
Published: 10th, March 2025 GMT
পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে ইজিবাইক চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়েন রিফাত বিন সাজ্জাদ (২৩)। স্থানীয়রা তাকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দেন। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তার মোবাইলে এক তরুণীকে বেঁধে রাখা ও নির্যাতনের ভিডিও দেখতে পায় পুলিশ। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে অজ্ঞাতপরিচয় ওই তরুণীকে হত্যার লোমহর্ষক বর্ণনা দেন তিনি।
সোমবার দুপুরে পঞ্চগড় পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুন্সী।
তিনি জানান, শনিবার (৮ মার্চ) ভোর ৪টার দিকে উপজেলার রাধানগর গ্রামের তাহিরুল ইসলামের ইজিবাইক চুরি করে পালানোর সময় ধরা পড়ে রিফাত বিন সাজ্জাদ। এসময় তার সহযোগী আরও ২ জন পালিয়ে যায়। তিনি বোদা উপজেলার মাঝগ্রাম এলাকার মো.
পরে তার স্বীকারোক্তিতে জানা যায়, পালিয়ে যাওয়া দুইজন হলো রাণীগঞ্জ এলাকার মো. ফরিদুল ইসলাম ও ঠাকুরগাঁওয়ের নামাজপাড়া এলাকার জাহাঙ্গীর আলম।
গ্রামবাসীর গণধোলাইয়ের পর সাজ্জাতকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। তখনই চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে। তিনি গত ১৩ জানুয়ারি রাধানগর কিসমত রেলস্টেশন এলাকায় এক নারীকে (২৭) ধর্ষণের পর হত্যা করেছিল বলে স্বীকার করে। পুলিশ তার মোবাইলে হত্যাকাণ্ডের ছবি-ভিডিও উদ্ধার করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, গত ১৩ জানুয়ারি ঢাকা থেকে পঞ্চগড়গামী একতা এক্সপ্রেস ট্রেনে ওই তরুণীর সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এরপর আটোয়ারীর কিসমত স্টেশনে নামিয়ে পাশের এলাকায় নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তরুণীর যৌনাঙ্গ, স্তনসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ কেটে হত্যা করে। পরে মরদেহ রেললাইনে ফেলে যায়। পরদিন কিসমত এলাকায় রেলাইনে ক্ষতবিক্ষত ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়। তবে খবর পেয়ে ঠাকুরগাঁয়ের ভুল্লি এলাকার একটি পরিবার তাদের মেয়ে মনে করে মরদেহ গ্রহণ করে দাফন সম্পন্ন করেন।
পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুন্সী বলেন, ধর্ষণ ও হত্যার শিকার ওই নারী পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি। আমরা তার পরিচয় খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। আসামি স্বীকারোক্তিতে জানিয়েছেন, ধর্ষণের পর ওই নারী টাকা দাবি করে এবং তার মাকে নিয়ে গালিগালাজ করে, সেজন্য তরুণীকে হত্যা করেছেন তিনি।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এল ক র
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনার সড়কে ঝরল ২ নারীর প্রাণ
খুলনার ডুমুরিয়ায় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে কথা বলার সময় তেলবাহী লরির চাপায় দুই নারীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার নরনিয়া গ্রামের রশিদের বাড়ি নামক স্থানে ঘটনাটি ঘটে।
মারা যাওয়ারা হলেন- নরনিয়া গ্রামের আ. রশিদের স্ত্রী রিজিয়া খাতুন (৪৮) এবং ফজর আলীর স্ত্রী রোকেয়া বেগম (৬০)।
ডুমুরিয়া হাইওয়ে থানার এসআই মো. কামরুল ইসলাম বলেন, “বুধবার বিকেল ৫টার দিকে রিজিয়া খাতুন ও রোকেয়া বেগম রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। খুলনা থেকে একটি তেলবাহী লরি যশোরের দিকে যাচ্ছিল। নরনিয়া গ্রামে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওই দুই নারীকে চাপা দিয়ে পাশের একটি খালে পড়ে যায়।”
আরো পড়ুন:
‘মরণ রাস্তার মোড়ে’ সড়ক দুর্ঘটনা, বিক্ষোভ গরম রাজশাহী
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে বাসচাপায় নিহত ১
তিনি আরো বলেন, “স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মরদেহ দুইটি উদ্ধার করে থানায় নেয়। প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের পর মরদেহ দুইটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। ঘাতক ট্রাকের চালক পালাতক।”
ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ