চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পুরস্কার বিতরণীর মঞ্চে পাকিস্তানের প্রতিনিধি না থাকায় অসন্তোষ
Published: 10th, March 2025 GMT
নিউ জিল্যান্ডকে হারিয়ে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি-২০২৫ এর শিরোপা জিতে নিয়েছে ভারত। দীর্ঘ এক যুগ পর তারা এই টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতল। ফাইনাল শেষে ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের (বিসিসিআই) সভাপতি রজার বিনি চ্যাম্পিয়ন দলের খেলোয়াড়দের সাদা জ্যাকেট এবং ম্যাচ অফিসিয়ালদের মেডেল প্রদান করেন। অন্যদিকে আইসিসির নতুন চেয়ারম্যান জয় শাহ রোহিত শর্মার হাতে ট্রফি তুলে দেন এবং ভারতীয় খেলোয়াড়দের মেডেল প্রদান করেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিসিসিআই সচিব দেবজিত সাইকিয়াও।
কিন্তু সমাপনী অনুষ্ঠানের মঞ্চে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) কোনো কর্মকর্তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। আর এই ঘটনায় আয়োজক দেশ পাকিস্তান অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। জানা গেছে, পিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুমায়ের আহমেদ, যিনি একইসঙ্গে টুর্নামেন্টের পরিচালকও, তিনি ভেন্যুতে উপস্থিত থাকলেও তাকে সমাপনী অনুষ্ঠানের মঞ্চে ডাকা হয়নি।
আরও জানা যায়, পিসিবি চেয়ারম্যান মোহসিন নাকভী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে পূর্বনির্ধারিত দায়িত্বের কারণে দুবাই যেতে পারেননি। তাই পিসিবির সিইওকে ফাইনাল ম্যাচ ও সমাপনী অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের প্রতিনিধি হিসেবে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ, বিসিসিআই সভাপতি রজার বিনি ও সচিব দেবজিত সাইকিয়া থাকলেও আয়োজক পাকিস্তানের কারো উপস্থিত না থাকাটা অবশ্য দৃষ্টিকটুই ছিল।
আরো পড়ুন:
দুই বছরের জন্য আইপিএল থেকে নিষিদ্ধ হওয়ার পথে ব্রুক
চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়: মাঠে বিরাট-আনুশকার আনন্দঘন মুহূর্ত
এদিকে বলা হচ্ছে, হয়তো পিসিবির সিইও আইসিসির সংশ্লিষ্ট আয়োজকদের সঙ্গে যথাযথভাবে যোগাযোগ করতে পারেননি। সে কারণেই তাকে ফাইনালের পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে ডাকা হয়নি। তাতে করে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক হয়েও পাকিস্তানের পক্ষ থেকে মঞ্চে কোনো প্রতিনিধি ছিলেন না।
পিসিবি অবশ্য এ বিষয়ে আইসিসির সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে কথা বলার পরিকল্পনা করছে। তারা জানতে চাইবে, কেন তাদের সিইওকে সমাপনী অনুষ্ঠানের মঞ্চে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
এদিকে, পাকিস্তানের সাবেক পেসার শোয়েব আখতারও ফাইনালের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে পিসিবি কর্মকর্তাদের অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘ভারত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছে, কিন্তু আমি লক্ষ্য করেছি ফাইনালের পর পিসিবির কোনো প্রতিনিধি সেখানে ছিল না। পাকিস্তান ছিল এই টুর্নামেন্টের আয়োজক। অথচ তাদের কেই মঞ্চে নেই! আমি এটা বুঝতে পারছি না এমনটি কেন হলো!’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘পিসিবির কেউ কেন সেখানে ছিল না ট্রফি তুলে দেওয়ার জন্য? এটা আমার বুঝে আসছে না। এটা ভেবে দেখা দরকার। এটা ছিল বিশ্বমঞ্চ, তোমাদের সেখানে থাকা উচিত ছিল। দেখে মন খারাপ লাগছে।’’
২৯ বছর পর পাকিস্তান আইসিসির কোনো বড় ইভেন্ট আয়োজন করেছিল এবার। কিন্তু নিরাপত্তার অজুহাতে ভারত পাকিস্তানে গিয়ে খেলতে অস্বীকৃতি জানায়। ফলে হাইব্রিড মডেলে ভারতের সবগুলো ম্যাচ দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন ষ ঠ ন আইস স র ফ ইন ল
এছাড়াও পড়ুন:
চ্যাম্পিয়ন হয়ে কতো টাকা পেল ভারত? নিউ জিল্যান্ড পেল কতো?
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আবারও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা ঘরে তুলেছে ভারত। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে রোববার (০৯ মার্চ, ২০২৫) অনুষ্ঠিত ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে দলটি। এক যুগ পর ফের এই ট্রফির স্বাদ পেল তারা। এটি ছিল ভারতের তৃতীয় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শিরোপা।
শিরোপার সঙ্গে বিশাল অঙ্কের প্রাইজমানি যোগ হয়েছে ভারতের ঝুলিতে। আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির বিজয়ী দল হিসেবে তারা পেয়েছে ২২ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৭ কোটি ৩২ লাখ ৮০ হাজার টাকা (ডলারপ্রতি ১২২ টাকা হিসাবে)।
ফাইনালে হেরে রানার্স-আপ হওয়া নিউ জিল্যান্ডও পেয়েছে মোটা অঙ্কের আর্থিক পুরস্কার। রানার্সআপ হওয়ায় তারা পেয়েছে ১১ লাখ ২০ হাজার ডলার বা প্রায় ১৩ কোটি ৬৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
আরো পড়ুন:
অবসর ভেঙে ফিরেই ২৮ বলে ১৫ ছক্কায় ডি ভিলিয়ার্সের সেঞ্চুরি
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পুরস্কার বিতরণীর মঞ্চে পাকিস্তানের প্রতিনিধি না থাকায় অসন্তোষ
আইসিসি আগেই ঘোষণা করেছিল যে এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে প্রাইজমানির পরিমাণ বাড়ানো হবে। শেষবার এই টুর্নামেন্ট হয়েছিল ২০১৭ সালে। ৮ বছর পর হওয়া এবারের আসরে পুরস্কারের পরিমাণ ৫৩ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে।
বাকি দলগুলোর প্রাপ্তি কত?
সেমিফাইনাল থেকে বাদ পড়া অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা পেয়েছে ৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার করে।
পঞ্চম ও ষষ্ঠ স্থান পাওয়া দল পেয়েছে ৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার করে।
সপ্তম ও অষ্টম স্থান অধিকারীরা পেয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার ডলার করে।
প্রত্যেক অংশগ্রহণকারী দল পেয়েছে ১ লাখ ২৫ হাজার ডলার করে।
বাংলাদেশের প্রাপ্তি কেমন?
আর্থিক দিক থেকে বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খুব একটা খারাপ যায়নি। তিন ম্যাচে দুই হারে ও এক ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় ১ পয়েন্ট নিয়ে বিদায় নেয় বাংলাদেশ। তবে অংশগ্রহণ ফি’র পাশাপাশি কোনো জয় ছাড়াই বাংলাদেশ পেয়েছে প্রায় আড়াই কোটি টাকা। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের প্রাপ্ত প্রাইজমানি দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪ কোটি ২২ লাখ ৮৮ হাজার টাকা।
ঢাকা/আমিনুল