ধূমপান ইস্যুতে দুই তরুণীকে লাঞ্ছনার ঘটনায় অভিযুক্ত রিংকু গ্রেপ্তার
Published: 10th, March 2025 GMT
রাজধানীর লালমাটিয়ায় চায়ের দোকানে ধূমপান করা নিয়ে দুই তরুণীকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় অভিযুক্ত রিংকুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রোববার দিবাগত রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানিয়েছেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
তবে গ্রেপ্তার নাকি আটক সেটি নিয়ে এখন পর্যন্ত ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। রোববার রাত থেকে আজ সোমবার দুপুর পর্যন্ত ডিএমপির একাধিক কর্মকর্তাকে ফোন করা হলেও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
সোমবার এক ফেসবুক পোস্টে ফারুকী লিখেছেন, ‘লালমাটিয়ার উত্ত্যক্তকারী রিংকুকে গতকাল রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’ এরপর তিনি গায়ক ফারজানা ওয়াহিদ শায়ানের একটি গানের লাইন উল্লেখ করেন। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে গ্রেপ্তার উল্লেখ না করে হেফাজতে নেওয়ার কথা জানানো হয়।
এর আগে ১ মার্চ শনিবার সন্ধ্যার সময় মোহাম্মদপুরের আসাদগেটের কাছে আড়ং গলির পেছনে এক তরুণী ধূমপান করতে থাকলে স্থানীয় লোকজন সেটি দেখে ওই তরুণীর উদ্দেশে উচ্চবাচ্য করেন। এ হট্টগোলের খবর পেয়ে মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে থেকে ওই তরুণীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এরপর উত্ত্যক্তকারীর বিচার চেয়ে বেশ কদিন উত্তপ্ত থাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল করতে দেখা গেছে নারী অধিকার কর্মীদের।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স স ক ত ব ষয়ক উপদ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনায় কেএফসি রেস্টুরেন্ট ও বাটা শো-রুমে ভাঙচুর
খুলনা নগরীতে কেএফসি নামের একটি রেস্টুরেন্ট এবং বাটার শো-রুম ব্যাপক ভাঙচুর করেছে ইসরায়েলবিরোধী আন্দোলনকারীরা। সোমবার সন্ধ্যায় ভাঙচুর ও মালপত্র বাইরে ফেলে দেওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে নগরীর শিববাড়ি মোড়ে বিকেলে সমাবেশ হয়। সমাবেশ শেষে ফেরিঘাট মোড়ের দিকে মিছিল বের হয় এবং মিছিলটি ফেরিঘাট মোড় ঘুরে আবার শিববাড়ি মোড়ে যায়।
তবে মিছিলের একাংশ নগরীর ময়লাপোতা মোড়ের দিকে যায়। এরপর সন্ধ্যায় তারা কেএফসিতে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এছাড়া বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী বাইরে ফেলে দেয়। ভাঙচুরকারীরা ইসরায়েলি পণ্য বয়কটের আহ্বান জানিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেয়। ভাঙচুরের সময় কেএফসির পাশের ভবনে অবস্থিত বেসরকারি সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগী ও তাদের স্বজনদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
পরে কেএফসিতে গিয়ে দেখা যায়, তাদের চেয়ার-টেবিল, ডেস্ক, ক্যাশ কাউন্টার, টিভি, ফ্রিজ সবকিছু একেবারে ধংসস্তুূপে পরিণত হয়েছে। কেএফসির সামনের সড়কেও কিছু আসবাবপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে। তবে কেএফসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কেউ এ নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।
এরপর কিছু লোক নগরীর শিববাড়ি মোড়ে গিয়ে হোটেল টাইগার গার্ডেন ভবনের নিচতলায় বাটার শোরুমে ভাঙচুর চালায়।
নগরীর সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, কেএফসি ও বাটা শো-রুমে ভাঙচুর করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করে।