ইফতারে মুখরোচক খাবার না হলে চলেই না। স্বাদের বিচারে মধ্যপ্রাচ্যের এই চিকেন কোফতা পেয়ে যাবে একশোতে একশো। শুধু তাই নয়, এই খাবারটি তৈরি হয়ে যাবে এক ঘন্টারও কম সময়ে। আগে থেকে মাখিয়ে রাখলে সময় লাগবে আরও কম, ইফতারের আগে শুধু ভেজে নিলেই সাধারণ ইফতারের প্লেট হয়ে উঠবে অসাধারণ।
উপকরন (৪ জনের জন্য)
- ৩ টেবিল চামচ ক্রিম চিজ
- ৪টি বোনলেস চিকেন ব্রেস্ট
- ৪টি আলু
- ১০ গ্রাম ধনেপাতা কুচি
- ২ টেবিল চামচ গার্লিক পাউডার
- ২ চা চামচ অলস্পাইস (গরম মশলা গুঁড়ো ব্যবহার করতে পারেন)
- ১ চা চামচ লবন
- ১২০ গ্রাম ব্রেডক্রাম্ব
- ২টি ডিম
- ৬০ মিলি তেল
প্রণালী
১) চিকেন সেদ্ধ করে ছোট কুচি করে নিন।
২) আলু সেদ্ধ করে চটকে নিন। এতে সেদ্ধ চিকেন, ধনেপাতা কুচি, ক্রিম চিজ, অলস্পাইস, গার্লিক পাউডার, এবং লবন দিন।
৩) সবকিছু ভালো করে মাখিয়ে ছোট ছোট কোফতা তৈরি করে নিন।
৪) ডিম ফেটিয়ে নিন। কোফতাগুলোকে প্রথমে ডিমে ও তারপর ব্রেডক্রাম্বে গড়িয়ে নিন।
৫) গরম তেলে ফেলে কোফতাগুলো সোনালী করে ভেজে নিন। গরম গরম পরিবেশন করুন।
আগে থেকে আলু এবং চিকেনের মিশ্রনটি তৈরি করে ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন এক দিন পর্যন্ত। এতে বরং কোফতার স্বাদ আরও খোলতাই হবে। ভাজার সময়ে তেল খুব বেশি গরম হলে কোফতা পুড়ে যাবে, আবার যথেষ্ট গরম না হলে কোফতা বেশি তেল টেনে নরম হয়ে যাবে, তাই সাবধান থাকুন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
এক প্রজন্মে শুরু, চার প্রজন্ম ধরে ক্রেতা টানছে বাগমারার ‘পাতলা দই’
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার গ্রামাঞ্চলের কোনো আয়োজন যেন পাতলা দই ছাড়া পূর্ণতা পায় না। একটি পরিবার এই দই বানানো শুরু করেছিল। সেই পরিবারের হাত ধরেই চার প্রজন্ম ধরে ক্রেতার পছন্দের তালিকায় আছে ‘পাতলা দই’।
এখন এই ‘পাতলা দই’ বানান রাজশাহীর বাগমারার আকবর আলী (৫৫)। তিনি বাপ-দাদার এই পেশা আঁকড়ে ধরে আছেন ৪০ বছর ধরে। তাঁর দুই ভাইও একই কাজে যুক্ত আছেন।
বাগমারার দধির খয়রা গ্রামে থাকে আকবর আলীর পরিবার। গ্রামের নামকরণের সঙ্গে পরিবারটির একটি সম্পর্ক আছে, এমনটাই দাবি স্থানীয়দের। আকবরের বাড়ির পাশে দুই ভাই আফসার আলী ও তাসের আলীর বাস। পরিবারের বেশির ভাগ সদস্য এই দই তৈরির কাজে ব্যস্ত থাকেন।
আকবর আলী বলেন, তাঁর দাদা শুকুদ্দিন আর বাবা জহির উদ্দিন পাতলা দই বানাতেন। ১৫ বছর বয়স থেকে তিনিও এ পেশায় জড়িয়ে পড়েন। এখন তাঁর ছেলেও পারিবারিক এ কাজে যুক্ত হয়েছেন। আকবরের দুই ছেলেমেয়ের মধ্যে মেয়ের বিয়ে হয়েছে। ছেলে স্নাতোকত্তর পাস করে চাকরির প্রস্তুতি নিচ্ছেন, সঙ্গে পারিবারিক এ উদ্যোগের সঙ্গেও যুক্ত আছেন।
সম্প্রতি মচমইল হাটে দেখা মেলে আকবর আলী ও তাঁর ছেলে শরিফুল ইসলামের। ক্রেতাদের চাহিদা মোতাবেক দই বিক্রি করছেন তাঁরা। শরিফুল বলেন, পারিবারিক ঐতিহ্য ধরে রাখতে তিনি লেখাপড়ার ফাঁকে দই বানানো ও বিক্রির সঙ্গে যুক্ত থাকেন।
দই বানানোর প্রক্রিয়া সম্পর্কে বাবা-ছেলে বলেন, তাঁরা দই বানানোর মূল উপকরণ দুধ কিনে আনেন উপজেলার বিভিন্ন হাট থেকে। প্রতিদিন প্রায় ৯০ কেজি পরিমাণ পাতলা দই তৈরি করেন। এসব দই তাঁরা উপজেলার মচমইল, হাট গাঙ্গোপাড়াসহ কয়েকটি হাটে পসরা সাজিয়ে বিক্রি করেন। আবার কখনো বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আপ্যায়নের জন্য চাহিদা মোতাবেক দই সরবরাহ করেন। ওজনভেদে ২৫ থেকে ৯০ টাকায় দই বিক্রি করেন তাঁরা।
মচমইল উচ্চবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবদুস সালাম বলেন, আকবর আলীর পরিবার দীর্ঘদিন ধরে এ পেশায় আছেন। এলাকায় তাঁদের বানানো পাতলা দইয়ের বেশ কদর। এই দইয়ের স্বাদও অন্য রকম।
মচমইল হাটে দই কিনতে আসা বিলবাড়ি গ্রামের বৃদ্ধ শুকচাঁন বলেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে এই পাতলা দইয়ের খদ্দের।
আকবর আলীর বিষয়ে শুভডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন বলেন, তাঁদের পরিবারটি এলাকার পুরোনো দই বিক্রেতা। তাঁদের পরিবারের বানানো দই এলাকার ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে।