একসময়ের জনপ্রিয় বলিউড অভিনেতা গোবিন্দ। তার নাচের মুদ্রাগুলো ভক্তদের হৃদয়ে এখনো অমলিন। নাচের আলাদা ধরন আর অভিনয় গোবিন্দকে খ্যাতির শীর্ষে নিয়ে যায়। তবে এই যাত্রা কন্টকপূর্ণ ছিল। তার অভিযোগ— বলিউডে তাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র হয়েছে।

কয়েক দিন আগে মুকেশ খান্নার ইউটিউব চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দেন গোবিন্দ। এ অভিনেতা বলেন, “আমি মানহানিকর পর্যায়ে গিয়েছিলাম এবং এটি পূর্বপরিকল্পিত ছিল। ইন্ডাস্ট্রিকে থেকে তারা আমাকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিল। আমি বুঝতে পেরেছিলাম তারা সবাই শিক্ষিত। আমি অশিক্ষিত ও বহিরাগত হয়েও তাদের জায়গায় প্রবেশ করেছি। তাই তারা আমার সঙ্গে খেলা খেলতে শুরু করে। আমি তাদের নাম বলতে পারছি না। তবে কাজের কারণে ইন্ডাস্ট্রিতে এখনো টিকে আছি।”

ক্যারিয়ারে এমনও সময় পার করেছেন, যখন ১০০ কোটি রুপির প্রজেক্টের কাজ ফিরিয়ে দিয়েছেন গোবিন্দ। এ তথ্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, “তারা যখন লিখছিলেন— আমার কাজ নেই, তখন আমি ১০০ কোটি রুপির সিনেমার কাজ প্রত্যাখ্যান করেছি। সেই অর্থ ফিরিয়ে দেওয়ার পর, আয়নার দিকে তাকিয়ে নিজেকে থাপ্পড় মারতাম। নিজেকে বলতাম, ‘তুমি পাগল হয়ে গেছো; এই অর্থ তুমি নিজের জন্য খরচ করতে পারতে।”

আরো পড়ুন:

আইফা অ্যাওয়ার্ডে বাজিমাত করলেন যারা

আমার কোমরে সেই দাগটা ১০ বছর ছিল: শিল্পা

গোবিন্দ তার সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন। তার ভাষায়, “নিজের প্রতি সৎ থাকা এবং বিবেকের কথা শোনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”

আশির দশকের মাঝামাঝি সময়ে বলিউডে পা রাখেন গোবিন্দ। তার প্রথম ও দ্বিতীয় সিনেমা ‘ইলজাম’ ও ‘লাভ ৮৬’ মুক্তি পায়। দুটো সিনেমাই হিট। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি গোবিন্দকে।

এরপর ‘রাজা বাবু’, ‘কুলি নম্বর ১’, ‘হিরো নম্বর ১’, ‘সাজন চলে সসুরাল’-এর মতো সিনেমায় অভিনয় করে জনপ্রিয়তা লাভ করেন নব্বই দশকের এই ব্যস্ত অভিনেতা।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

শিশু কবিরাজের ঝাড়ফুঁক পেতে মানুষের ভিড়, সামলাতে পরিবারে হিমশিম

চার বছরের এক শিশুর ঝাড়ফুঁক দেওয়া পানি ও তেল ব্যবহার করে সুস্থ হয়ে যাচ্ছে অসুস্থ রোগীরা- এমন বিশ্বাসে শিশুটির বাড়িতে প্রতিদিন ভিড় করছেন হাজারো মানুষ। এ খবর এতোটাই ছড়িয়ে পড়েছে যে, উপচে পড়া লোক সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন তার পরিবারের সদস্যরা। 

শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলার ভাটি লঙ্গরপাড়া এলাকায় এমন কাণ্ডে মানুষের ভিড় জমলেও সচেতন মহল বলছেন, এটা কুসংস্কার ও ভ্রান্ত বিশ্বাস ছাড়া কিছুই নয়।

পানি পড়া পেতে নারীদের লাইন

চার বছরের শিশুটির নাম লাবীব। স্থানীয় কাপড় ব্যবসায়ী মো. আব্দুল ওয়াহাব এর এই শিশুপুত্রটির পরিচয় এখন ‘শিশু কবিরাজ’। তার স্বজন ও অনেক রোগীর দাবি, আল্লাহর নামে ঝাড়ফুঁক দেওয়া তার তেল ব্যবহার করলে ও পানি পান করলে জটিল ও কঠিন রোগ থেকে মুক্তি মিলছে। 

প্রথমে তার পরিবারের সদস্যদের রোগ মুক্তি, পরে তার আত্বীয় স্বজনের রোগমুক্তির খবর ছড়িয়ে পড়তেই জেলাসহ জেলার বাইরের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন ভিড় করছেন হাজার হাজার মানুষ। এরপর থেকেই বিভিন্ন রোগীকে ঝাড়ফুঁক দিয়ে যাচ্ছেন শিশু কবিরাজ। তার পরিবারের সদস্যদের দাবি, এটা আল্লাহ প্রদত্ত অলৌকিক ক্ষমতা। 

বাবার কোলে লাবীব

শনিবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,‌ শিশুটি নিজের মনে বাবার সাথে পানি দিয়ে খেলছে। দুইজন মানুষ বালতি বালতি পানি এনে বোতলে ভরছেন। তার বাবা তাকে খেলাধুলা বন্ধ করে পানিতে ফু দিতে বলছে। অমনি ছেলেটি মাথা এগিয়ে পানিতে ফু দিচ্ছে। অপরদিকে শত শত মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে এক এক করে পানি ও তেলের বোতল এগিয়ে শিশুটির মুখের কাছে ধরছেন। আবার কখনও শিশুটি তার বাবার কোলে বসে সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষের বোতল ভর্তি পানি, তেলের শিশিতে ঝাড়ফুঁক দিচ্ছেন। প্রতিদিন সকাল ১০টা এবং বিকেল ৫টায় দুই ধাপে চলে এই ঝাড়ফুঁক। আগত রোগীর মধ্যে নারীরাই বেশি।
 
স্থানীয় ষাটোর্ধ্ব হাবিবুর রহমান বলেন, “আমার দ্বিতীয় বারের মতো স্ট্রোক হওয়ার পর একেবারে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। লাঠি ছাড়া হাঁটতে পারতাম না। এই শিশু কবিরাজের চিকিৎসায় আমি এখন সুস্থ। আমি এখন লাঠি ছাড়া দ্রুত হাঁটতে পারি‌।”

খেলাধুলার সময়ে নিস্তার নেই, সেখানেও দিতে হচ্ছে ঝাড়ফুঁক

শিশুটির বাবা বলেন, “আমার ছেলে শত শত মানুষের রোগ ভালো করেছে বলে রোগীরা আমাদের জানিয়েছেন। তার এই ক্ষমতা আল্লাহ প্রদত্ত। প্রথমে সে তার মাকে চিকিৎসা করে ভালো করেছে। পরে সুস্থ করেন এলাকার আঘাতপ্রাপ্ত স্থানীয় কয়েকজন ফুটবল খেলোয়াড়দের। এরপর থেকে জানাজানি শুরু হলে মানুষের ভিড় জমে। আল্লাহর নাম নিয়ে আমার ছেলে ফু দিয়ে দিলে অনেকেই সুস্থ হয়ে যায় বিধায় হাজার হাজার লোক আসে। এর জন্য আমার ছেলে আজ পর্যন্ত একটি টাকা কারো কাছে নেয়নি।” 

এসময় তিনি তার ছেলেকে একজন আলেম বানাতে চান বলে দোয়া চান।

শেরপুর সিভিলে সার্জন ডা. মুহাম্মদ শাহীন বলেন, “এটা সম্পূর্ণ কুসংস্কার। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এই পদ্ধতিতে রোগ মুক্তির কোন ভিত্তি নেই। এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও শেখ জাবের আহমেদ বলেন, “এই ঘটনাটি অবৈজ্ঞানিক এবং কুসংস্কার এ নিপতিত একটা ব্যাপার বলে মনে হচ্ছে। যার কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নাই। ঠিকানাসহ অভিযোগ পেলে উপজেলা প্রশাসন যথাযথ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবে।”

ঢাকা/তারিকুল/টিপু 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৫ ম্যাচ খেলতে পাকিস্তান সফরে যাচ্ছে বাংলাদেশ, দেখে নিন সূচি
  • কলকাতায় হোটেলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, নিহত ১৪ 
  • জেলা কৃষকদলের নেতাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন 
  • মোহামেডানকে হারিয়ে ‘নীরবে’ চ্যাম্পিয়ন আবাহনী
  • ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করছেন রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা
  • রিয়াল ছেড়ে জুনে ব্রাজিলের দায়িত্ব নেবেন আনচেলত্তি
  • ১৫ দিন নিজের প্রস্রাব নিজে পান করেছি: পরেশ রাওয়াল
  • শিশু কবিরাজের ঝাড়ফুঁক পেতে মানুষের ভিড়, সামলাতে পরিবারে হিমশিম
  • ষড়যন্ত্রের পরও মাজারে হামলা বন্ধের দাবিতে ‘সমাবেশ সফল’
  • রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের মামলায় আমির খসরুসহ ৫ জন খালাস