মার্চে বেড়েছে রেমিট্যান্স প্রবাহ, ৮ দিনেই এলো ৮১ কোটি ডলার
Published: 10th, March 2025 GMT
চলতি মাসের প্রথম ৮ দিনে দেশে এসেছে ৮১ কোটি ৪৩ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে) যার পরিমাণ ৯ হাজার ৯৩৩ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ১০ কোটি ১৮ লাখ ডলার রেমিট্যান্স।
সোমবার (১০ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এতে বলা হয়, মার্চের প্রথম ৮ দিনে দেশে এসেছে ৮১ কোটি ৪২ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আর গত ফেব্রুয়ারি ও জানুয়ারির একই সময়ে প্রবাসী আয় এসেছিল যথাক্রমে ৬৭ কোটি ১০ লাখ ডলার ও ৫৩ কোটি ৫২ লাখ ডলার। এ হিসাবে মার্চে বেড়েছে রেমিট্যান্স প্রবাহ। মার্চের প্রথম ৮ দিনে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২৩ কোটি ১৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার। এ ছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ৬ কোটি ৮৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ৫১ কোটি ২৯ লাখ ৪০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৫ লাখ ৪০ হাজার ডলার।
আরো পড়ুন:
যশোরে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান
মাগুরায় শিশু ‘ধর্ষণ’
নিরাপত্তার শঙ্কায় আসামিদের নেওয়া যায়নি আদালতে, হয়নি রিমান্ড শুনানি
বাংলাদেশ ব্যাংক আরো জানায়, ২ থেকে ৮ মার্চ দেশে এসেছে ৭৮ কোটি ৪২ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। আর ১ মার্চ রেমিট্যান্স এসেছে ৩ কোটি ৮০ হাজার ডলার।
এদিকে, গত ফেব্রুয়ারি ও জানুয়ারি মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল যথাক্রমে ২৫২ কোটি ৭৬ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার ও ২১৮ কোটি ৫২ লাখ মার্কিন ডলার।
আর সদ্য বিদায়ী ২০২৪ সালে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ৬৮৮ কোটি ৯১ লাখ মার্কিন ডলার। এর মধ্যে গত বছরের জানুয়ারিতে ২১১ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার, ফেব্রুয়ারিতে ২১৬ কোটি ৪৫ লাখ ৬০ হাজার, মার্চে ১৯৯ কোটি ৭০ লাখ ৭০ হাজার, এপ্রিলে ২০৪ কোটি ৪২ লাখ ৩০ হাজার, মে মাসে ২২৫ কোটি ৪৯ লাখ ৩০ হাজার, জুনে ২৫৩ কোটি ৮৬ লাখ, জুলাইতে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার, আগস্টে ২২২ কোটি ৪১ লাখ ৫০ হাজার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ ৮ হাজার, নভেম্বরে ২১৯ কোটি ৯৫ লাখ ১০ হাজার ও ডিসেম্বরে এসেছে ২৬৩ কোটি ৮৭ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার।
ঢাকা/এনএফ/এনএইচ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল খ ৫০ হ জ র
এছাড়াও পড়ুন:
সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপি নেতা বাবুকে নিয়ে ষড়যন্ত্র, ক্ষোভ
আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে একাধিক মামলার আসামি ও কারা নির্যাতিত হয়েও সিদ্ধিরগঞ্জের ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য জহিরুল ইসলাম বাবুকে আওয়ামীলীগের লোক প্রচার করায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা।
গত ১৪-১৫ বছর ধরে সরাসরি বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত থাকার কারণে বেশ কয়েকটি মামলার আসামি করা হয় জহিরুল ইসলাম বাবুকে। আওয়ামীলীগের আমলে অধিকাংশ সময় বাড়িতে থাকতে পারেনি সে। গায়েবী মামলায় পুলিশের গ্রেপ্তার এড়াতে দিনে পর দিন অন্যত্র থাকতে হয়েছে তাকে।
সর্বশেষ ২০২৩ সালের ১২ সেপেম্বর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। দীর্ঘ ৫৮ দিন কারাবন্দি থাকার পর জামিনে বেরি আসে জহিরুল ইসলাম। সিদ্ধিরগঞ্জ ছাড়াও ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির সকল কর্মসূচিতে তার সক্রীয় অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো।
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদের কর্মী হওয়ার কারণে প্রতিপক্ষ একটি গ্রুপ জহিরুল ইসলাম বাবুকে আওয়ামীলীগের লোক প্রচার করতেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা।
আইলপাড়া এলাকার মুহাম্মদ আমিরুল ইসলামের ছেলে জহিরুল ইসলাম বাবুকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় পুলিশ বাদী হয়ে দায়ের হওয়া কয়েকটি মামলায় আসামী করা হয়। এরমধ্যে তিনটি মামলার তারিখ হলো-২০২২ সালের ১ ডিসেম্বর (জ¦ালাও পোড়াও), ২০২৩ সালের ১ নভেম্বর (নাশকতা) ও ২০২৩ সালের ৩ নভেম্বর (জ¦ালাও পোড়াও)।
৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি উকিল উদ্দিন ভুইয়া বলেন, জহিরুল ইসলাম বাবু আমাদের দলের একনিষ্ঠকর্মী। কমিটির সদস্য। দীর্ঘদিন ধরে সে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। আওয়ামীলীগের আমলে কয়েকটি মিথ্যা মামলায় আসামি হয়ে জেল খেটেছে। তাকে নিয়ে মিথ্যা প্রচারণার নিন্দা জানাই।
৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন বলেন, দলের দু:সময়ের কান্ডারী হচ্ছে জহিরুল ইসলাম বাবু। দলীয় সকল কর্মসূচিতে কর্মী-সমর্থক নিয়ে তার সক্রীয় অংশগ্রহণ ছিল। ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে একাধিক গায়েবী মামলার আসামী করা হয় জহিরুল ইসলামকে।
পুলিশের তৎপরতার কারণে বাসায় থাকতে পারেনি দিনের পর দিন। ৫ আগস্টের পর একটি চক্র অবৈধ সুবিধা নেয়ার জন্য জহিরুল ইসলাম বাবুর বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে। কারণ বাবু তাদের অবৈধ সুবিধার জন্য বাধা। দলের একজন পরিক্ষিতকর্মী হচ্ছে জহিরুল ইসলাম বাবু। তাকে নিয়ে কোন ষড়যন্ত্র আমরা বরদাস্থ করবো না।
এদিকে ৬নং ওয়ার্ডের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী জানান, জহিরুল ইসলাম বাবু কারা নির্যাতিত ও ত্যাগি নেতা। তার সম্পর্কে দলের সিনিয়র নেতারা অনেক ভালো জানেন।
দলের কর্মী-সমর্থকদের সাথে জহিরুল ইসলাম বাবুর অনেক ভালো সম্পর্ক। দলের জন্য মামলার আসামি হয়ে জেল খাটার পরও আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের সাথে সে আপোষ করে নাই।