দুবাইয়ে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। ব্যাট হাতে অভিজ্ঞ বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা এবং তরুণ শুভমন গিল, শ্রেয়াস আইয়াররা ভালো ক্রিকেট খেলেছেন। আবার বল হাতে মোহাম্মদ শামির সঙ্গে ভালো করেছেন বরুণ চক্রবর্তী, অক্ষর প্যাটেলরা।

ম্যাচ শেষে বিরাট কোহলি জানিয়েছেন, ভারতের ক্রিকেট দল এমন একটা জায়গায় আছে যারা আগামী ৮ বছর ক্রিকেট বিশ্বে কর্তৃত্ব করতে প্রস্তুত। 

তিনি বলেন, ‘আপনি যখন দল ছেড়ে যাবেন, চাইবেন যেন দল ভালো অবস্থায় থাকে। আমি মনে করি, আমাদের খুব ভালো একটা দল আছে, যারা আগামী আট বছর বিশ্ব ক্রিকেট শাসন করার সামর্থ্য রাখে। শুভমন অসাধারণ, শ্রেয়াস আইয়ার সুন্দর, কেএল রাহুল দারুণভাবে ম্যাচ শেষ করেছেন, হার্ডিক পান্ডিয়া ব্যাটিংয়ে ভালো ছিল।’

কোহলি জানিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট সিরিজ হারের পর তারা ঘুরে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন। যে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন তারা। ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপ, ২০১৩ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, ২০২৪ সালের টি-২০ বিশ্বকাপ জয়ের পর এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি অসাধারণ অনুভূতি বলেও উল্লেখ করেন বিরাট। 

নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলেরও প্রশংসা করেছেন বিরাট কোহলি। ২০১৫ ও ২০১৯ সালের বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলা। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জেতা এবং এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল মিলিয়ে স্বল্প ক্রিকেটার নিয়ে কিউইদের এমন সাফল্যে বিস্মিত কোহলি, ‘কীভাবে অল্প ক্রিকেটার নিয়ে নিউজিল্যান্ড বছরের পর বছর ভালো ক্রিকেট খেলছে, তা বরাবরই আমাকে বিস্মিত করেছে।’  

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব র ট ক হল কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপির ‘নামধারী সন্ত্রাসীদের’ হুমকিতে নিরাপত্তাহীনতায় বিএনপি নেতা

রাজশাহীর রাজপাড়া থানা বিএনপির সদ্য সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও মহানগর যুবদলের ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল আমিন ও তাঁর পরিবার বিএনপির নামধারী সন্ত্রাসীদের হুমকির মুখে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় নগরের লক্ষ্মীপুর বাকির মোড় এলাকায় নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করে রুহুল আমিন এ অভিযোগ করে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে রুহুল আমিন বলেন, তাঁর রাজনৈতিক জীবনে তিনি বিএনপির আদর্শ ছাড়া অন্য কোনো আদর্শে কখনোই জড়িত ছিলেন না। এ কারণে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় ৯টির বেশি মামলা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। ১০ বারের বেশি কারাবরণ করেছেন। এখনো নিয়মিত আদালতে হাজিরা দিচ্ছেন। দল করতে গিয়ে পারিবারিক ও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ও হয়রানির শিকার হলেও দমে যাননি।

তিনি বলেন, এত কিছুর পরও দলের বিপথগামী কিছু সদস্য, আওয়ামী লীগের এজেন্ট ও পতিত সরকারের সুবিধাভোগী অনুপ্রবেশকারীদের দ্বারা চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি রাতে তাঁর বাসভবনে হামলার শিকার হয়েছেন।

রুহুল আমিন অভিযোগ করেন, হামলায় নেতৃত্ব দেন রাজপাড়া বিএনপির বর্তমান সভাপতি মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলামসহ তৎকালীন কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক শাহিন আহমেদ ও তাঁর ভাই তুহিন, কাশিয়াডাঙ্গা থানা বিএনপির সদস্য মুরাদ পারভেজ, আওয়ামী লীগের অস্ত্রধারী ক্যাডার খিচ্চু, নাইম, সবুজ ও হৃদয়সহ তাঁদের সহযোগীরা। তাঁরা তাঁর বাসভবনে ভাঙচুর করে পরিবারসহ তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যে আগুন দেন। এলোপাতাড়ি গুলি করে লুটতরাজ করেন। পুলিশ ইতিমধ্যে ঘটনার আলামত হিসেবে গুলির খোসাও উদ্ধার করেছে। কোনোমতে প্রতিবেশী ও এলাকাবাসীর সহায়তায় বর্তমানে আতঙ্কিত ও চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন যাপন করছেন।

যুবদলের এই নেতা বলেন, মহানগর বিএনপির বর্তমান কমিটি, মহানগরের আওতাধীন রাজপাড়া থানা কমিটিসহ বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ডের কমিটিগুলোতে আওয়ামী লীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও সুবিধাভোগীদের সরাসরি সদস্য করা হয়েছে। এরপরও বিগত রমজানে ইফতার মাহফিল আয়োজন করে রাজপাড়া থানা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত করে একই ব্যক্তিদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক অর্থাৎ অভিযুক্ত সাবেক আহ্বায়ক মিজানুর রহমানকে সভাপতি ও সাবেক সদস্যসচিব আমিনুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক করে কাউন্সিল ও মতামত ছাড়াই কমিটি ঘোষণা করা হয়, যা প্রহসনের নামান্তর মাত্র বলে তিনি উল্লেখ করেন।

এত অভিযোগ ও প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও তাঁদের আবার নতুন করে পদায়ন করা আর অপরাধীদের পুরস্কৃত করা একই কথা। এই কমিটি গঠন প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে অপরাধীদের বিভিন্ন কমিটিতে পদায়ন করে পুনর্বাসন করার কারণে স্থানীয়ভাবে বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে এবং পরীক্ষিত ত্যাগী নেতা-কর্মীরা দল থেকে বিমুখ হয়ে যাচ্ছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।

রুহুল আমিন বলেন, শুধু দুর্নীতি ও অন্যায়ের প্রতিবাদ করার কারণেই পরিবারসহ তাঁকে হত্যা করতে চেয়েছে দলে অনুপ্রবেশকারী সন্ত্রাসীরা। তিনি এখন স্ত্রী-সন্তান নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। আইনের আশ্রয় নেওয়ার পরও দৃশ্যমান কোনো ফলাফল এখন পর্যন্ত চোখে পড়েনি। প্রতিনিয়ত বিতর্কিত ব্যক্তি ও বিএনপির কথিত নেতাদের থেকে পরোক্ষভাবে মামলা তুলে নিতে হুমকি পাচ্ছেন। সংবাদ সম্মেলনে তাঁর স্ত্রী নাদিরা বেগম উপস্থিত ছিলেন।

অভিযোগের বিষয়ে রাজপাড়া থানা বিএনপির সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, ‘রুহুল আমিন আমার ঘনিষ্ঠ মানুষ। আমি তাঁর হেফাজতকারী। তাঁকে হুমকি দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। তিনি কারও দ্বারা প্ররোচিত হয়ে হয়তো আমার বিরুদ্ধে এসব কথা বলেছেন। তাঁর যে ক্ষতি করা হয়েছে, সে ব্যাপারে আমি নিজেই তদন্তের দাবি করেছি।’ আওয়ামী লীগের লোকজনকে কমিটিতে রাখার অভিযোগের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘এ রকম যদি প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে কেন্দ্র তাঁদের কমিটি থেকে বাদ দেওয়ার ব্যবস্থা করবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ