নাট্যনির্মাতা রুবেল হাসান নির্মাণ করেছেন একক নাটক ‘বউয়ের বিয়ে’। এতে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন ইয়াশ রোহান ও তটিনী।
সিএমভির ব্যানারে নির্মিত নাটকটির গল্প লিখেছেন কামরুন্নাহার দীপা। চিত্রনাট্য তৈরি করেছেন মেজবাহ উদ্দীন সুমন।
‘বউয়ের বিয়ে’ নামকরণ প্রসঙ্গে নির্মাতা রুবেল হাসান বলেন, “ঈদের নাটক হিসেবে আমরা মজার একটি প্লট বেছে নিয়েছি। যাকে বলে খাঁটি রোমান্টিক-কমেডি ফ্যামিলি ড্রামা। যেখানে উঠে আসবে পাশাপাশি বসবাস করা হেনা ও নাজিমদের দুই বাড়ির গল্প। যে দুজন একে অপরের প্রেমে পড়েন। গোপনে বিয়েও করেন। মূলত, এরপরই শুরু হয় পারিবারিক মজার জটিলতা। নাটকটি দেখলে দর্শকদের পয়সা উসুল হবে, এটুকু কথা দিচ্ছি।”
আরো পড়ুন:
রুনা খানের বাবা মারা গেছেন
ফের বিয়ে করলেন আনিসুর রহমান মিলন
হেনা চরিত্রে তটিনী আর নাজিম চরিত্রে ইয়াশ রোহান অভিনয় করেছেন। কামরুল ইসলাম শুভর সিনেমাটোগ্রাফিতে সম্প্রতি নাটকটির শুটিং শেষ হয়েছে। এখন সম্পাদনার কাজ চলছে।
প্রযোজক এসকে সাহেদ আলী পাপ্পু জানান, এই ঈদে সিএমভি’র ব্যানারে প্রকাশ পাচ্ছে অন্তত ২০টি বিশেষ নাটক। যা চাঁদরাত থেকে ক্রমশ মুক্তি পাবে সিএমভি’র ইউটিউব চ্যানেলে।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক কর ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
মার্কিন নারীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ, ‘চুইল্যা’ তারেকুল ইসলাম গ্রেপ্তার
কক্সবাজারে এক মার্কিন নারীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে শহরের হিলডাউন সার্কিট হাউসের সামনের সড়কে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার মাত্র সাড়ে ৬ ঘণ্টার মাথায় অভিযুক্ত যুবক তারেকুল ইসলামকে (২৪) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে আগেও থানায় শ্লীলতাহানির অভিযোগ রয়েছে। সে ‘চুইল্যা তারেক’ নামে পরিচিত।
শ্লীলতাহানির শিকার এলিজাবেথ কিনেল (২৬) এর স্বামী কক্সবাজারে ইউএন (জাতিসংঘ) এজেন্সিতে কর্মরত আছেন। ঘটনার সময় এলিজাবেথ কিনেলের সঙ্গে অর্চনা মাল্লা নামের আরেকজন নারীও ছিলেন।
কক্সবাজার পুলিশ সুপার সাইফুদ্দিন শাহীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ সুপার কার্যালয়ের মিডিয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) জসিম উদ্দিন চৌধুরী জানান, সকাল ১০টার দিকে ওই ঘটনা ঘটার পর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কক্সবাজার শহরের ঝাউতলা এলাকা থেকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত তারেকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সুপার সাইফুদ্দিন শাহীন জানান, ঘটনার পর ভুক্তভোগী নারী এক শর্ট মেসেজের মাধ্যমে পুরো বিষয়টি পুলিশ সুপারকে জানান।
ওই খুদে বার্তায় বলা হয়, এলিজাবেথ কিনেল ও অর্চনা মাল্লা আজ সকাল ১০টার দিকে শহরের শহীদ সরণি দিয়ে হাঁটছিলেন। তারা বুঝতে পারেন একজন যুবক তাদের অনুসরণ করছে। এটা বুঝতে পেরে তারা হিলডাউন সার্কিট হাউসের সামনে দাঁড়িয়ে পড়েন। তখন তাদের অনিরাপদ মনে হচ্ছিল। তারা দাঁড়িয়ে গেলে যুবকটি এসে তাদের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করে। হঠাৎ যুবকটি এলিভাবেথ কিনেলকে পেছন থেকে ঝাপটে ধরে এবং স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দেয়। পরে ওই যুবক দৌড়ে পালিয়ে যায়।
খুদে বার্তায় ওই মার্কিন নারী যৌন হয়রানিকারী যুবকের শারীরিক অবয়ব তুলে ধরেন। তিনি লিখেন, ছেলেটি খাটো। হলুদ রঙের টি-শার্ট পরা ছিল।
পুলিশ সুপার বলেন, মাত্র ১০ সেকেন্ডের মধ্যেই এসব ঘটনা ঘটে যায়। খুদে বার্তা পাওয়ার পর পুলিশ ওই যুবককে ধরতে অভিযান শুরু করে। মাত্র সাড়ে ৬ ঘণ্টা মাথায় তাকে ধরা সম্ভব হয়েছে। ভুক্তভোগী নারীও ঘটনায় জড়িত যুবককে শনাক্ত করেছেন।
অভিযুক্ত তারেকুল ইসলাম কক্সবাজার শহরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ফরিদুল আলমের ছেলে। তার বিরুদ্ধে আগেও কক্সবাজার মডেল থানায় শ্লীলতাহানির মামলা রয়েছে।