জয়ের পর আনচেলত্তি জানালেন, নজর কেবল ‘তিন পয়েন্টে’
Published: 10th, March 2025 GMT
নগর প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের পয়েন্ট খোয়ানোর সুযোগটা হাতছাড়া করতে চায়নি রিয়াল মাদ্রিদ। স্প্যানিশ লা-লিগার ম্যাচে রায়ো ভায়েকানোর বিপক্ষে চার মিনিটের ব্যবধানে দুই গোল করে বসে লস ব্ল্যাঙ্কসরা। তখন মনে হচ্ছিল প্রতিপক্ষকে গোল বন্যায় ভাসাবে রিয়াল। তবে উল্টো প্রথমার্ধেই এক গোল শধ দিয়ে বসে ভায়েকানো।
দ্বিতীয়ার্ধেই দুই দলই বেশ কিছু আক্রমণ, পাল্টা-আক্রমণ করল বটে, তবে সোনার হরিণ গোলের দেখা পেল না কেউই। ফলে ভায়াকানোর বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রিয়াল। লা লিগার শীর্ষে থাকা বার্সার সমান পইয়েন্ট এখন কার্লো আনচেলত্তির দলের।
আরো পড়ুন:
পয়েন্টে শীর্ষে বার্সা, গোলে লেভানডোফস্কি
ঘরের মাঠে রিয়ালের জয়
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ম্যাচের ৩০ মিনিটে এমবাপে একটি কাউন্টার অ্যাটাক থেকে গোল করে স্বাগতিকদের এগিয়ে দেন। মিনিট চারেক পর ভিনিসিয়ুস একক প্রচেষ্টায় চমৎকার একটি গোল করে রিয়ালের লিড দ্বিগুণ করেন। এই ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার আরও একটি সুযোগ পেয়ে শট পোস্টে মারেন। তাই ব্যবধান আর বাড়েনি। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে রায়ো পেনাল্টি থেকে একটি গোল শোধ করে। সফল স্পট কিকটা নেন পেদ্রো ডিয়াজ।
রিয়াল জিতলেও তাদের খেলা মন ভড়াতে পারেনি সমর্থকদের। তবে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে রিয়ালের ইতালিয়ান ম্যানেজার বললেন, তার মাথায় এখন শুধু তিন পয়েন্ট আদায়ের চিন্তা ঘুরছে।
আনচেলত্তি বলেব, “আমাদের লক্ষ্য ছিল জয়। প্রথমার্ধ খুব ভালো ছিল। সেটা শেষ হতে পারত বড় ব্যবধানে। তবে আমরা কিছু সুযোগ হাতছাড়া করেছি এবং ওরা স্কোরলাইন ২-১ করে ফেলে। যখন ৭৫ মিনিটেও ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে থাকবেন, তখন রক্ষণ সামলাতে চাইবেন আপনি। আমি বুঝতে পারছি মানুষ এটা পছন্দ করেনি। তবে এই কথা আমাদের বিবেচনায় রাখতে হবে যে, আমরা ব্যস্ত সূচির মুখোমুখি হয়েছি এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও কোপা দেল রেতেও খেলছি।”
লা লিগার শিরোপা দৌড়ে স্পেনের তিন বড় ক্লাবের মধ্যে এখন মাত্র এক পয়েন্টের ব্যবধান। যা শিরোপা লড়াই দারুণ জমিয়ে দিয়েছে। বার্সেলোনা ৫৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে, রিয়াল সমান পইয়েন্ট নিয়েও মুখোমুখি দেখায় পিছিয়ে থাকাতে দ্বিতীয় স্থানে। আর অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ ৫৬ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
চিকিৎসককের আকস্মিক মৃত্যুর কারণে শনিবার ওসাসুনার বিপক্ষে ম্যাচটি স্থগিত করেছে বার্সেলোনা। ফলে তাদের হাতে একটি খেলা বাকি আছে।
ঢাকা/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক ল য় ন এমব প প ব যবধ ন
এছাড়াও পড়ুন:
ডিজিটাল সুরক্ষায় অভিভাবক ফিচার
বাংলাদেশে তরুণদের ডিজিটাল নিরাপত্তা ও সুস্থতা নিশ্চিতে ‘ফ্যামিলি পেয়ারিং’ টুলে নতুন ও মানোন্নত ফিচার চালু করেছে টিকটক। নতুন আপডেটে অভিভাবকরা তাদের সন্তানের অনলাইন অভ্যাসের ওপর স্বচ্ছ ও কার্যকর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারবেন। অন্যদিকে, তরুণরা গড়ে তুলতে পারবেন স্বাস্থ্যকর ডিজিটাল অভ্যাস।
নতুন ফিচার টাইম অ্যাওয়ে স্কেডিউলিং, যার মাধ্যমে অভিভাবকরা নির্দিষ্ট স্ক্রিনহীন সময় নির্ধারণ করতে পারবেন। যেমন– স্কুল চলাকালীন, ঘুমানোর সময় বা ছুটির দিন। যদিও টিনএজাররা অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইমের জন্য অনুরোধ করতে পারবে, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত থাকবে অভিভাবকদের হাতে।
আপডেট ফিচারে অনলাইন বিষয়ে পরিবারের মধ্যে খোলামেলা আলোচনা উৎসাহিত করবে। অভিভাবকরা সন্তানের ডিজিটাল লিটারেসি দক্ষতা গড়ে তুলতে সহায়তা করার সুযোগ পাবেন।
দ্রুতই সক্রিয় হবে নতুন ‘প্রোঅ্যাকটিভ রিপোর্টিং অ্যালার্ট’ ফিচার, যেখানে কিশোররা যদি কোনো ভিডিও রিপোর্ট করে, তাহলে তারা একই সঙ্গে অভিভাবক বা বিশ্বস্ত কোনো প্রাপ্তবয়স্ককে তাৎক্ষণিক তা জানাতে পারবে। যদি তারা ফ্যামিলি পেয়ারিং ফিচার ব্যবহার না করে, তাও এ সুবিধা পাবে।
কিছুদিন আগে চালু হয়েছে ‘উইন্ড-ডাউন’ নামে নতুন ফিচার, যা ১৬ বছরের নিচের গ্রাহকের জন্য ডিজাইন করা। রাত ১০টার পর যদি কোনো টিনএজার এ প্ল্যাটফর্মে সক্রিয় থাকে, তবে পুরো স্ক্রিনে রিমাইন্ডার শান্ত সুরের ভিডিও চলবে, যা সময়ের বিষয়ে সচেতন করবে। তারপরও যদি ব্যবহার অব্যাহত থাকে, তাহলে জোরালো রিমাইন্ডার দৃশ্যমান হবে।
টিনএজার নিজেরাই ফিচারটি সচল করেছেন। সামনে এমন ফিচারে গাইডেড মেডিটেশন যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, সব সময় নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে মাধ্যমটি কাজ করছে। ফ্যামিলি পেয়ারিং ফিচার গ্রাহকের পরিবারের হাতে এমন সব টুল তুলে দিচ্ছে, যা ডিজিটাল জগতে টিনএজারদের স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়তে সহায়ক হবে। নিরাপদ ও ইতিবাচক অনলাইন পরিবেশ নিশ্চিতে এ প্ল্যাটফর্ম সব সময় কাজ করছে। জানা গেছে, মাল্টিস্টেকহোল্ডার ডায়ালগ অন এজ অ্যাসিউরেন্সে অংশ নিয়ে কয়েকটি বৈশ্বিক সংগঠনের সঙ্গে কাজ করছে, যেমন– সেন্টার ফর ইনফরমেশন পলিসি লিডারশিপ এবং উই প্রটেক্ট গ্লোবাল অ্যালায়েন্স।
২০২৫ সালে টিকটক গ্লোবাল উইথ কাউন্সিল সম্প্রসারণে কাজ করছে। ২০২৩ সালে চালু হওয়া কাউন্সিল নিরাপত্তা ও সুস্থতাবিষয়ক নীতিমালা গঠনে সক্রিয়। এমন সম্প্রসারণ তরুণদের অভিজ্ঞতা ও প্রত্যাশার মিশেল হবে বলে জানান উদ্যোক্তারা।