নারায়ণগঞ্জে তুচ্ছু ঘটনায় অপূর্ব (২৫) নামে এক ছাত্রদলের কর্মীকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। 

রোববার (৯ মার্চ) রাত সাড়ে ১০ টায় শহরের  চাষাঢ়া বালুরমাঠ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় সম্রাট (২৫) নামের একজনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে  বিক্ষুদ্ধ জনতা। 

নিহত ছাত্রদল কর্মী অপূর্ব শহরের মাসদাইর এলাকার খোকনের ছেলে। এবং  আটক মো.

সম্রাট শহরের গলাচিপা এলাকার মো. হোসেনের ছেলে। 

আটক সম্রাট বলেন, আমি কাজ শেষ করে বাসায় যাওয়ার সময় তারা কয়েকজন আমাকে আটকিয়ে মারধর করে। আমি কিছুই জানি না। একপর্যায়ে আমাকে মেরে নিচে ফেলে দেয়। এরপর কিভাবে কি হয়, আমি কিছু জানি না। 

নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আজিজুল ইসলাম রাজীব বলেন, রাত সাড়ে ৯টায় শহরের মাসদাইরে কেন্দ্রীয় ঈদগাঁহ হতে ধর্ষণ বিরোধী মশাল মিছিল বের করি। আমাদের মিছিল শহরের চাষাঢ়ায় নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়। নেতাকর্মীরা যখন বাসায় যাচ্ছিল তখন বালুরমাঠ এলাকাতে অপূর্বকে ছুরিকাঘাত করা হয়। 

তিনি আরও বলেন, অপূর্ব আমাদের ছাত্রদল কর্মী ছিলো। ওই সময়ে তাকে ছুরি মারা এক যুবককে আটক করে আশেপাশের লোকজন। সকলে তখন তাকে উত্তম মধ্যম দিচ্ছিল। আমরা আইন নিজের হাতে না তুলে ছাড়ানোর চেষ্টা করি। পরে আহত অপূর্বকে খানপুরে ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মারা যায়।

এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে মিছিল শেষ হয়। তখন মিছিলে অংশ নেয়া অনেকেই প্রেসক্লাবের দক্ষিণ পাশের সড়ক হয়ে বালুর মাঠের দিকে যেতে থাকে। এসময় এক যুবক বলে ৫ আগস্টের আগে এরা কোথায় ছিল? এখন মিছিলে আসছে। এ কথা বলার সাথে সাথে যাকে উদ্দেশ্য করে কথাটা বলেছে সেই ছেলে  পকেট থেকে ধারালো ছুরি বের করে ওই যুবককে ছুরিকাঘাত করে মারাত্মক জখম করে। এ সময় ঘাতক যুবককে ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে দেয়।

নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশন) তারেক আল মেহেদী বলেন, নিহত ব্যক্তি ছাত্রদলের কেউ না। সে এক রেস্তোয়ায় কাজ করতো। মূলত তার সঙ্গে এক গার্মেন্টকর্মীর কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় একজন আটক রয়েছে।

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: য বক য বক ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ ছ ত রদল শহর র

এছাড়াও পড়ুন:

রূপগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে শ্রমিকদের দফায় দফায় সংঘর্ষ : আহত শতাধিক 

রূপগঞ্জে রবিনটেক্স গার্মেন্টস নামে একটি রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানায় শ্রমিক ছাটাই, বোনাস ও বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

এ সময় ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে কয়েকটি স্থানে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ চলাকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঙ্গে শ্রমিকদের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় শ্রমিকরা পুলিশের দুটি গাড়ি ভাংচুর করে।  

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী লাঠিচার্জ করলে শ্রমিকরাও ইটপাটকেল নিক্ষেপে করে। এতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ শতাধিক লোক আহত হয়েছে।

আহতদের মধ্যে তাৎক্ষনিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য সেনাবাহিনীর লেফটেনেন্ট মুবীন, সৈনিক বাঁধন, সোহরাব, মেহেদী, শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাদিকুর রহমান, শ্রমিকদের মাঝে শাফিয়া, রুনা, মলিনা, মাজেদা ও রুপুর নাম জানা গেছে।

বুধবার (৯ এপ্রিল) দুপর ১২টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আউখাবো এলাকায় ওই গার্মেন্টসের সামনে এ ঘটনা ঘটে।  এ ঘটনায় ১০ জন শ্রমিককে আটক করেছে পুলিশ।

এদিকে টানা ৪ ঘন্টা ঢাকা সিলেট মহাসড়কে শ্রমিকদের বিক্ষোভের কারণে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে। 

শ্রমিকরা জানান, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গত ২৯ মার্চ থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত পোষাক পোশাক কারখানাটি বন্ধ রাখা হয়। বন্ধ দেওয়ার আগে গত ২৮ মার্চ বিনা নোটিশে কোন প্রকার কারণ ছাড়াই ৬৫ জন শ্রমিককে ছাটাই করা হয়। এছাড়া পোশাক কারখানা বন্ধ দেওয়ার আগে শ্রমিকদের ৬৫ শতাংশ বোনাস দেওয়ার কথা থাকলেও ৫০শতাংশ মালিকপক্ষ প্রদান করেন। 

এছাড়া এক মাসের বেতন প্রদানের কথা থাকলেও ২০ দিনের বেতন দিয়েই কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। গত ৮ এপ্রিল মঙ্গলবার কারখানা খোলার দিন শ্রমিকরা মালিকপক্ষকে ছাটাইয়ের কারণ, বেতন ও বোনাস দেওয়ার কথা বললে মালিকপক্ষ নানা রকম টালবাহানা শুরু করেন। 

বুধবার সকালে আগের মতোই তাদের দাবি নিয়ে কারখানার ভিতরে অবস্থান করছিল। এসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদেরকে কাজে যোগ দেওয়ার কথা বললে তাদের সাথে বাকবিতন্ডা হয়।

দুপুর ১২টার দিকে শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে উঠলে সেনাবাহিনী, পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এতে শ্রমিকরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ওপর চড়াও হন। উভয়ের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদেরকে লাঠিচার্জ করে সরিয়ে দেন। 

পরে শ্রমিকরা কারখানার বাহিরে এসে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে বিদ্যুৎের খুঁটি ফেলে মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। এসময় মহাসড়ক থেকে শ্রমিকদের সরাতে গেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে শ্রমিকদের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় শ্রমিকরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। 

নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সি সার্কেল) মো. মেহেদী ইসলাম বলেন, দুপুর ১২টার দিকে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট মবিন ও কয়েকজন সৈনিকসহ পুলিশের ১৫-২০ জন আহত হয়েছেন।

সংঘর্ষের সময় আমার এবং রুপগঞ্জ থানার ওসির গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ঘটনায় আমরা ১০ জনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছি। বর্তমানে পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক আছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির লিফলেট বিতরণ
  • রাজশাহীতে চিকিৎসায় অবহেলা, রোগী মৃত্যুর অভিযোগ
  • রূপগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে শ্রমিকদের দফায় দফায় সংঘর্ষ : আহত শতাধিক 
  • রূপগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহ
  • বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ
  • গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ
  • সিদ্ধিরগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য  সংগঠকের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ
  • রূপগঞ্জে সড়ক দূর্ঘটনায় স্টেডফাস্ট কর্মী নিহত, আহত ১ 
  • ফতুল্লা প্রেসক্লাবের উদ্যোগে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ সমাবেশ
  • ফতুল্লায় ডাইং কারখানায় মাটি চাপা পড়ে শ্রমিক নিহত, আহত ৩