জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোখলেস উর রহমানের সঙ্গে দেখা করে সচিব করার দাবি জানিয়েছেন অবসরে যাওয়া ‘বঞ্চিত’ অতিরিক্ত সচিবেরা।

‘বঞ্চিত অবসরপ্রাপ্ত সচিব ফোরাম’–এর উদ্যোগে আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে বেশ কিছুসংখ্যক অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব সচিবালয়ে জনপ্রশাসন সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ দাবি জানান। তাঁদের দাবি, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তাঁরা বারবার পদোন্নতিবঞ্চিত হয়েছেন।

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রায় ১৬ বছরে জনপ্রশাসন থেকে অবসরে যাওয়া ৭৬৪ জন কর্মকর্তাকে গত ৯ ফেব্রুয়ারি ‘ভূতাপেক্ষ’ পদোন্নতি দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। উপসচিব থেকে সচিব পর্যন্ত এই পদোন্নতি দেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে ১১৯ জন সচিব পদে পদোন্নতি পেয়েছেন।

আজ দাবি জানাতে আসা অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিবেরা সাংবাদিকদের কাছে বলেন, ইতিমধ্যে অবসরে যাওয়া যে ৭৬৪ জন কর্মকর্তাকে ‘ভূতাপেক্ষ’ পদোন্নতিতে দেওয়া হয়েছে, তাতে নিয়ম ভঙ্গ করা হয়েছে। এ–সংক্রান্ত কমিটির আহ্বানে কমিটির কাছে মোট ১ হাজার ৫৪০টি আবেদন জমা পড়েছিল। তাঁদের মধ্যে অতিরিক্ত সচিব আবেদন করেন ৫১২ জন। তাঁদের মধ্যে ৫১ জনকে অতিরিক্ত সচিব থেকে সচিব করা হয়েছে। কিন্তু তাঁদের মধ্যে ৩৮ জন অতিরিক্ত সচিব হওয়ার ক্ষেত্রে কখনো পদোন্নতিবঞ্চিত হননি। এ ছাড়া আবেদন না করেও পদোন্নতি পাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে পদোন্নতিতে মেধাক্রমকে আমলে নেওয়া হয়নি।

‘বঞ্চিত’ এই অতিরিক্ত সচিবদের দাবি, তাঁরা ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বারবার পদোন্নতিবঞ্চিত হয়েছেন। এখন আবার পদোন্নতিবঞ্চিত হওয়ায় পরিচয় সংকটে পড়েছেন। তাঁদের ভাষ্য, চাকরিতে সবাই সচিব হিসেবে পদোন্নতি পাবেন না, এটি তাঁরা জানেন। কিন্তু সামাজিক মর্যাদার জন্য তাঁরা সচিব পদে পদোন্নতি চান।

এ বিষয়ে বঞ্চিত অবসরপ্রাপ্ত সচিব ফোরামের আহ্বায়ক মো.

নাসির উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, তাঁরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবকে বলেছেন, আর্থিকসংকটের বিষয়টি বিবেচনা করে তাঁরা কোনো বকেয়া বা আর্থিক সুবিধা চাচ্ছেন না। তাঁরা কেবল একটি পরিচয় ও মর্যাদা চান। এ জন্য সচিব পদে পদোন্নতি চান। এ বিষয়ে জনপ্রশাসনের জ্যেষ্ঠ সচিব তাঁদের বলেছেন, বিষয়টি (ইতিমধ্যে দেওয়া ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি) পর্যালোচনা করার জন্য প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সারসংক্ষেপ পাঠিয়েছেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অবসরপ র প ত

এছাড়াও পড়ুন:

সেজনি: অবসর ভেঙে ফিরে বার্সার হয়ে ইতিহাস লিখছেন যিনি

২০২৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর রাতের কথা। ভিয়ারিয়ালের মাঠে ভিয়ারিয়ালকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে লিগে টানা ষষ্ঠ জয় আদায় করে নেয় বার্সেলোনা। কিন্তু জিতেও যেন স্বস্তি ছিল না বার্সা শিবিরে। হাঁটুতে মারাত্মক চোট পেয়ে যে স্ট্রেচারের করে মাঠ ছাড়তে হয়েছে গোলরক্ষক মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগেন। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে শূন্যে লাফিয়ে বল ধরার পর পড়ে গিয়ে ডান হাঁটুতে এই চোট পান জার্মান গোলরক্ষক।

সে সময়েই বোঝা যাচ্ছিল, খারাপ কোনো খবর পেতে যাচ্ছে বার্সেলোনা। হয়েছেও তাই। জানা যায়, গুরুতর এই চোটে মৌসুম শেষ হয়ে গেছে টের স্টেগেনের। দলের প্রধান গোলরক্ষককে হারিয়ে বার্সার তখন পাগলপ্রায় দশা।

ইনিয়াকি পেনিয়া দ্বিতীয় গোলরক্ষক হিসেবে থাকলেও মৌসুমজুড়ে তাঁর ওপর আস্থা রাখা কঠিনই ছিল। আর কোনো কারণে যদি তাঁকেও হারাতে হয়, তখন কী হবে! সব মিলিয়ে বার্সার আরেকজন গোলরক্ষককে দলে টানা জরুরি হয়ে দাঁড়ায়।

কিন্তু লা লিগার দলবদলের দুয়ার তখন বন্ধ হওয়ায় বিকল্প পথের সন্ধান করতে হয় বার্সাকে। এর মধ্যে একটা পথ পেয়েও যায় তারা। স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের (আরএফইএফ) বিশেষ শর্ত মেনে গোলরক্ষক ভেড়ানোর সুযোগ পায় কাতালান ক্লাবটি। শর্তটি হচ্ছে চোটাক্রান্ত খেলোয়াড়টিকে চার মাসের বেশি সময়ের জন্য মাঠের বাইরে ছিটকে যেতে হবে।

আরও পড়ুনআলিসন ও সেজনি: মানব থেকে অতিমানব০৬ মার্চ ২০২৫

পাশাপাশি যে খেলোয়াড়টি তারা নেবে, তাঁকে ফ্রি এজেন্ট হতে হবে এবং দলবদল শেষ হওয়ার আগেই আগের ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি শেষ করতে হবে। এ ছাড়া নতুন যে গোলরক্ষককে তারা কিনবে, তাঁকে আহত গোলরক্ষকের ৮০ শতাংশ পর্যন্ত বেতন দেওয়ার অনুমতি পাবে ক্লাবটি। যেমন বার্সায় টের স্টেগেন বেতন পান বছরে ৯০ লাখ ইউরো। এখন নতুন গোলরক্ষকের বেতন হতে পারবে বছরে সর্বোচ্চ ৭০ লাখ ইউরো।

এত শর্ত মেনে খেলোয়াড় খুঁজে বের করা সহজ ব্যাপার ছিল না। কিন্তু এই কঠিন শর্তই বার্সাকে পৌঁছে দেয় ভয়চেক সেজনির কাছে। যিনি এক মাস আগে অর্থাৎ ২০২৪ সালের ১৪ আগস্ট জুভেন্টাসের সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে চুক্তি ছিন্ন করে হয়ে যান ফ্রি এজেন্ট।  

দলের সঙ্গে ট্রফি হাতে সেজনির উদ্‌যাপন

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ২১ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করলো বিএসইসি
  • বাবার মরদেহ দুই বছর লুকিয়ে রাখেন সন্তান
  • সেজনি: অবসর ভেঙে ফিরে বার্সার হয়ে ইতিহাস লিখছেন যিনি
  • প্রাণ দিয়ে সহযোদ্ধাদের বাঁচান শহীদ ক্যাপ্টেন আফতাবুল কাদের