রইচ উদ্দিন ও সন্তেষ প্রামানিক ৬৬৩ নম্বর দাগে ২৭ শতক ফসলি জমি বিক্রি করেছিলেন। ক্রেতার বংশধররাও সেই দাগের জমি ভোগদখলে রেখেছিলেন। ৩৮ বছর পর সেই জমির খাজনা খারিজ করতে গিয়ে জানা যায়, দলিল করার সময় ভুলবশত দাগ নম্বর ৬৬৩ এর স্থলে ৬৭৭ লেখা হয়েছিল। ৬৭৭ নম্বর দাগের জমি রইচ উদ্দিনের বসতভিটা।

জমির দাম বেড়ে যাওয়ায় এখন ক্রেতার বংশধররা দলিলে থাকা ওই ৬৭৭ নম্বর দাগের জমি দাবি করছেন। এ নিয়ে জমির মালিক রইচ উদ্দিন আদালতে মামলা করে ও দলিলে দাগ নম্বর সংশোধন করে ডিক্রিও পেয়েছেন। কিন্তু, ক্রেতাপক্ষ তা না মেনে উল্টো রইচ উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এখন বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন শতবর্ষী রইচ উদ্দিন ও তার ছেলে আশরাফুল ইসলাম।

ভুক্তভোগী রইচ উদ্দিন পাবনার চাটমোহর উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের জবেরপুর গ্রামের বাসিন্দা। তার ছেলে আশরাফুল ইসলাম রঙমিস্ত্রি। ক্রেতার বংশধররা হলেন একই গ্রামের বাসিন্দা আমির হোসেন, আব্দুল আলিম ও মনিরুল ইসলাম। তারা জমির ক্রেতা আফসার শেখের নাতি।

জমির দলিল ও কাগজপত্র পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, রইচ উদ্দিন ও সন্তেষ প্রামানিক ১২/০১/১৯৭৬ তারিখে উথুলী মৌজার ৬৬৩ নম্বর দাগের ২৭ শতক ফসলি জমি বিক্রি করেন একই গ্রামের আফসার শেখ ও আছিয়া বেগমের কাছে। জমি রেজিস্ট্রির সময় তৎকালীন দলিল লেখক ভুলবশত বিক্রি করা জমির দাগ নম্বর ৬৬৩ এর স্থলে ৬৭৭ উল্লেখ করেন। ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়েই লেখাপাড়া না জানায় বিষয়টি তখন কেউই বুঝতে পারেননি। ৩৮ বছর ধরে ৬৬৩ নম্বর দাগের ফসলি জমি ভোগদখলের পর ২০১৪ সালে ওই জমি খাজনা খারিজ করতে গিয়ে আফসার শেখ জানতে পারেন, দলিলে ৬৬৩ নম্বর দাগের স্থলে দাগ নম্বর ৬৭৭ উল্লেখ আছে। ততদিনে বাড়ির জমির দামও বেড়েছে কয়েক গুণ।

তখন চাটমোহর এসি ল্যান্ডের কাছে মিসকেস করেন আফসার শেখ। সেখানে তিনি দাবি করেন, তারা জমি কিনেছেন ৬৭৭ নম্বর দাগে। দলিলে সেটা উল্লেখ আছে। তাই, ওই দাগ নম্বরের কেনা জমি তাদের নামে নামজারি করে দেওয়া হোক। ওই মিসকেসের নোটিশ পেয়ে রইচ উদ্দিনের ছেলে আশরাফুল মিসকেসের বাদীদের বলেন, “দলিলে দাগ নম্বর ভুল হয়েছে, তোমরা দলিল সংশোধন করে নাও। আমি করে দিচ্ছি। তোমরা চাইলেও ৬৭৭ নম্বর দাগে ২৭ শতক জমি পাবে না। কারণ, এই দাগে জমি মোট ৪১ শতক। তার মধ্যে রইচ উদ্দিনের জমি সোয়া ১৩ শতক। বাকি জমি অন্য ওয়ারিশদের।” রইচ উদ্দিনের নামের জমি খাজনা খারিজ করা ৩০/১১/২০০৮ তারিখে। যার হিসাব নম্বর ৭৯৯। নামজারি কেস নম্বর ১৪৯০/০৮-০৯।

রইচ উদ্দিনের ছেলে আশরাফুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে বলেন, “তারা (ক্রেতাপক্ষ) সে প্রস্তাব না মানায় মিসকেসের নোটিশ নিয়ে চাটমোহর পৌর ভূমি অফিসের তৎকালীন নায়েব কাশেম আলীর কাছে যাই। তার কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি আমার কাগজপত্র না দেখে, আমার কোনো কথা না শুনে তাদের পক্ষে কথা বলেন এবং আমার বাবা রইচ উদ্দিনের নামজারি বাতিল করেন।”

এরপর রইচ উদ্দিন ও সন্তেষ প্রামানিক ০২/০১/২০১৪ তারিখে পাবনার আদালতে দলিল সংশোধনের মামলা করেন। সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে ২৮/১১/২০১৯ তারিখে মামলায় দোতরফা সূত্রে ডিক্রি পান তারা। সেই ডিক্রিতে আদালত আদেশ দেন, বিক্রিত তফসিল বর্ণিত ১২/০১/১৯৭৬ তারিখে ১৬৪৬ নম্বর দলিলে ভুল দাগ নম্বর ৬৭৭ কর্তন করে তদস্থলে ৬৬৩ নম্বর দাগ সংশোধন করা হলো। অত্র আদেশের অনুলিপি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সাব-রেজিস্টার বরাবর প্রেরণ করা হলো।

তারপর ২১/১০/২০২৪ তারিখে সংশোধিত দলিল ও কাগজপত্র নিয়ে এসি-ল্যান্ড অফিসে গিয়ে মিসকেস করেন রইচ উদ্দিন ও তার ছেলে আশরাফুল ইসলাম। বিবাদী করেন আফসার শেখের নাতি আমির হোসেন, আব্দুল আলিম ও মনিরুল ইসলামকে। মিসকেস করার পর চাটমোহর পৌর ভূমি অফিসের ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোস্তফা শামীম সরেজমিন তদন্ত করে এসি-ল্যান্ডের কাছে প্রতিবেদন জমা দেন ২৪/০২/২০২৫ তারিখে। সেই প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, উভয় পক্ষের শুনানি ও দলিল যাচাই করে ৪৯৯৬/২০১৬-১৭ নম্বর নামজারিবলে খোলা হিসাব নম্বর ১৩৭৮ থেকে নালিশি আরএস ৮৬৪ দাগে (যার এসএ দাগ নম্বর ৬৭৭) ০ দশমিক ২৭ একর জমি কর্তন করে মূল খতিয়ানভুক্ত করা যেতে পারে।

রইচ উদ্দিনের ছেলে আশরাফুল ইসলাম বলেন, “গত ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ তারিখে চাটমোহর এসি-ল্যান্ড অফিসে উভয় পক্ষের শুনানি হয়। কিন্তু, এসি-ল্যান্ড সাহেব আমাদের কোনো কাগজপত্র না দেখে বলেন, বিবাদী পক্ষ আদালতে আপিল করেছেন। আমার কিছু করার নেই।’ তিনি মিসকেস বাতিল করে দেন।

তিনি বলেন, “বিবাদী আমির গং আমাদের দলিল সংশোধনের ডিক্রির বিরুদ্ধে আদালতে আপিল করেছে। তারা দলিলে ৬৬৩ নম্বর দাগ না দিয়ে ৬৭৭ নম্বর দাগ দাবি করেছে। ইতোপূর্বে ২০১৭ সালে মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদে তিনবার শালিসে বসার জন্য নোটিশ পাঠানো হলেও আমির হোসেন গং হাজির হয়নি এবং নোটিশেও স্বাক্ষর করেনি।”

তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান সরদার মো.

আজিজুল হক স্বাক্ষরিত এক প্রত্যয়নপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, ৬৭৭ ও ৮৬৪ নম্বর দাগে রইচ উদ্দিনের বসতঘর আছে। ৬৭৭ নম্বর দাগ ভুলক্রমে আফসার শেখের দলিলে ওঠে। ৬৬৩ নম্বর দাগের জমি ৬০ শতক আফসার শেখ ভোগদখল করছেন।

আশরাফুল ইসলাম আরো বলেন, “আদালত থেকে ডিক্রি পাওয়ার ইনফরশেন স্লিপ ও ইউপি চেয়ারম্যানের প্রত্যয়নপত্র এসি-ল্যান্ড স্যারকে দিলেও তিনি গ্রহণ করেননি। তারা আমার কাগজপত্র না দেখে আদালতের আদেশ না মেনে আদালত অবমাননা করেছেন বলে মনে করি। আমি ন্যায়বিচার চাই। আমাদের পক্ষে তথ্য-প্রমাণ, দলিল-কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও কেন দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হবে আমাদের? আমার বাবার একশত বছরের বেশি। তিনিও খুব ভেঙে পড়েছেন। শুধু চোখের পানি ফেলছেন। বিবাদী আমির গং এলাকায় প্রভাবশালী, টাকাওয়ালা মানুষ। তারা চ্যালেঞ্জ করেছে, যেকোনো মূল্যে ৬৭৭ দাগের জমি নেবে।”

রইচ উদ্দিন বলেন, “আমি তো ৬৭৭ দাগে জমি বিক্রি করি নাই। বিক্রি করছি ৬৬৩ দাগে। সেখানেই তারা ৩৮ বছর ধরে ভোগদখল করে আইসে। এহন আমার বাড়ির জমির দাগ দাবি করতিছে। ওই সময় সবাই মুর্খ মানুষ ছিলেম। কেউ লেহাপড়া জানতেম না। মুহুরি ভুল কইরে দলিলে ৬৭৭ নম্বর দাগ তুইলে দিছে। সিডা আবার আমরা আদালত থেকে সংশোধানও করে লিছি। তাহলি কেন তারা মানতিছে না। এতকিছুর পরও কি ন্যায়বিচার পাবো লায়?’

ক্রেতাপক্ষের আমির হোসেন বলেন, “তারা জাল দলিল করে নিয়ে জমি খারিজ করেছে। তারা সব দাগেই জমি কেনাবেচা করেছে। ২০১৪ সালে আমার দাদা আফসার শেখ যখন আমাদের নামে জমি লিখে দেন, তখন জমি খারিজ করতে গিয়ে বিষয়টি জানতে পারি। তাদের ওয়ারিশান জমি নয়, কেনা সম্পত্তি। আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের জন্য শালিসে বসার জন্য তাদের বলা হলেও তারা বসেনি। আমরা ডিক্রির বিরুদ্ধে আদালতে আপিল করেছি। এখন আইনের মাধ্যমে যেটা হয়, হবে। এখন এ নিয়ে বেশি কথা বলে লাভ নাই।”

এ বিষয়ে চাটমোহর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদি হাসান শাকিল বলেন, “বাদী বা বিবাদী পক্ষ কেউ যদি আমার রায়ে সন্তুষ্ট না হন, তাহলে তারা আমার রায়ের কপি পাওয়ার পর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (রাজস্ব) কাছে আপিল করতে পারবেন। তখন যদি এডিসি স্যার প্রয়োজনে আমার কাছে নথি তলব করেন, তখন আমার রায়ের সকল নথি তার কাছে সরবরাহ করব।”

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরো বলেন, “কোনো মামলার বিরুদ্ধে যদি আপিল হয়, তাহলে মূল মামলা চলমান থাকে। যদি তাদের (রইচ উদ্দিন গং) মামলার ডিক্রির বিরুদ্ধে আপিল করে বিবাদী পক্ষ (আমির গং), তাহলে ওই মামলা এখন চলমান বুঝতে হবে। তাই, সেটার রায় না হওয়া পর্যন্ত সবাইকে অপেক্ষা করতে হবে। কে ভুল, কে সঠিক, তা নির্ধারণ করবেন আদালত।”

ঢাকা/শাহীন/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আশর ফ ল ইসল ম ক গজপত র ন আম র হ স ন আফস র শ খ খ র জ কর র দল ল আম দ র আম র ক র জন য উল ল খ

এছাড়াও পড়ুন:

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩য় বর্ষের পরীক্ষার্থীদের জন্য ১৯টি বিশেষ সতর্কতা

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ২০২৩ সালের ৩য় বর্ষের (নিয়মিত, অনিয়মিত ও গ্রেড উন্নয়ন) পরীক্ষা শুরু ২৪ এপ্রিল। পরীক্ষা শুরু হবে প্রতিদিন বেলা একটা থেকে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ‘পরীক্ষার শৃঙ্খলা–সম্পর্কিত ১৯টি অপরাধ’—এর তালিকা প্রকাশ করেছে, যা প্রতিটি পরীক্ষার্থীর অবশ্যই মেনে চলতে হবে। কোন অপরাধের কী শাস্তি হবে, তা দেওয়া হলো।

আরও পড়ুনমাদ্রাসা ও কারিগরির শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মচারীরা পাবেন অনুদান, আবেদনের সময় আরও ১০ দিন১৪ এপ্রিল ২০২৫

পরীক্ষা শৃঙ্খলা–সম্পর্কিত ১৯ অপরাধ

ক. পরীক্ষাকক্ষে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করা ও কথাবার্তা বলা;
খ. পরীক্ষাকক্ষে ধূমপান করা;
গ. পরীক্ষার হলে মুঠোফেন বা কোনো ইলেকট্রনিকস সামগ্রী বহন;
ঘ. দূষণীয়/অননুমোদিত কাগজপত্র সঙ্গে রাখা;
ঙ. দূষণীয়/অননুমোদিত কাগজপত্র থেকে উত্তরপত্রে লেখা;
চ. প্রশ্নপত্রে উত্তর লেখা/প্রশ্নপত্রে লেখা উত্তর থেকে উত্তরপত্রে লেখা;
ছ. পরীক্ষার হলে মুঠোফোন বা কোনো ইলেকট্রনিকস সামগ্রী ব্যবহার করে উত্তরপত্রে লেখা;
জ. পরীক্ষাকক্ষের নির্দিষ্ট স্থানের পরিবর্তে অবৈধভাবে অন্য স্থানে আসন গ্রহণ করা;
ঝ. ডেস্ক, বেঞ্চ, কাপড়, শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ, ব্ল্যাকবোর্ড, কক্ষের দেওয়াল বা অন্য কিছুতে লেখা এবং সেখান থেকে উত্তরপত্র লেখা;
ঞ. উত্তরপত্রে অস্বাভাবিক, আপত্তিকর কিছু লেখা, অযৌক্তিক কোনো মন্তব্য করা অথবা উত্তরপত্রের মধ্যে টাকা রাখা;
ট. রোল নম্বর পরিবর্তন/পরস্পর রোল নম্বর বিনিময় করা (উত্তরপত্র একে অপরের সঙ্গে পরিবর্তন);
ঠ. মিথ্যা অজুহাত দেখিয়ে বিশেষ সুবিধা গ্রহণ/সুবিধা গ্রহণের চেষ্টা করা;
ড. মিথ্যা পরিচয় প্রদান করে অবৈধভাবে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা;
ঢ. পরীক্ষাকক্ষ থেকে উত্তরপত্র বাইরে পাচার করা বা বাইরে থেকে লেখা উত্তরপত্র সংযোজন করা;

আরও পড়ুনঅস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডস স্কলারশিপে আবেদন শুরু, আইএলটিএসে ৬.৫ অথবা টোয়েফলে ৮৪ হলে আবেদন ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ণ. উত্তরপত্রের কভার পৃষ্ঠা পরিবর্তন করা;
ত. ইনভিজিলেটরের কাছে উত্তরপত্র দাখিল না করে পরীক্ষার হল ত্যাগ করা, ইনভিজিলেটর কর্তৃক চাহিবামাত্র দূষণীয় কাগজপত্র প্রদান না করে তা নাগালের বাইরে ফেলা/ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করা/গিলে ফেলা;
থ. উত্তরপত্র বিনষ্ট করা/ছিঁড়ে ফেলা, দূষণীয় কাগজপত্র/দ্রব্যাদি, উত্তরপত্র বা প্রবেশপত্র ইত্যাদি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করা বা জব্দ করার ক্ষেত্রে কোনোরূপ বাধা সৃষ্টি করা;
দ. পরীক্ষার কক্ষে পরীক্ষার কাজে নিয়োজিত ইনভিজিলেটর/কর্তব্যরত ব্যক্তি সম্পর্কে কটূক্তি, গালাগাল, তাঁর সঙ্গে অসদাচরণ বা তাঁকে কোনোরূপ ভীতি প্রদর্শন করা। পরীক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত কোনো ব্যক্তি/ব্যক্তিবর্গকে পরীক্ষার হলে বা হলের বাইরে লাঞ্ছিত করা বা লাঞ্ছিত করার চেষ্টা করা। পরীক্ষা চলাকালে পরীক্ষাকক্ষে কেন্দ্র চত্বর বা বাইরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি, স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা অথবা পরীক্ষা পরিচালনার সঙ্গে জড়িত কোনো ব্যক্তির সঙ্গে অসদাচরণ করলে বা তাঁকে দৈহিক আক্রমণ করলে;
ধ. সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠানে কোনোরূপ বাধা সৃষ্টি, গোলযোগ সৃষ্টি, অন্যকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণে বাধা প্রদান, অন্য পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষার হল ত্যাগে বাধ্য না উসকানি প্রদান, পরীক্ষাকক্ষ ও আসবাব ভাঙচুর করা বা আগুন দেওয়া।

অপরাধের শাস্তিমূলকব্যবস্থা

ক. পরীক্ষাসংক্রান্ত ওপরের অপরাধের জন্য পরীক্ষা শৃঙ্খলা কমিটি নিচের শাস্তির সুপারিশ করতে পারবে।
১. ক থেকে ঘ পর্যন্ত বর্ণিত অপরাধের জন্য। শাস্তি: সংশ্লিষ্ট বছরের পরীক্ষা বাতিল।
২. ঙ থেকে ঞ পর্যন্ত বর্ণিত অপরাধের জন্য। শাস্তি: সংশ্লিষ্ট বছরের পরীক্ষা বাতিলসহ পরবর্তী এক বছর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না।
৩. ট থেকে ঠ পর্যন্ত বর্ণিত অপরাধের জন্য। শাস্তি: সংশ্লিষ্ট বছরের পরীক্ষা বাতিলসহ পরবর্তী (পরপর) দুই বছর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না।
৪. ড থেকে ণ পর্যন্ত বর্ণিত অপরাধের জন্য। শাস্তি: সংশ্লিষ্ট বছরের পরীক্ষা বাতিলসহ পরবর্তী (পরপর) তিন বছর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না।
৫. ত থেকে ধ পর্যন্ত বর্ণিত অপরাধের জন্য। শাস্তি: সংশ্লিষ্ট বছরের পরীক্ষা বাতিলসহ পরবর্তী (পরপর) চার বছর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না।
৬. ন-বর্ণিত অপরাধের জন্য। শাস্তি: শৃঙ্খলা কমিটি অপরাধের মাত্রা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত দেবে।
খ. পরীক্ষার্থীর কোনো অপরাধ ওপরের শাস্তির আওতায় না পড়লে পরীক্ষা শৃঙ্খলা কমিটি অপরাধের প্রকৃতি বিবেচনা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে যেকোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করবে।
ছবি: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়// Porasona-1 (12_04_2025) PA_04

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নববর্ষে হাঁকডাকে মুখর শতবর্ষী মাছের মেলা
  • নববর্ষে হাঁকডাকে মুখোর শতবর্ষী মাছের মেলা
  • শতবর্ষী ঐতিহ্যে চুনারুঘাটের বৈশাখী মেলা, কৃষিপণ্যের বাহারে মুখর পীরের বাজার
  • বিসিবিতে দুদকের অভিযান, মুজিববর্ষের আয়োজনে ২০ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ
  • বিসিবিতে দুদকের অভিযান, মুজিববর্ষ আয়োজনে ২০ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ
  • জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩য় বর্ষের পরীক্ষার্থীদের জন্য ১৯টি বিশেষ সতর্কতা
  • পুলিশে ২০০০ কনস্টেবল নিয়োগ: লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার প্রস্তুতিতে যা করণীয়
  • নববর্ষের ঐতিহ্য: কুমিল্লায় শতবর্ষী মাছের মেলায় ক্রেতাদের ভিড়
  • বৈশাখে শতবর্ষীয় বাঁশির সুর বাজে যে গ্রামে
  • বেরোবিতে ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষকদের উপস্থিতিপত্রে মুজিব শতবর্ষের ছবি