ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা প্রতিবন্ধী নারী, সন্তান প্রসবের সময় মৃত্যু
Published: 10th, March 2025 GMT
চাঁদপুরের কচুয়ায় ধর্ষণের শিকার হয়ে বাকপ্রতিবন্ধী নারী ফাতেমা আক্তার (৪২) অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। সন্তান প্রসবের সময় তিনি মারা যান। তবে নবজাতক শিশুটি জীবিত আছে। রোববার সকালে উপজেলার আশ্রাফপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত উপজেলার আব্দুর রহিমের ছেলে মেহেদী হাসান প্রদিপকে (২০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মারা যাওয়া ফাতেমার বড় ভাই শেখ ফরিদ জানান, ২০২৪ সালের জুলাই মাসে মেহেদী হাসান তার বাড়িতে বোনকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। এতে তার অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। এ ঘটনা জানাজানি হলে একটি মহল ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে।
পুলিশ জানায়, ধর্ষণের ঘটনায় ফাতেমার ভাই শেখ ফরিদ বাদী হয়ে কচুয়া থানায় ৩ মার্চ নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন। মামলার পর পুলিশ মেহেদী হাসান গ্রেপ্তার করে আদালতের পাঠায়। আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে কচুয়া থানার ওসি আজিজুল ইসলাম বলেন, মামলা দায়ের পর অভিযুক্ত মেহেদী হাসান নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে আদালত পাঠানো হয়।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সাক্ষাৎকারের ২৫ মিনিট আগে আসায় চাকরি হলো না প্রার্থীর
সময়ানুবর্তিতাকে ভালো গুণ হিসেবে দেখা হয়। বিশেষ করে চাকরির সাক্ষাৎকারের ক্ষেত্রে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। তবে অনেক সময় এই গুণ হিতে বিপরীত হতে পারে। এমন একটি ঘটনা সম্প্রতি পেশাদারদের যোগাযোগমাধ্যম লিংকডইনের একটি পোস্ট ছড়িয়ে পড়েছে, যা বিতর্ক উসকে দিয়েছে।
ওই পোস্টে একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মালিক বলেছেন, একজন চাকরিপ্রার্থী নির্দিষ্ট সময়ের আগে সাক্ষাৎকার দিতে আসায় তাঁকে বাদ দিয়েছেন।
ওই ব্যক্তির নাম ম্যাথু প্রিওয়েট। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টা রাজ্যে একটি পরিচ্ছন্নতা প্রতিষ্ঠানের মালিক। ঘটনাটি তিনি নিজেই লিংকডইনে শেয়ার করেছেন। তিনি বলেছেন, অফিসের প্রশাসক পদের জন্য একজন চাকরিপ্রার্থী সাক্ষাৎকারের জন্য নির্ধারিত সময়ের ২৫ মিনিট আগে উপস্থিত হয়েছেন। ওই প্রার্থীকে নিয়োগ না দেওয়ার সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে এটি একটি প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন তিনি।
পোস্টটি আলোচিত হওয়া শুরু করলে এর কারণ ব্যাখ্যা করেন প্রিওয়েট। তিনি বলেন, যদিও চাকরির সাক্ষাৎকারে একটু আগে পৌঁছানো প্রশংসনীয় কাজ। তবে সময়ের অনেক আগে পৌঁছানো দুর্বল সময় ব্যবস্থাপনা বা সামাজিক সচেতনতার অভাবকে ইঙ্গিত দিতে পারে।
প্রিওয়েট ব্যাখ্যা করে বলেন, তাঁর অফিসটি ছোট। ওই প্রার্থী আগেভাগে আসায় তাঁকে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে। কারণ, তিনি ব্যবসাসংক্রান্ত ফোনকল শুনে ফেলতে পারেন।
প্রিওয়েট জোর দিয়ে বলেন, সাক্ষাৎকারের শিষ্টাচার অনুযায়ী সাধারণত প্রার্থীরা ৫ থেকে ১৫ মিনিট আগে পৌঁছাতে পারেন। তবে এর বেশি হলে তাঁকে অবিবেচক মনে হতে পারে।
ওই ব্যবসায়ীর পোস্টটি দ্রুত ভাইরাল হয়। অনেকেই পক্ষে–বিপক্ষে মতামত দেন। কেউ কেউ তাঁর সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেন। তবে অনেকে প্রার্থীর পক্ষও নিয়েছেন।
পোস্টের নিচে একজন মন্তব্য করেছেন, ‘কাজটি ঠিক হয়নি। কী হাস্যকর মূল্যায়ন! তাঁকে আমার কাছে পাঠিয়ে দিন। আমি তাঁকে এখনি চাকরি দেব।’
আরেকজন লিখেছেন, ‘যদি তাঁর একমাত্র পরিবহন বাস হয়ে থাকে, অথবা আসার সময়ের ওপর তাঁর কোনো নিয়ন্ত্রণ না থেকে থাকে? তাহলে তিনি দেরি না করার জন্য যা করার ছিল, তাই করতেন।’