সারা ‌দে‌শে দূষণবিরোধী অভিযান চালাচ্ছে পরিবেশ অধিদপ্তর। চলতি ২০২৫ সালের ২ জানুয়ারি থেকে ৯ মার্চ পর্যন্ত ৫৯৮টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চা‌লি‌য়ে ১ হাজার ৩৬৩টি মামলা করা হয়ে‌ছে। জরিমানা হিসেবে ১৯ কোটি ৭৯ লাখ ৪৭ হাজার ৩০০ টাকা আদায় করা হয়েছে। এ সময় ৩০৫টি ইটভাটার চিমনি ভেঙে কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে এবং ১৫৭টি ইটভাটা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ৬০টি ভাটার কাঁচা ইট ধ্বংস করা হয়েছে। ৫টি প্রতিষ্ঠান থেকে ৬ ট্রাক সীসা/ব্যাটারি গলানোর যন্ত্রপাতি জব্দ করে কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হ‌য়ে‌ছে। 

অভিযানে কালো ধোঁয়া নির্গমনকারী যানবাহন, বায়ুদূষণকারী অবৈধ ইটভাটা, স্টিল মিল, ঝুঁকিপূর্ণ বর্জ্য নির্গমন, সীসা/ব্যাটারি রিসাইক্লিং কারখানা, জলাশয় ভরাট, টায়ার পাইরোলাইসিস, চারকোল কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়ে‌ছে।

সোমবার (১০ মার্চ) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞ‌প্তি‌তে এসব তথ‌্য জানানো হ‌য়ে‌ছে।

বিজ্ঞ‌প্তি‌তে বলা হয়েছে, ৯ মার্চ থে‌কে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা ২০২২ অনুসারে ঢাকার হাতিরঝিল, মগবাজার, আদাবর, আফতাবনগর, বাড্ডা ও ধানমন্ডি এলাকায় চারটি ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে‌ছে। এ সময় ১১টি মামলায় ৬০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের মালিককে সতর্ক করা হয়েছে এবং নির্মাণ সামগ্রী সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

একই দিনে নারায়ণগঞ্জে কঠিন বর্জ্য বিধিমালা ২০২১ অনুসারে রেডিমিক্স কারখানার বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়েছে। এ সময় তিন মামলায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। 

পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম, দিনাজপুর, নীলফামারী, ঝিনাইদহ, ভোলা, সিরাজগঞ্জ, মেহেরপুর, মৌলভীবাজার, পিরোজপুর, গাইবান্ধা, শরীয়তপুর, বরগুনা, ঠাকুরগাঁও, বগুড়া ও শেরপুর জেলায় ২০টি অভিযান চালানো হয়েছে।

এসব অভিযানকালে ১৯ মামলায় ১৩ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ২২টি ইটভাটার কিলন ভেঙে, পানি দিয়ে আগুন নিভিয়ে ও কাঁচা ইট ধ্বংস করে কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা হয়েছে। তিনটি ইটভাটা বন্ধের কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও চলবে ব‌লেও জানা‌নো হ‌য়ে‌ছে বিজ্ঞ‌প্তি‌তে।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইটভ ট

এছাড়াও পড়ুন:

চ্যাম্পিয়ন হয়ে কতো টাকা পেল ভারত? নিউ জিল্যান্ড পেল কতো?

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আবারও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা ঘরে তুলেছে ভারত। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে রোববার (০৯ মার্চ, ২০২৫) অনুষ্ঠিত ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে দলটি। এক যুগ পর ফের এই ট্রফির স্বাদ পেল তারা। এটি ছিল ভারতের তৃতীয় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শিরোপা।

শিরোপার সঙ্গে বিশাল অঙ্কের প্রাইজমানি যোগ হয়েছে ভারতের ঝুলিতে। আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির বিজয়ী দল হিসেবে তারা পেয়েছে ২২ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৭ কোটি ৩২ লাখ ৮০ হাজার টাকা (ডলারপ্রতি ১২২ টাকা হিসাবে)।

ফাইনালে হেরে রানার্স-আপ হওয়া নিউ জিল্যান্ডও পেয়েছে মোটা অঙ্কের আর্থিক পুরস্কার। রানার্সআপ হওয়ায় তারা পেয়েছে ১১ লাখ ২০ হাজার ডলার বা প্রায় ১৩ কোটি ৬৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা।

আরো পড়ুন:

অবসর ভেঙে ফিরেই ২৮ বলে ১৫ ছক্কায় ডি ভিলিয়ার্সের সেঞ্চুরি

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পুরস্কার বিতরণীর মঞ্চে পাকিস্তানের প্রতিনিধি না থাকায় অসন্তোষ

আইসিসি আগেই ঘোষণা করেছিল যে এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে প্রাইজমানির পরিমাণ বাড়ানো হবে। শেষবার এই টুর্নামেন্ট হয়েছিল ২০১৭ সালে। ৮ বছর পর হওয়া এবারের আসরে পুরস্কারের পরিমাণ ৫৩ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে।

বাকি দলগুলোর প্রাপ্তি কত?
সেমিফাইনাল থেকে বাদ পড়া অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা পেয়েছে ৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার করে।
পঞ্চম ও ষষ্ঠ স্থান পাওয়া দল পেয়েছে ৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার করে।
সপ্তম ও অষ্টম স্থান অধিকারীরা পেয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার ডলার করে।
প্রত্যেক অংশগ্রহণকারী দল পেয়েছে ১ লাখ ২৫ হাজার ডলার করে।  

বাংলাদেশের প্রাপ্তি কেমন?
আর্থিক দিক থেকে বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খুব একটা খারাপ যায়নি। তিন ম্যাচে দুই হারে ও এক ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় ১ পয়েন্ট নিয়ে বিদায় নেয় বাংলাদেশ। তবে অংশগ্রহণ ফি’র পাশাপাশি কোনো জয় ছাড়াই বাংলাদেশ পেয়েছে প্রায় আড়াই কোটি টাকা। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের প্রাপ্ত প্রাইজমানি দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪ কোটি ২২ লাখ ৮৮ হাজার টাকা।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ