সরকারি অনুদানে চলচ্চিত্র নির্মাণে বড় পরিবর্তন
Published: 10th, March 2025 GMT
সরকারি অনুদানে চলচ্চিত্র নির্মাণ নীতিমালায় বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি অনুদান প্রদান নীতিমালা ২০২৫’ এবং ‘স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি অনুদান প্রদান নীতিমালা ২০২৫’ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। তাতে এসব পরিবর্তনের বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে।
নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, লেখক ও চিত্রনাট্যকারদের সম্মানি বেড়েছে। গল্প লেখককে ২ লাখ এবং চিত্রনাট্যকারকে ৩ লাখ টাকা উৎসাহ পুরস্কার দেওয়া হবে। আগে গল্প লেখক ও চিত্রনাট্যকারকে দেওয়া হতো ৫০ হাজার টাকা করে।
এ ছাড়া পূর্ণদৈর্ঘ্য ও স্বল্পদৈর্ঘ্য— দুই বিভাগেই নির্মাতা/ পরিচালকের যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবকারী পরিচালককে পূর্বনির্মিত কমপক্ষে একটি চলচ্চিত্র অথবা নির্মাণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক বা একাধিক চলচ্চিত্রে তার ভূমিকা থাকতে হবে।
আরো পড়ুন:
আমাকে নিয়ে বলিউডে ষড়যন্ত্র হয়েছে: গোবিন্দ
রুনা খানের বাবা মারা গেছেন
অন্যদিকে, আগের নীতিমালায় পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে সময় বেঁধে দেওয়া হতো ৯ মাস। কিন্তু চলচ্চিত্র নির্মাতারা বহুবার অভিযোগ করেছেন যে, সেই নির্ধারিত সময় পর্যাপ্ত নয়, যার ফলে নির্মাণে দেরি হয়।
এখন অনুদানের প্রথম চেক পাওয়ার পর পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে এই সময় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ মাস। সময় বেড়েছে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রেও। স্বল্পদৈর্ঘ্য নির্মাণে ১২ মাস এবং প্রামাণ্যচিত্রের জন্য ২৪ মাস সময় পাবেন নির্মাতারা। তবে যৌক্তিক বিবেচনায় পূর্ণদৈর্ঘ্যের ক্ষেত্রে ছয় মাস ও স্বল্পদৈর্ঘ্যের ক্ষেত্রে তিন মাস করে সর্বোচ্চ দুবার সময় বাড়ানো যাবে।
নতুন নীতিমালায় অর্থ প্রদানের নিয়মেও পরিবর্তন এসেছে। এখন প্রথম কিস্তি হিসেবে দেওয়া হবে অনুদানের ২০ শতাংশ। এই অর্থ প্রাপ্তির দুই মাসের মধ্যে শুটিং শিডিউল, প্রোডাকশন প্ল্যান, লোকেশন ব্যবহারের অনুমতি, শিল্পীদের সঙ্গে চুক্তিপত্র সম্পাদনাসহ প্রয়োজনীয় দলিলাদি জমা দিতে হবে। চলচ্চিত্র বাছাই ও তত্ত্বাবধান কমিটি সন্তুষ্ট হলে অনুদানের ৫০ শতাংশ অর্থ দেওয়া হবে। অনুদানের সিনেমার পারিশ্রমিক নিয়ে অনেক শিল্পী অভিযোগ করেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে চিত্রায়িত অংশের কমপক্ষে ৫০ শতাংশ রাফকাট, শিল্পীদের সম্মানি প্রাপ্তির প্রমাণপত্র দেখানোর পর মিলবে আরো ২০ শতাংশ অর্থ। সিনেমা মুক্তির পর মিলবে বাকি ১০ শতাংশ অর্থ।
এরই মধ্যে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য চলচ্চিত্রে অনুদানের জন্য চিত্রনাট্য আহ্বান করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। অনুদান পেতে আগ্রহীদের চলচ্চিত্রের গল্প, চিত্রনাট্য, অভিনয়শিল্পীদের নামসহ পূর্ণাঙ্গ প্যাকেজ আগামী ৭ এপ্রিল বিকেল ৪টার মধ্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হবে।
এদিকে, প্রতি অর্থবছরে সর্বোচ্চ ১২টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রকে অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর আগের নীতিমালায় এই সংখ্যা ছিল ১০। এ ছাড়া স্বল্পদৈর্ঘ্যের ক্ষেত্রে এখন থেকে প্রতিবছর ১০টির পরিবর্তে অনুদানের জন্য বিবেচিত হবে ২০টি চলচ্চিত্র।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র চলচ চ ত র ন র ম ণ অন দ ন র র জন য সময় ব সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দরে অগ্নিকান্ডে পুড়ে গেছে ৫ টি দোকান
বন্দরে একটি মার্কেটে অগ্নিকান্ডে পুড়ে গেছে ৫টি দোকান। এ সময় আগুন নেভাতে গিয়ে রাহিম (১৬) নামে এক যুবক আহত হয়। বুধবার (৯ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার কলাগাছিয়া সিএনজি স্ট্যান্ড সংলগ্ন ক্ষুদ্র মার্কেটে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে বন্দর ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে কমপক্ষে ১ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে বন্দর থানা ও কলাগাছিয়া নৌ ফাঁড়ী পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
এদিকে অগ্নিকান্ডে পুড়ে যাওয়া দোকানে রক্ষিত নগদ সাড়ে ১০ লাখ টাকাসহ কমপক্ষ ২৫ লাখ টাকা ক্ষতি সাধন হয়েছে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা দাবি করেন।
জানা গেছে, বেলা ২টার দিকে হঠাৎ একটি চায়ের দোকানে অগ্নিকান্ড সংগঠিত হয়ে মুহূর্তে মধ্যে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
এ ঘটনায় রুবেল মিয়ার ১টি চায়ের দোকান, নাসির মিয়ার ১টি কনফেকশনারি দোকান, মিন্টু মিয়ার ঔষধের দোকান ও নগদ ৯ লাখ টাকা , আলতাফ মিয়ার ১টি পান সিগারেটের দোকান ও ক্যাশে রাখা নগদ ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা , দিগান্ত দাসের ১টি সেলুন দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
বন্দর ফায়ার সার্ভিসে কর্মরত বদরুল আলম জানান, ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ১ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। তবে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত তাৎক্ষণিক জানা যায়নি। তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। তদন্ত শেষে বলা যাবে।