গাজীপুরের শ্রীপুরের কৃষি উদ্যোক্তা কবির হোসেন শখের বসেই চার বিঘা জমিতে সূর্যমুখী ফুলের একটি বাগান করেছিলেন। তার শখের সেই বাগানই এখন স্থানীয়দের কাছে বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।

জানা যায়, প্রতিদিন শত শত দর্শনার্থী দূর-দূরান্ত থেকে কবির হোসেনের সূর্যমুখী ফুলের বাগান দেখতে আসেন। বাগানের আশপাশে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন খাদ্য পণ্যের অস্থায়ী দোকান। ফটোসেশনের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে কারুকাজের বাহারি গেট।

কবির হোসেন বলেন, ‘‘শখের বশেই সূর্যমুখী ফুলের চাষ শুরু করেছিলাম। গত ফেব্রুয়ারিতে ফুল ফোটা শুরু করলে দর্শনার্থীর আনাগোনা শুরু হয়। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে ভিড় বাড়তে থাকে। আগামী বছর আরো বেশি জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করব।’’

সূর্যমুখী বাগান ঘুরতে আসা সুমাইয়া নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘‘বাগানটা দেখতে খুব সুন্দর। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সূর্যমুখী বাগানের কথা জেনে এসেছি। খুব ভালো লাগছে। এছাড়া, বাগানে প্রবেশে কোনো টাকা লাগে না। এটা অবশ্যই বাগান মালিকের দারুণ একটি উদ্যোগ।’’

মুহিবউল্লাহ নামের আরেকজন বলেন, ‘‘সয়াবিনের চেয়ে সূর্যমুখীর তেল বেশি স্বাস্থ্যসম্মত। কবির হোসেনের বাগান দেখে অন্য কৃষকরাও সূর্যমুখী ফুল চাষে উদ্বুদ্ধ হবেন বলে আশা করি। এতে দর্শনার্থীদের জন্য যেমন বিনোদন কেন্দ্র বাড়বে, তেমনি কৃষকরাও আর্থিকভাবে লাভবান হবেন।’’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সুমাইয়া সুলতানা বন্যা বলেন, ‘‘উপজেলার বরমী ইউনিয়নের কায়েতপাড়া গ্রামে কবির হোসেন সূর্যমুখী ফুলের বাগান করেছেন। তার বাগান করতে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে বিনামূল্যে বীজ, সার, কীটনাশক দিয়ে সহযোগিতা করা হয়েছে।’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘সূর্যমুখীর তেল ভোগ্যপণ্য হিসেবে ব্যবহার করা য়ায়। কবির হোসেনের বাগান দেখে অন্য কৃষকরা আগ্রহী হলে ভোজ্যতেলের আমদানি নির্ভরতা কমবে এবং আমরা পুষ্টিসমৃদ্ধ তেল পাব।’’

ঢাকা/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা প্রতিবন্ধী নারী, সন্তান প্রসবের সময় মৃত্যু

চাঁদপুরের কচুয়ায় ধর্ষণের শিকার হয়ে বাকপ্রতিবন্ধী নারী ফাতেমা আক্তার (৪২) অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। সন্তান প্রসবের সময় তিনি মারা যান। তবে নবজাতক শিশুটি জীবিত আছে। রোববার সকালে উপজেলার আশ্রাফপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত উপজেলার আব্দুর রহিমের ছেলে মেহেদী হাসান প্রদিপকে (২০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মারা যাওয়া ফাতেমার বড় ভাই শেখ ফরিদ জানান, ২০২৪ সালের জুলাই মাসে মেহেদী হাসান তার বাড়িতে বোনকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। এতে তার অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। এ ঘটনা জানাজানি হলে একটি মহল ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। 


পুলিশ জানায়, ধর্ষণের ঘটনায় ফাতেমার ভাই শেখ ফরিদ বাদী হয়ে কচুয়া থানায় ৩ মার্চ নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন। মামলার পর পুলিশ মেহেদী হাসান গ্রেপ্তার করে আদালতের পাঠায়। আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এ বিষয়ে কচুয়া থানার ওসি আজিজুল ইসলাম বলেন, মামলা দায়ের পর অভিযুক্ত মেহেদী হাসান নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে আদালত পাঠানো হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ