কুমিল্লায় শিক্ষার্থীদের ‘বাংলা ব্লকেড’, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১০ কিলোমিটারে যানজট
Published: 10th, March 2025 GMT
সারা দেশে ধর্ষণ, খুন, নারীর প্রতি সহিংসতা ও নিপীড়নের প্রতিবাদে কুমিল্লায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা। মহাসড়কের কুমিল্লা সদর দক্ষিণের কোটবাড়ি নন্দনপুর এলাকা বেলা ১১টা ২৫ মিনিট থেকে ‘বাংলা ব্লকেড’ নামের ওই কর্মসূচিতে অংশ নেন শিক্ষার্থীরা। পরে দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটের দিকে তাঁরা মহাসড়ক থেকে সরে যান।
এ কর্মসূচির কারণে মহাসড়কটির উভয়মুখী লেনে যান চলাচল বন্ধ হয়ে অন্তত ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রী, চালক ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এ ছাড়া কুমিল্লা সরকারি কলেজ, কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজ, কুমিল্লা মর্ডান হাইস্কুলসহ বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কয়েক শ শিক্ষার্থী এতে অংশ নেন।
আজ বেলা একটার দিকে কুমিল্লার ময়নামতি হাইওয়ে ক্রসিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার মজুমদার, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করি। মাত্রই তাঁরা মহাসড়ক থেকে সরে গেছেন। এখন যান চলাচল স্বাভাবিক। তবে যানজট সৃষ্টি হওয়ায় কিছুটা ধীরগতি আছে।’
আজ বেলা ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা মহাসড়কের কোটবাড়ি নন্দনপুর এলাকায় জড়ো হতে থাকেন। এরপর বেলা ১১টা ২৫ মিনিটে তাঁরা মহাসড়ক অবরোধ শুরু করেন। এ সময় শিক্ষার্থীদের অনেকে ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড হাতে ধর্ষণের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি জানান। তাঁরা স্লোগান দেয় ‘ধর্ষকের সাজা একটাই, মৃত্যু ছাড়া কথা নাই’, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ চাই না, নিরাপদ বাংলাদেশ চাই’, ‘ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, ধর্ষকের ফাঁসি চাই’, ‘আমার সোনার বাংলায়, ধর্ষকদের ঠাঁই নাই’ ‘রশি লাগলে রশি নে, ধর্ষককে ফাঁসি দে’ ‘লড়াই লড়াই লড়াই চাই, লড়াই করে বাঁচতে চাই’সহ বিভিন্ন স্লোগান। এ সময় মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া আট বছরের শিশুকে ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদ এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে বিচার দাবি করা হয়।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কুমিল্লা সদর দক্ষিণের কোটবাড়ি নন্দনপুর এলাকা থেকে আজ দুপুরে তোলা.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র এল ক
এছাড়াও পড়ুন:
ফ্রান্স কয়েক মাসের মধ্যে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে: মাখোঁ
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ বলেছেন, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে তাঁর দেশ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে। স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার ফ্রান্স ফাইভ টেলিভিশনের সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপে এ কথা বলেন মাখোঁ।
এ সময় ফরাসি প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, চলমান ইসরায়েল–ফিলিস্তিন সংঘাত নিয়ে আগামী জুনে জাতিসংঘে একটি সম্মেলন হবে। সৌদি আরবের সঙ্গে ফ্রান্স এ সম্মেলনের কো–চেয়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। এ সম্মেলনে ফ্রান্সের পক্ষ থেকে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত করতে চান তিনি।
আরও পড়ুনইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা: অপরাধের শত বছর, অন্যায়ের ৮০, পাপের ৬৯ ১৭ ঘণ্টা আগেমাখোঁ বলেন, ‘স্বীকৃতির বিষয়ে আমাদের অবশ্যই এগোতে হবে। কয়েক মাসের মধ্যে আমরা এটা করতে চাই।’
প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে ফিলিস্তিন সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারসেন আঘাবেকিয়ান শাহিন সংবাদ সংস্থা এএফপিকে বলেন, ফ্রান্সের স্বীকৃতির বিষয়টি ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার রক্ষা ও দ্বি–রাষ্ট্রীয় সমাধানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এটা সঠিক পথে এগোনোর একটি পদক্ষেপ হবে।
আরও পড়ুনগাজা মানুষ ‘হত্যার ক্ষেত্র’, বললেন গুতেরেস, অবরুদ্ধ অবস্থা কাটাতে বিশ্বকে কাজ করার আহ্বান ৬ সংস্থার১৬ ঘণ্টা আগেতবে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিয়ন সার বলেন, ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের পক্ষে যেকোন ‘একতরফা স্বীকৃতি’ হামাসের হয়ে ভূমিকা রাখবে।
জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য দেশের মধ্যে ১৪৬টিই ফিলিস্তিনিকে সার্বভৌম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এর মধ্যে গত বছর ফিলিস্তিনকে সার্বভৌম রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছে আর্মেনিয়া, স্লোভেনিয়া, আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে, স্পেন, বাহামাস, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো, জ্যামাইকা ও বার্বাডোস।