মাগুরার সেই শিশুটি চোখের পাতা নেড়েছে, তবে উন্নতি খুব সামান্য: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
Published: 10th, March 2025 GMT
মাগুরার সেই শিশুটি আজ সোমবার সকালে প্রথমবারের মতো চোখের পাতা নেড়েছে। তবে তার শারীরিক অবস্থার খুব সামান্যই উন্নতি হয়েছে। চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে শিশুটির স্বাস্থ্যের এই অবস্থার কথা জানিয়েছেন উপপ্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
আজ সোমবার দুপুরের পর রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এ কথা জানান। সংবাদ ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবও বক্তব্য দেন।
ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) শিশু বিভাগের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (পিআইসিইউ) শিশুটিকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, মাগুরার শিশুটির স্বাস্থ্যের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত খোঁজখবর রাখা হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.
বোনের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া আট বছরের এই শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন শিশুটির মা। শিশুটির ভগ্নিপতি, বোনের শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। শিশুর বোনের শ্বশুরকে সাত দিন, স্বামী, শাশুড়ি ও ভাশুর প্রত্যেকের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন মাগুরার আদালত।
গত বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার বোনের শাশুড়ি। পরে শিশুটির মা হাসপাতালে যান। ওই দিন দুপুরেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার রাতেই পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এরপর শুক্রবার রাতে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। সংকটাপন্ন শিশুটিকে গত শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিআইসিইউ থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অবস থ র
এছাড়াও পড়ুন:
ওসমানী মেডিকেলের বহির্বিভাগে তালা দিয়ে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের বিক্ষোভ
সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আউটডোরে বা বহির্বিভাগে তালা দিয়ে বিক্ষোভ করেছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। এ সময় মারাত্মক দুর্ভোগে পড়েন রোগী ও তাদের স্বজনরা।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত চলে এই অবস্থা। দাবি মানা না হলে মঙ্গলবার পূর্ণ দিবস কর্মবিরতিরও ঘোষণা দেওয়া হয়। ডিগ্রি ছাড়া ডাক্তার পদবি ব্যবহার বন্ধসহ পাঁচ দফা দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ করছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
ইন্টার্ন চিকিৎসকরা বলেন, ডাক্তার পদবি শুধুমাত্র এমবিবিএস এবং বিডিএস ডিগ্রিধারীদের জন্য সীমিত রাখতে হবে। দেশে প্রচলিত আইন অনুযায়ী এমবিবিএস অথবা বিডিএস ছাড়া কেউ চিকিৎসক পরিচয় দিতে পারবে না। দ্রুত ১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ এবং বিসিএসের চাকরিতে প্রবেশ বয়সসীমা ৩৪ বছর পর্যন্ত বাড়ানো, মানহীন বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলো বন্ধ, বিএমডিসি চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটের রায় বিলম্ব না করার দাবি জানানো হয়।
ইন্টার্ন চিকিৎসকরা বলেন, সকাল সাড়ে ১১টা থেকে থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত হাসপাতালের আউটডোরে তালা দিয়ে বিক্ষোভ করা হয়েছে। এ সময় দুর্ভোগ পোহাতে হয় রোগী ও তাদের স্বজনকে।
এ ব্যাপারে সিওমেকহা ইন্টার্ন চিকিৎসক সমন্বয় কমিটির সমন্বয়ক ডা. ইমদাদ হাসান বলেন, আমরা দাবি জানিয়ে আসছি। দাবি না মানলে আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু হবে। তিনি তাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান।
এদিকে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে দুপুরে বিক্ষোভে অংশ নেন ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মিড লেভেলের চিকিৎসকরা।