দোয়া চাইলেন বুবলী, অপু বললেন ‘আদিখ্যেতা’
Published: 10th, March 2025 GMT
কখনো শবনম বুবলীকে খোঁচা মারেন অপু বিশ্বাস। আবার বুবলীও বিভিন্ন সময় কৌশলে অপু বিশ্বাসকে ইঙ্গিত করে কথা বলেন। কয়েক বছর হল এভাবেই চলছে। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে পোস্টের মাধ্যমে ইঙ্গিত করে বিভিন্ন পোস্ট।
রোববার সন্ধ্যার পর অপু বিশ্বাসের দেওয়া একটি ফেসবুক পোস্ট তেমনই এক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, এই পোস্টের মাধ্যমে ইঙ্গিতে চিত্রনায়িকা বুবলীকে খোঁচা দিয়েছেন তিনি।
কারণ হিসেবে নেটিজেনরা জানিয়েছেন, শবনম বুবলী ফেসবুকে একটি রিলস ভিডিও পোস্ট করেন। তাতে দেখা যায়, শাকিব-বুবলীর ছেলে শেহজাদ পেনসিল দিয়ে খাতায় মা–বাবার নাম লিখছে।
ক্যাপশনে বুবলী লেখেন, ‘বাপজানের প্রথম হাতের লেখা। সবাই দোয়া করবেন আমাদের শেহজাদ বাবার জন্য।’ ছোট্ট শেহজাদের হাতের লেখা দেখে নেটিজেনদের অনেকে প্রশংসাও করছেন।
বুবলীর এমন পোস্টের কয়েক ঘণ্টা পর অপু বিশ্বাস ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন, যাতে লেখা ছিল, ‘এক মা তাঁর মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়া সন্তানের জন্য হাহাকার করে মরছে। আরেক মায়ের আদিখ্যেতা উপচে পড়ছে।’ অপু বিশ্বাসের এমন পোস্টে বক্তব্য তাঁর ভক্তদের কেউ কেউ সমর্থন করে মন্তব্য করেছেন। অনেকে এটিকে ইঙ্গিতপূর্ণ বলছেন।
নেটিজেনদের ভাষ্য, অপু বিশ্বাস তাঁর দেওয়া ফেসবুক পোস্টে দুজন মায়ের কথা বলেছেন। একজন মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুকন্যাটির মা, অন্যজন শেহজাদের মা (বুবলী)। ধর্ষণের শিকার শিশুটি এখনো লাইফ সাপোর্টে, এ নিয়ে প্রতিবাদে সোচ্চার সারা দেশ। আর এই পরিস্থিতিতে বুবলী তাঁর ছেলের ভিডিও পোস্ট করেছেন-এটিকে অপু বিশ্বাস “আদিখ্যেতা” বলেছেন।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
অবন্তিকার মৃত বাবাকে অধ্যক্ষ হিসেবে পদায়ন
ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে আত্মহত্যা করা শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার মৃত বাবাকে কলেজের অধ্যক্ষ পদে পদায়ন দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। এরই মধ্যে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। অবন্তিকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের স্নাতকের শিক্ষার্থী ছিলেন।
মঙ্গলবার বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের ১৩৫ জন অধ্যাপককে বিভিন্ন কলেজে পদায়ন করা হয়। পদায়নকৃতদের মধ্যে অবন্তিকার বাবা মোহাম্মদ জামাল উদ্দীনকে কুড়িগ্রামের মীর ইসমাইল হোসেন কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে। এতে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম।
তিনটি তালিকা শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৭ জনের তালিকায় ১৩ নম্বরে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ পদে জামাল উদ্দীনকে পদায়ন করা হয়।
কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মির্জা মো. নাসির উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, মো. জামাল উদ্দীন কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত অবস্থায় ২০২৩ সালের ১২ এপ্রিল মৃত্যুবরণ করেন।
এ বিষয়ে অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম সমকালকে বলেন, তালিকা প্রকাশের পরই প্রজ্ঞাপনটি আমার হাতে আসে। অবনন্তিকার বাবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র ছিলেন। শিক্ষকতা ছাড়াও অন্য ৭টি সংস্থায় চাকরির সুযোগ পেয়েও তিনি শিক্ষকতাকে বেছে নেন। জীবনে তোষামোদি-তদবির করতেন না বলেই অধ্যক্ষ পদে তাকে পদায়ন করা হয়নি। এটা তার জন্য দুর্ভাগ্যজনক বিষয়।
তিনি আরও বলেন, তিনি (জামাল উদ্দীন) মারা যাওয়ার প্রায় ২ মাস পর একটি গোয়েন্দা সংস্থা থেকে পদোন্নতির বিষয়ে কিছু তথ্য জানতে চাওয়া হয়। তখন আমি বলেছিলাম যার পদোন্নতির জন্য তথ্য জানতে চাওয়া হচ্ছে, তিনি মারা গেছেন। কিন্তু এরপরও হয়তো ভুলে আমার মৃত স্বামীকে অধ্যক্ষ হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে।
আক্ষেপ করে তাহমিনা বলেন, আমার স্বামী তার প্রাপ্য সুসংবাদ দেখে যেতে পারেননি। মেয়েও তার শিক্ষা জীবনের সুখবরটি জানতে পারেনি। গত বছরের ১৯ মে অবন্তিকার স্নাতকের (এলএলবি অনার্স) চূড়ান্ত পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। এতে সিজিপিএ ৩ দশমিক ৬৫ পেয়ে আইন বিভাগে তৃতীয় স্থান অধিকার অর্জন করেছিল।
গত বছরের ১৫ মার্চ রাতে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাঁও এলাকার বাসায় আত্মহত্যা করেন অবন্তিকা।ফেসবুক পোস্টে বিশ্ববিদ্যালয়ের তার সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী ও সহকারী প্রক্টর (সাময়িক বরখাস্ত) দ্বীন ইসলামের বিরুদ্ধে হয়রানি ও উৎপীড়নের নানা অভিযোগ করেন। এতে আত্মহত্যার প্ররোচনার প্রাথমিক সংশ্লিষ্টতা পেয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে উভয় জামিনে মুক্ত। তবে এরই মধ্যে জবি প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুসারে জড়িতদের বিরুদ্ধে জবির বিধি অনুসারে শাস্তি কার্যকরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জবি সূত্রে জানা গেছে।