গাজায় এবার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করলো ইসরায়েল
Published: 10th, March 2025 GMT
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে অবরুদ্ধ গাজায় এবার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল।
রবিবার (৯ মার্চ) ইসরায়েলের জ্বালানিমন্ত্রী এলি কোহেন অবিলম্বে গাজায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখার আদেশ দেন। খবর আল জাজিরার।
জ্বালানিমন্ত্রী কোহেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের পোস্টে লিখেছেন, “সব জিম্মিকে বাড়ি ফেরাতে এবং যুদ্ধ শেষে গাজায় যেন হামাস আর না থাকে সেটি নিশ্চিত করতেই আমরা সকল পথ অবলম্বন করব।”
আরো পড়ুন:
হামাসকে ‘লাস্ট ওয়ার্নিং’ দিলেন ট্রাম্প
হামাসের সঙ্গে গোপন বৈঠক ট্রাম্প প্রশাসনের
তিনি আরো বলেন, “গাজা ভূখণ্ডের বিদ্যুৎ সরবরাহ ‘অবিলম্বে বন্ধ করার’ একটি আদেশে সই করেছেন তিনি। তিনি বলেছেন, অনেক আলোচনা হয়েছে। এখন সময় এসেছে পদক্ষেপ নেওয়ার!”
এর আগে প্রথম দফায় যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হতে না হতেই গাজায় সব ধরনের ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর ইসরায়েল প্রশাসন।
ইসরায়েলের বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় থেকে সে দেশের বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা ইসরায়েল ইলেকট্রিক করপোরেশনকে চিঠি দিয়ে গাজায় বিদ্যুৎ পাঠানো বন্ধ করার জন্য বলা হয়েছে।
গত ১৫ জানুয়ারি কাতার, আমেরিকা এবং মিসরের উদ্যোগে ইসরায়েল এবং হামাস সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে তা কার্যকর হয়। ইসরায়েল চায় প্রথম দফার এই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ ২০ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধিত হোক। অন্যদিকে, হামাস চায় যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপে প্রবেশ করতে।
গত ছয় সপ্তাহজুড়ে দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে আলোচনা, দরকষাকষি ও বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে এসেছে হামাস। কিন্তু ইসরায়েলের অসহযোগিতামূলক আচরণে তা আলোর মুখ দেখেনি। নেতানিয়াহুর প্রশাসন চাইছে, সাময়িক যুদ্ধ বিরতির মাধ্যমে হামাসের হাতে বন্দি থাকা ইসরায়েলিদের দ্রুত মুক্তি দেওয়া হোক। তা নিয়ে ক্রমশ হামাসের ওপর চাপ বৃদ্ধি করছে তারা।
গাজায় মানবিক সহায়তা ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখার ইসরায়েলের এসব সিদ্ধান্তকে ‘সস্তা ব্ল্যাকমেইল’ বলে উল্লেখ করেছে হামাস। নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন বলেও হামাস দাবি করেছে।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল ইসর য় ল র
এছাড়াও পড়ুন:
বিদ্যুৎ না থাকায় ডিইপিজেডে উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ
ঢাকার সাভার উপজেলার আশুলিয়ায় ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ডিইপিজেড) আজ সোমবার দুপুর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এ কারণে দুপুরের পর ডিইপিজেডের সব কারখানায় শ্রমিকদের ছুটি দেওয়া হয়েছে। ডিইপিজেডের জন্য নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড পাওয়ারের বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস–সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় এ সংকট তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
ডিইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মো. শরীফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ ইউনাইটেড পাওয়ারের ডিইপিজেডে বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রকল্পটিতে গ্যাস–সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এতে তারা উৎপাদন করতে না পারায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারছে না। ফলে ডিইপিজেডে প্রায় ৯০টি কারখানার এক লাখের মতো শ্রমিককে ছুটি দেওয়া হয়।
বিদ্যুতের সংযোগ না থাকায় বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হয়েছে উল্লেখ করে মো. শরীফুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার যদি এটি অব্যাহত থাকে, তবে সংকট আরও বাড়বে। শ্রমিকেরা কাজ না করতে পেরে বিক্ষুব্ধ হলে বিষয়টি আরও জটিল হয়ে উঠবে। কোনো ধরনের নোটিশ ছাড়া এ ধরনের ঘটনায় বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
ডিইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘তিতাস বলছে, ইউনাইটেড পাওয়ারের কাছে বিল বকেয়া রয়েছে। তারা বকেয়া পরিশোধ করেনি। এ ব্যাপারে আদালতে দীর্ঘদিন ধরে মামলা চলছে। কিন্তু আমাদের কথা হচ্ছে, বেপজাকে কোনো ধরনের পূর্ব নোটিশ না দিয়ে হঠাৎ করে এ ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছেন। এ ধরনের পদক্ষেপের আগে ডিইপিজেডের গুরুত্ব বিবেচনা করে আলোচনার মধ্য দিয়ে বিষয়টির সমাধান করা উচিত ছিল।’
এ বিষয়ে ইউনাইটেড পাওয়ার প্ল্যান্টের ব্যবস্থাপক মো. মমতাজ হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘গ্যাসের কোনো প্রেশার নেই। প্রেশার শূন্য। কিন্তু কেন তিতাস কর্তৃপক্ষ এমনটি করল, সে ব্যাপারে এখানকার (আশুলিয়া অঞ্চলের) তিতাসের লোকজন কিছু বলতে পারেননি। আমরা নিজেরাও বিষয়টি নিয়ে জানি না। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘আমার জানামতে, বকেয়া নিয়ে কোনো ধরনের মামলা নেই। তিতাস কেন গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিল, সেটি জানা নেই।’
জানতে চাইলে তিতাসের আশুলিয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আবু ছালেহ মুহাম্মদ খাদেমুদ্দীন প্রথম আলোকে বলেন, গ্যাসের বিল বকেয়া থাকায় গ্যাস–সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এটি সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলের সিদ্ধান্ত। দুপুরের দিকে গ্যাস–সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।