হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নয়জন হত্যা মামলার আসামি আওয়ামী লীগ নেতা রিয়াজ উদ্দিন (৫৫) গ্রেপ্তার হয়েছে। 

সোমবার (১০ মার্চ) দুপুরে সেনাবাহিনীর বানিয়াচং ক্যাম্পের মেজর আশরাফুল ইসলাম তামিম তাকে বানিয়াচং থানায় সোপর্দ করেন। এর আগে রোববার (৯ মার্চ) দিবাগত রাতে উপজেলা সদরের গরিব হোসেন মহল্লায় অভিযান চালিয়ে সেনা সদস্যরা তাকে গ্রেপ্তার করে বলে বানিয়াচং ক্যাম্পের ল্যান্স কর্পোরাল শামীম আহমেদ জানিয়েছেন।

গ্রেপ্তার রিয়াজ বানিয়াচংয়ের ২নং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি ও গরিব হোসেন মহল্লার মরহুম শামসু উদ্দিনের ছেলে।

আরো পড়ুন:

নাটোরে অজ্ঞাত যুবকের মরদেহ উদ্ধার

আশুলিয়ায় স্ত্রীর সামনে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা, স্বর্ণালঙ্কার লুট

পুলিশ জানায়, গত ৫ আগস্ট বেলা ১১টায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্র-জনতা সাগরদিঘীর পশ্চিমপাড় ঈদগাহ মাঠ থেকে মিছিল বের করে। গ্যানিংগঞ্জ বাজার প্রদক্ষিণ শেষে মিছিলকারী কয়েক হাজার লোক বড় বাজার শহীদ মিনারে গিয়ে জড়ো হয়। পরে বিক্ষুব্ধ লোকজন মিছিল নিয়ে থানার সামনে গেলে পুলিশের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। আন্দোলনকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার সময় পুলিশ গুলি, রাবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। পুলিশের গুলিতে ঘটনাস্থলে চারজনসহ সাতজন নিহত হয়। তখন চিত্রধারণ করতে গেলে বিক্ষুব্ধরা এক সাংবাদিককে পিটিয়ে হত্যা করে। পর দিন গুলিবিদ্ধ আরেকজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। মোট মৃতের সংখ্যা হয় নয়জন। বিক্ষুব্ধ জনতা থানার উপপরিদর্শক সন্তোষ চৌধুরীকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে।

এ ঘটনায় নিহত নয়জনের পরিবারের পক্ষ থেকে ও এসআই সন্তোষ হত্যায় ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে আলাদা দুটি মামলা করা হয়। রিয়াজ উদ্দিন নয়জন হত্যা মামলার ৮৫ নম্বর নং আসামি।

সেনাবাহিনীর ল্যান্স কর্পোরাল শামীম আহমেদ জানান, নাইন মার্ডার মামলার আসামি রিয়াজ সাত দিন ধরে নিজ বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন। সেখানে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। পরে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে।

ঢাকা/মামুন/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বানিয়াচংয়ে নয় হত্যা মামলায় আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার

হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নয়জন হত্যা মামলার আসামি আওয়ামী লীগ নেতা রিয়াজ উদ্দিন (৫৫) গ্রেপ্তার হয়েছে। 

সোমবার (১০ মার্চ) দুপুরে সেনাবাহিনীর বানিয়াচং ক্যাম্পের মেজর আশরাফুল ইসলাম তামিম তাকে বানিয়াচং থানায় সোপর্দ করেন। এর আগে রোববার (৯ মার্চ) দিবাগত রাতে উপজেলা সদরের গরিব হোসেন মহল্লায় অভিযান চালিয়ে সেনা সদস্যরা তাকে গ্রেপ্তার করে বলে বানিয়াচং ক্যাম্পের ল্যান্স কর্পোরাল শামীম আহমেদ জানিয়েছেন।

গ্রেপ্তার রিয়াজ বানিয়াচংয়ের ২নং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি ও গরিব হোসেন মহল্লার মরহুম শামসু উদ্দিনের ছেলে।

আরো পড়ুন:

নাটোরে অজ্ঞাত যুবকের মরদেহ উদ্ধার

আশুলিয়ায় স্ত্রীর সামনে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা, স্বর্ণালঙ্কার লুট

পুলিশ জানায়, গত ৫ আগস্ট বেলা ১১টায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্র-জনতা সাগরদিঘীর পশ্চিমপাড় ঈদগাহ মাঠ থেকে মিছিল বের করে। গ্যানিংগঞ্জ বাজার প্রদক্ষিণ শেষে মিছিলকারী কয়েক হাজার লোক বড় বাজার শহীদ মিনারে গিয়ে জড়ো হয়। পরে বিক্ষুব্ধ লোকজন মিছিল নিয়ে থানার সামনে গেলে পুলিশের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। আন্দোলনকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার সময় পুলিশ গুলি, রাবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। পুলিশের গুলিতে ঘটনাস্থলে চারজনসহ সাতজন নিহত হয়। তখন চিত্রধারণ করতে গেলে বিক্ষুব্ধরা এক সাংবাদিককে পিটিয়ে হত্যা করে। পর দিন গুলিবিদ্ধ আরেকজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। মোট মৃতের সংখ্যা হয় নয়জন। বিক্ষুব্ধ জনতা থানার উপপরিদর্শক সন্তোষ চৌধুরীকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে।

এ ঘটনায় নিহত নয়জনের পরিবারের পক্ষ থেকে ও এসআই সন্তোষ হত্যায় ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে আলাদা দুটি মামলা করা হয়। রিয়াজ উদ্দিন নয়জন হত্যা মামলার ৮৫ নম্বর নং আসামি।

সেনাবাহিনীর ল্যান্স কর্পোরাল শামীম আহমেদ জানান, নাইন মার্ডার মামলার আসামি রিয়াজ সাত দিন ধরে নিজ বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন। সেখানে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। পরে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে।

ঢাকা/মামুন/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ