পাবনার সাঁথিয়ায় ককটেল বিস্ফোরণে নিকবার হোসেন (৩৫) নামে এক যুবক আহত হয়েছেন। পরে ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে ছয়টি ককটেল ও পাঁচটি পেট্রোল বোমা জব্দ করে পুলিশ।

রবিবার (৯ মার্চ) রাত ১০টার দিকে পৌরসভার ১৬৫ নং শশদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দোতলা ভবনের নিচতলায় ঘটনাটি ঘটে। সাঁথিয়া থানার ওসি সাইদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সোমবার (১০ মার্চ) দুপুরে পাবনার পুলিশ সুপার মোরতোজা আলী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বেড়া সার্কেল) আবুল কালাম আজাদ, সাঁথিয়া থানার ওসি সাইদুর রহমান, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল লতিফ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

আরো পড়ুন:

মুন্সীগঞ্জে দুই পক্ষের গোলাগুলি, ককটেল বিস্ফোরণ

নড়াইলে বিএনপি অফিসে ‘বোমা’ হামলা, আহত ৩

ঘটনার পর থেকে আহত নিকবার পলাতক। তিনি উপজেলার করমজা ইউনিয়নের আফড়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের হাচেন সরদারের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রবিবার রাত ১০টার দিকে শশদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিচে হঠাৎ বিকট শব্দ শুনতে পান এলাকাবাসী। তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পান বিদ্যালয়ের নিচে ছয়টি লালটেপ জড়ানো ককটেল এবং পাঁচটি কাঁচের বোতলে পেট্রোল বোমা পড়ে আছে। স্থানীয়রা তাৎক্ষনিক পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ককটেল ও পেট্রোল বোমা জব্দ করে।

স্থানীয় বাসিন্দা রাজা হোসেন বলেন, ‘রাত ১০টার দিকে আমরা তিনবার বিকট শব্দ শুনতে পাই। ঘটনাস্থলে গিয়ে ককটেল ও পেট্রোল বোমা দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেই।”

সাঁথিয়া থানার ওসি সাইদুর রহমান বলেন, “বোমা বিস্ফোরণের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ককটেল ও পেট্রোল বোমা জব্দ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বোমা বানানোর সময় তা বিস্ফোরিত হতে পারে। কেন সেগুলো তৈরি করা হয়েছিল তদন্ত করে বলা যাবে। রহস্য উদঘাটন এবং আহত যুবককে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। কেউ অভিযোগ দেননি।”

ঢাকা/শাহীন/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আহত ককট ল ও প

এছাড়াও পড়ুন:

শুল্ক স্থগিতের সিদ্ধান্ত এসেছে হৃদয় থেকে: ট্রাম্প

শুল্ক নীতি কার্যকর হওয়ার দিনই তা তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যেভাবে চীন মার্কিন পণ্যে প্রতিশোধমূলক শুল্ক এবং তার জবাবে যুক্তরাষ্ট্র চীনের পণ্যে শুল্কের হার বাড়িয়ে যাচ্ছিল, তাতে পৃথিবী নতুন এক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়। এর জেরে শেয়ারবাজারে ধস নামে, ডলারের বিনিময় হার কমে যায়, তেলের দাম চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে আসে। সামগ্রিকভাবে বাজার অর্থনীতিতে রীতিমতো কাঁপন শুরু হয়ে যায়।

অথচ শেষ মুহূর্ত পর্যন্তও এই শুল্কনীতি শিথিলের কোনও লক্ষণ দেখায়নি তার প্রশাসন। ট্রাম্পের দাবি, হৃদয়ের কথা শুনে হঠাৎ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। খবর পলিটিকোর

বুধবার নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি। 

পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, গত কয়েকদিন ধরেই শুল্কের বিষয়গুলো নিয়ে ভাবছি। বোধহয় আজ সকালে সব আমার কাছে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। তখন কোনও আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শের সময় ছিল না। কেবল নিজের অন্তরের কথা শুনে যেটি সঠিক মনে হয়েছে, সেটাই করেছি।

বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক ও অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্টের সঙ্গে মিলে ট্রাম্প এই পোস্ট লিখেছিলেন বলে জানান লুটনিক। তবে অনেক রিপাবলিকান আইনপ্রণেতার কাছেই এই ঘোষণা ছিল বিস্ময়কর।

শুল্ক কার্যকর হওয়ার পর শেয়ারবাজারে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে দেরি হয়নি। তবে তার আকস্মিক স্থগিত সিদ্ধান্তে হাওয়া বদলেও সময় লাগে না। যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সাত প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের বাজারমূল্য বুধবারই ১ ট্রিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি পায়।

স্থগিতাদেশের পর ট্রাম্প প্রশাসনের হয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে সবার আগে হাজির হয়েছেন বেসেন্ট। তিনি বলেন, বাজারের অস্থিরতার কারণে সিদ্ধান্তের পরিবর্তন হয়নি। ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর সঙ্গে আলাদাভাবে চুক্তি করার ইচ্ছা থেকেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

তিনি বলেছেন, প্রতিটি সমস্যার সমাধান হবে আলাদা। তাই, এ কাজে বেশ কিছুটা সময় প্রয়োজন। পুরো প্রক্রিয়াতে প্রেসিডেন্ট নিজে যুক্ত থাকতে চান বলেই ৯০ দিনের বিরতি দেওয়া হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ