শামির মায়ের পা ছুঁয়ে শ্রদ্ধা, প্রশংসায় ভাসছেন কোহলি
Published: 10th, March 2025 GMT
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫-এর ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে ভারত। ২৫২ রানের লক্ষ্য এক ওভার হাতে রেখে ৪ উইকেট হারিয়ে পেরিয়ে যায় রোহিত শর্মার দল। ফাইনাল শেষে মাঠেই শুরু হয় বিজয়ের উৎসব, যেখানে ক্রিকেটারদের সঙ্গে যোগ দেন তাদের পরিবারের সদস্যরাও।
এই উদযাপনের মাঝেই এক হৃদয়ছোঁয়া মুহূর্তের জন্ম দেন বিরাট কোহলি। সতীর্থ মোহাম্মদ শামির মা আনজুম আরাকে দেখে পা ছুঁয়ে আশীর্বাদ নেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক। সাধারণত মাঠে আগ্রাসী মেজাজে দেখা গেলেও মাঠের বাইরে বিনয়ী কোহলির এই আচরণ নজর কাড়ে সবার।
শামির মায়ের সঙ্গে আলাপচারিতার সময় হঠাৎই মাথা নিচু করে কদমবুচি করেন কোহলি। পরে শামি ও তার মায়ের সঙ্গে ছবিও তোলেন এই ব্যাটিং আইকন। সেই মুহূর্তের ভিডিও সম্প্রচারকারী চ্যানেলের সৌজন্যে ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক মাধ্যমে। মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায় ভিডিওটি, আর নেটিজেনরা প্রশংসায় ভাসান কোহলিকে।
This is our culture, no matter how big a person becomes, he should keep his values alive in his life.
Virat Kohli took blessings of Mohammad Shami's mother by touching her feet @imVkohli pic.twitter.com/DD6ssFT9Al — Dinesh siyol (@dineshsiyoljat) March 10, 2025
উল্লেখ্য, এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে কোহলি ছিলেন অফ ফর্মে, আর শামি ফিরেছিলেন ইনজুরি কাটিয়ে। তবে টুর্নামেন্টে কোহলি একটি সেঞ্চুরিসহ দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হন। অন্যদিকে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫ উইকেট ও সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৩ উইকেট নিয়ে আলো ছড়ান শামি।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব র ট ক হল ম হ ম মদ শ ম
এছাড়াও পড়ুন:
মহাকাশে অবস্থান পরিবর্তন করছে বিরল এক কৃষ্ণগহ্বর
সম্প্রতি একটি অতিকায় গতিশীল কৃষ্ণগহ্বরের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ধারণা করা হচ্ছে, কৃষ্ণগহ্বরটি দুটি কৃষ্ণগহ্বরের সংযুক্তির কারণে দ্রুতগতিতে ছুটে চলছে। বিরল এই কৃষ্ণগহ্বরের রহস্য উন্মোচনের জন্য কাজ শুরু শুরু করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডের জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিজ্ঞানী।
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, কৃষ্ণগহ্বরটি তার ছায়াপথ ৩সি ১৮৬ থেকে প্রতি সেকেন্ডে এক হাজার কিলোমিটারের বেশি গতিতে ছুটে যাচ্ছে। হাবল স্পেস টেলিস্কোপ ব্যবহার করে দেখা গেছে, ছায়াপথের নক্ষত্রের অবস্থান বিশ্লেষণের সময় গতিশীল কৃষ্ণগহ্বরটি গ্যালাকটিক কেন্দ্র থেকে প্রায় ৩৩ হাজার আলোকবর্ষ দূরে ছিল; কিন্তু বর্তমানে কৃষ্ণগহ্বরটি তার আগের অবস্থানে নেই। কৃষ্ণগহ্বরটির এই অবস্থান পরিবর্তন কোনো বড় ঘটনার ইঙ্গিত দিচ্ছি। বিজ্ঞানীদের ধারণা, সম্ভবত কোনো গ্যালাকটিক সংঘর্ষ বা সংযুক্তির কারণে এমনটা ঘটছে।
আরও পড়ুনকৃষ্ণগহ্বর থেকে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে শক্তিশালী রশ্মি২০ জানুয়ারি ২০২৫গভীর অনুসন্ধানের জন্য বিজ্ঞানীরা কৃষ্ণগহ্বরের নির্গত আলো বিশ্লেষণ করতে চিলির টেলিস্কোপ ও হাওয়াইয়ের সুবারু টেলিস্কোপ ব্যবহার করেছেন। দেখা গেছে, কৃষ্ণগহ্বরের অ্যাক্রিশন ডিস্ক থেকে নীল আলো আশপাশে ছড়িয়ে পড়ছে। যার অর্থ কৃষ্ণগহ্বরটি দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। ইতিমধ্যে কৃষ্ণগহ্বরের চারপাশে গ্যাস অনেক দুর্বল নীল আলো প্রদর্শন করছে, যার কারণে বোঝা যাচ্ছে কৃষ্ণগহ্বরটি তার অন্যান্য ছায়াপথের তুলনায় বেশি গতিতে ছুটছে।
আরও পড়ুনআকারে বড় কৃষ্ণগহ্বর বিজ্ঞানীদের নজর এড়িয়ে যায় কেন১৫ জানুয়ারি ২০২৫বিজ্ঞানীরা জানান, দুটি ছায়াপথের সংঘর্ষের ফলে তৈরি হয়েছে কৃষ্ণগহ্বরটি। এর ফলে সেখানে থাকা কেন্দ্রীয় কৃষ্ণগহ্বর একটি বৃহত্তর ছায়াপথে মিশে গেছে। এই সংমিশ্রণের ফলে মহাকর্ষীয় তরঙ্গ তৈরি হয়েছে, যা বাইরের দিকে বিকিরণ শুরু করেছে। বিরল ধরনের এই অতিকায় কৃষ্ণগহ্বরের বিস্তারিত তথ্য জানার চেষ্টা চলছে।
সূত্র: এনডিটিভি