আজও মহাসড়ক অবরোধ করে রাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
Published: 10th, March 2025 GMT
দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদ ও ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের দাবিতে আজও ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা।
আজ সোমবার দুপুর সোয়া ১২ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এতে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে শিক্ষার্থীরা আজকের কর্মসূচির শেষ করেন। ফলে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
গতকাল বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এর আগে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে জড়ো হতে থাকেন। সেখানে অবস্থান নিয়ে তারা ধর্ষণবিরোধী নানা স্লোগান দেন। পরে দুপুর ১২টার কিছুক্ষণ পর শিক্ষার্থীরা একটি মিছিল নিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করেন। দুপুর সাড়ে ১২টায় নগরীর তালাইমারি এলাকা থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে একটি মিছিল এতে সংহতি জানায়। দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে এই কর্মসূচি শেষ করেন তারা।
বিক্ষোভে শিক্ষার্থীরা- ‘তুমি কে? আমি কে? আছিয়া আছিয়া’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, ধর্ষকদের কবর দে’, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস, নো মোর র্যাপিস্ট’, ‘আমার বোনের কান্না, আর না আর না’, ‘একটা একটা ধর্ষক ধর, ধরে ধরে জবাই কর’, ‘খুনি কেন বাহিরে, ইন্টেরিয়ম জবাব চাই’, ‘বিচার বিচার চাই, ধর্ষকের বিচার চাই’, ‘রশি লাগলে রশি নে, ধর্ষকদের ফাঁসি না’, ‘ধর্ষকের শাস্তি, মৃত্যু মৃত্যু’, প্রভৃতি স্লোগান ও প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘আমাদের দাবি একটাই, যত দ্রুত সম্ভব বিশেষ ট্রাইবুনাল গঠন করতে হবে। আছিয়া, তনু, খাদিজা থেকে শুরু করে যতগুলো ধর্ষণকাণ্ড হয়েছে, সব ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। সেই সঙ্গে ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত করে ৩০ দিনের মধ্যে বিচারকার্য শেষ করতে হবে, এই মর্মে আইন পাশ করতে হবে।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
‘কথা বললেই মামলার সংখ্যা বাড়ে, হাত পেছনে নিয়ে হ্যান্ডকাফ দিয়ে রাখে’
দুদকের মামলায় হাজিরা দিতে আদালতে এসে সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ‘কথা বললেই মামলার সংখ্যা বাড়ে। হাত পেছনে নিয়ে হ্যান্ডকাফ দিয়ে রাখে। কথা বলে কী লাভ?’
আজ সোমবার দুর্নীতি দমন কমিশনের করা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা মামলায় হাজিরা দিতে এসে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন তিনি। এদিন দুপুর ১টা ৫০ মিনিটের দিকে তাকে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে উপস্থিত করে হাজতখানায় রাখা হয়।
এ সময় পলকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তরিকুল ইসলাম বলেন, জুনাইদ আহমেদ পলককে নিয়মিতই বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে আনা হচ্ছে। এতে তিনি ভীষণ কষ্ট পাচ্ছেন। এছাড়াও তার দুই হাত পিছমোড়া করে হাতকড়া পরিয়ে আদালতে আনা হচ্ছে। এগুলো সাধারণত দাগী আসামিদের ক্ষেত্রে করা হয়।
পলকের বিরুদ্ধে হওয়া দুদকের মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ১২ ডিসেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে সমন্বিত ঢাকা জেলা কার্যালয়-১ এ মামলাটি করেন।
মামলায় বলা হয়, অভিযুক্ত জুনাইদ আহমেদ পলক অবৈধ উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৮ কোটি ৭৩ লক্ষ ৪৭ হাজার ৪২ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করে তা ভোগদখলে রেখেছেন। একইসঙ্গে নিজ নামে ২৫টি ব্যাংক হিসাবে মোট ৩২ কোটি ৪ লাখ ৯৫ হাজার ৩১৪ টাকা জমা এবং ২৯ কোটি ৮৪ লাখ ৭২ হাজার ৯৫ টাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অস্বাভাবিক লেনদেন করে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে মানিলন্ডারিংয়ের অপরাধ সংঘটন করেছেন।
মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
গত ১৪ আগস্ট রাতে রাজধানীর খিলক্ষেত থানাধীন নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকা থেকে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় জুনায়েদ আহমেদ পলককে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। এরপর থেকে বিভিন্ন মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে দফায় দফায় রিমান্ডে নেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক আছেন।