৩. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লিখি।

ক. বাংলাদেশে বাঙালি ছাড়া আর কারা বাস করে?

উত্তর:

আমরা বাঙালি। বাংলাদেশে প্রায় সব লোক বাংলা ভাষায় কথা বলে। বাংলাদেশে বাঙালি ছাড়াও বাস করে বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতিসত্তার লোকজন। এদের কেউ চাকমা, কেউ মারমা, কেউ মুরং, কেউ তঞ্চঙ্গা। এ ছাড়া রাজশাহী আর জামালপুরে বাস করে সাঁওতাল ও রাজবংশী।

খ.

বাংলাদেশের বিভিন্ন ধর্মের উত্সবগুলোর নাম কী?

উত্তর:

বাংলাদেশের বিভিন্ন ধর্মের মানুষ বিভিন্ন সময়ে পালন করে থাকে নানা ধরনের উত্সব।

আরও পড়ুনপঞ্চম শ্রেণি-বাংলা : 'এই দেশ এই মানুষ' প্রবন্ধের ১৫টি শব্দার্থ ০৯ মার্চ ২০২৫

এই উত্সবগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে—

১. মুসলমানদের ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা।

২. হিন্দুদের দুর্গাপূজাসহ নানা উত্সব-পার্বণ।

৩. বৌদ্ধদের বৌদ্ধপূর্ণিমা।

৪. খ্রিষ্টানদের ইস্টার সানডে আর বড়দিন।

গ. বাংলাদেশের জনজীবনের বৈচিত্র্যসমূহ কী কী?

উত্তর:

বাংলাদেশের জনজীবন অনেক বৈচিত্র্যময়। এ দেশে বাস করে নানা জাতের, ধর্মের, পেশার মানুষ। এই ভিন্ন ধরনের মানুষের পোশাক-আশাক ও পেশা ভিন্ন ধরনের। এ দেশে যেমন রয়েছে মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টধর্মের লোকজন ।

তেমনি রয়েছে চাকমা, মারমা, মুরং, তঞ্চঙ্গা, সাঁওতাল, রাজবংশী ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতিসত্তার লোকজন । এ দেশের জনজীবনের বৈচিত্র্যের মধ্যে রয়েছে নানা পেশার লোকজনের সমাহার। এ দেশে কাজ করে কেউ জেলে, কেউ কুমার, কেউ কৃষক, কেউ আবার অফিস-আদালতে। একটা জায়গায় কিন্তু মিল রয়েছে। আমরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক।

আরও পড়ুন৪৮ জেলায় ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ, এইচএসসি পাস ১৮-৩৫ বয়সীর সুযোগ, ভাতা দৈনিক ২০০০৬ মার্চ ২০২৫

ঘ. ‘দেশ হলো মায়ের মতো।’ দেশকে মায়ের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে কেন?

উত্তর:

মা যেমন আমাদের স্নেহ, মমতা আর ভালোবাসা দিয়ে আগলে রাখেন, দেশও তেমনই তার আলো, পানি, বাতাস ও সম্পদ দিয়ে আমাদের বাঁচিয়ে রেখেছে। তাই দেশকে মায়ের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। দেশ হলো মায়ের মতো। তাই আমরা এ দেশকে অন্তর দিয়ে ভালোবাসব।

ঙ. জেলেদের পেশা কী? তাঁরা যদি কাজ না করে তাহলে আমাদের কী হতে পারে?

উত্তর:

জেলেদের পেশা হলো মাছ ধরা। জেলেরা বাংলাদেশের এক অন্যতম পেশাজীবী। তাঁরা পুকুর, খাল, বিল, নদী ও সাগরে মাছ ধরার কাজ করেন।

জেলেরা যদি তাদের পেশাগত কাজ ঠিকভাবে না করেন, তাহলে আমাদের মাছের চাহিদা পূরণ হবে না। আমরা নানা রোগে আক্রান্ত হতে পারি। কারণ, মাছ আমাদের অন্যতম পুষ্টিকর খাবার। এটি আমিষজাতীয় খাদ্যের প্রধান উত্স।

চ. আমরা একে অপরের উৎসবে সহযোগিতা করি —এ কথার দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?

উত্তর:

বাংলাদেশের জনজীবন অনেক বৈচিত্র্যময় । এ দেশে রয়েছে নানা ধরনের উত্সব। মুসলমানদের রয়েছে দুটো ঈদ— ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা। হিন্দুদের দুর্গাপূজাসহ আছে নানা উত্সব আর পার্বণ। বৌদ্ধদের আছে বৌদ্ধপূর্ণিমা, খ্রিষ্টানদের আছে ইস্টার সানডে আর বড়দিন। এ ছাড়া রয়েছে অনেক উত্সব। পয়লা বৈশাখে নববর্ষের উত্সব। রাখাইনদের সাংরাই ও চাকমাদের বিজু উত্সব। প্রতিটি ধর্মের মানুষই তাদের ধর্মীয় উত্সব স্বাধীনভাবে পালন করে থাকে। এক ধর্মের উত্সব-আনন্দ অন্য ধর্মের লোকেরাও উপভোগ করতে পারে। এভাবে আমরা একে অপরের উৎসবে সহযোগিতা করি ।

ছ. দেশকে কেন ভালোবাসতে হবে?

উত্তর:

দেশ মানে এর মানুষ, জনপদ, নদী, আকাশ, প্রান্তর, পাহাড়, সমুদ্র এই সব। দেশকে ভালোবাসা মানে দেশের সবকিছুকে

ভালোবাসা । দেশ হলো মায়ের মতো। মা যেমন স্নেহ, মমতা ও ভালোবাসা দিয়ে আমাদের আগলে রাখেন, দেশও তেমনই তার আলো, বাতাস আর সম্পদ দিয়ে বাঁচিয়ে রাখে। তাই মাকে আমরা যেমন ভালোবাসি, দেশকেও ঠিক তেমনই ভালোবাসতে হবে। দেশকে ভালোবাসার মধ্য দিয়েই সার্থক হয়ে উঠবে আমাদের জীবন।

*লেখক: খন্দকার আতিক, শিক্ষক, উইল্স লিট্ল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র ল কজন ব স কর আম দ র ধরন র

এছাড়াও পড়ুন:

পুরীর আদলে পশ্চিমবঙ্গের দীঘায় জগন্নাথ মন্দির, উদ্বোধন আজ

ভারতের ওডিশা রাজ্যের পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলে পশ্চিমবঙ্গের দীঘার সমুদ্রতীরে তৈরি করা হয়েছে জগন্নাথ মন্দির। আজ বুধবার এ মন্দিরের দেবতার প্রাণ প্রতিষ্ঠা হবে। সেই সঙ্গে হবে মন্দিরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন। উদ্বোধন করবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যে দীঘায় এসে পৌঁছেছেন সাধুসন্তরা।

দীঘার এই মন্দির নির্মাণ করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। খরচ হয়েছে ২৫০ কোটি রুপি। মন্দিরের উদ্বোধনকে ঘিরে গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে মহাযজ্ঞ, চলে বিকেল পর্যন্ত। এতে অংশ নেন পুরীর মন্দিরের পুরোহিতসহ সাধুসন্তরা, ছিলেন ইসকনের সাধুসন্তরাও।

এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে পুরীর মন্দিরের ধাঁচে দীঘার সমুদ্রতীরে। দীঘা রেলস্টেশনের একেবারে কাছে নিউ দীঘা ও ওল্ড দীঘার মাঝপথে। রাজস্থানের গোলাপি বেলেপাথর দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে এই মন্দির। রাজস্থানের ৮০০ দক্ষ কারিগর মন্দির নির্মাণে অংশ নেন। অযোধ্যার রামমন্দির নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত কিছু কারিগরও এ মন্দির নির্মাণে ছিলেন।

দীঘার মন্দিরের তিন বিগ্রহ তৈরি করা হয়েছে পাথর দিয়ে। পুরীর মন্দিরের মতো ভোগ মণ্ডপ, নাটমন্দির, জগমোহন ও গর্ভগৃহ রয়েছে। আছে ব্যাঘ্রদ্বার, হস্তিদ্বার ও অশ্বদ্বার। দেবতার স্থাপত্যও স্থান পেয়েছে। আরও থাকছে লক্ষ্মীমন্দির, গুন্ডিচার মাসিবাড়ি। মাসিবাড়ি করা হয়েছে দীঘার আদি জগন্নাথ দেবের মন্দিরকে।

পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পর্যটনকেন্দ্র দীঘাকে পুরীর পর্যটনকেন্দ্রের মতো গড়ে তোলার অংশ হিসেবে এই জগন্নাথ মন্দির নির্মাণ করা হয়েছে। মূল মন্দিরটি ২১৩ ফুট উঁচু। মন্দিরের মেঝের মারবেল পাথর আনা হয়েছে ভিয়েতনাম থেকে। ২২ একর জমিতে গড়ে উঠেছে দীঘার জগন্নাথ ধাম।

সম্পর্কিত নিবন্ধ