‘ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে ব্রুনোর মতো ফুটবলার দরকার’
Published: 10th, March 2025 GMT
দিন চারেক আগেই চ্যাম্পিয়নস লিগে ডাচ ক্লাব পিএসভিকে ৭-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল আর্সেনাল। ফর্মের তুঙ্গে থাকায় সমর্থকরা আশা করছিল রবিবার (৯ মার্চ, ২০২৫) ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকেও হেসেখেলেই হারাবে গানারসরা। তবে হারানো তো পরের কথা, উল্টো একটুর জন্য ম্যাচ হেরে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পেল মিকেল আর্তেতার দল।
অন্যদিকে ঘরের মাঠে এই ম্যাচে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ত্রাণকর্তা হিসেবে আরও একবার আবির্ভূত হলেন মিডফিল্ডার ব্রুনো ফের্নান্দেজ। প্রথমে গোল করে এগিয়ে দেওয়ার পর সমতায় ফেরে আর্সেনাল। ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে দলকে প্রায় জিতিয়েই ফেলেছিলেন ফের্নান্দেজ। তবে তার শটটি দারুণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন গানারস গোলরক্ষক ডেভিড রায়া। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচএই পর্তুগিজ তারকার শটটি ড্র হয় ১-১ গোলে। ম্যাচ শেষে ইউনাইটেডের কোচ রুবেন আমোরিম বলেছেন, ‘আরও ব্রুনো’ প্রয়োজন।
ঘরের মাঠ অল্ড ট্রাফোর্ডে বিরতিতে যাওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে গোল পায় ইউনাইটেড। ম্যাচের ৭৪ মিনিটে সেই গোলটা শোধ করেন আর্সেনাল মিডফিল্ডার দেকলান রাইস। রায়াতে বাধা না পেলে ইউনাইটেড প্রায় জিতেই গিয়েছিল ম্যাচটি।
আরো পড়ুন:
‘শেষ চারে টিকে থাকার যোগ্যতা, আকাশ থেকে পড়বে না’
ম্যানসিটিতে ‘নতুন মেসি’ নিয়ে আসলেন গার্দিওলা
ফের্নান্দেজের পারফরম্যান্সেই এই মৌসুমে ইউনাইটেড ১৪তম স্থানে থাকতে পেরেছে। অন্যথায় তারা তলানিতে থাকত। চলমান মৌসুমে ইতিমধ্যেই ১২ গোলের পাশাপাশি ১৩ অ্যাসিস্ট করেছেন এই মিডফিল্ডার। প্রিমিয়ার লিগে সমান ৭ গোল ও অ্যাসিস্ট।
আমোরিম বলেছেন, ফের্নান্দেজ দলের জন্য সব পজিশনে খেলতে রাজি, “আমি মনে করি (ফের্নান্দেজ) সব সময় এগিয়ে আসে। কখনও-কখনও সে হতাশা প্রকাশ করে ফেলে। আসলে খারাপ মুহুর্তগুলো অন্যদের চেয়ে তাকে বেশি ব্যথিত করে। সে জিততে চায়, বিভিন্ন পজিশনে খেলতে সব সময় প্রস্তুত থাকে। যখন দলকে একটি গোল বা সহায়তার প্রয়োজন হয়, সে সব সময় সেখানে থাকে এবং একটি ভালো উদাহরণ সেট করে।”
ফের্নান্দেজের গুণাবলী এই ৩৯ বছর বয়সী পর্তুগিজ ম্যানেজার স্কোয়াডের বর্তমান এবং সম্ভবত গ্রীষ্মে দলে টানার লক্ষ্যে থাকা ফুটবলারদের উদ্দেশ্য করে বলেছেন, “যে কোনও কোচই যখন খেলোয়াড় আনতে চান, সেরা প্রত্যাশা করেন। আমি যা বলতে পারি তা হলো, আমাদের আরও ব্রুনোর প্রয়োজন, কেবল তার মতো চরিত্র নয়। তার মতো ম্যাচ উপলব্ধি করার ক্ষমতা এবং বল নিয়ে দক্ষতা দেখানোর ক্ষমতাও থাকতে হবে।”
এই ম্যাচ ড্র করার ফ লে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা দৌড় থেকে এক প্রকার বের হয়ে গেল আর্সেনাল। ২৯ ম্যাচে ৭০ পয়েন্ট নিয়ে সবার শীর্ষে লিভারপুল। এক ম্যাচ কম খেলে, ২৮ ম্যাচে আর্সেনালের পয়েন্ট ৫৫। লিভারপুলের সঙ্গে ব্যবধান তাদের এখন ১৫ পয়েন্টের।
অন্যদিকে স্মরণকালের সবচেয়ে বাজে পারফরম্যান্স করা ম্যানইউ যেন কোনোমতে অবনমন এলাকা থেকে দূরে থাকতে পারলে বাঁচে। ২৮ ম্যাচে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে দলটি এখন অবস্থান করছে ১৪তম স্থানে।
ঢাকা/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত ও নিউ জিল্যান্ডের সামগ্রিক পারফরম্যান্
দেখতে দেখতে শেষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ২০২৫। আর মাত্র একটি ম্যাচ। এরপরই পর্দা নামবে মিনি বিশ্বকাপ খ্যাত এই টুর্নামেন্টের। আজ রোববার (০৮ মার্চ, ২০২৫) বিকেলে শিরোপা নির্ধারণী ফাইনালে মুখোমুখি হবে ভারত ও নিউ জিল্যান্ড। তার আগে চলুন দেখে নেওয়া যাক চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত ও নিউ জিল্যান্ডের সামগ্রিক পারফরম্যান্স কেমন।
:: ভারতের রেকর্ড ::
আইসিসি নকআউট ট্রফি-২০০০:
পারফরম্যান্স: রানার্স-আপ। ভারত ফাইনালে পৌঁছালেও দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরে শিরোপা হাতছাড়া হয়।
আরো পড়ুন:
ভারতীয় ড্রেসিংরুমে রোহিতের অবসর নিয়ে ‘আলোচনা নেই’
নিউ জিল্যান্ডের প্রেরণা নাইরোবির স্মৃতি
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি-২০০২:
পারফরম্যান্স: যৌথ চ্যাম্পিয়ন (শ্রীলঙ্কার সঙ্গে)। ফাইনাল ম্যাচ বৃষ্টির কারণে বাতিল হয় এবং ভারত ও শ্রীলঙ্কাকে যৌথ চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়।
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি-২০০৪:
পারফরম্যান্স: গ্রুপপর্ব থেকে বিদায় (নকআউট পর্বে পৌঁছাতে ব্যর্থ)।
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি-২০০৬:
পারফরম্যান্স: গ্রুপপর্ব থেকে বিদায় (নকআউট পর্বে পৌঁছাতে ব্যর্থ)।
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি-২০১৩:
পারফরম্যান্স: চ্যাম্পিয়ন। ফাইনালে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে শিরোপা জিতে নেয় ভারত। সেমিফাইনালে ভারত শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ফাইনালে আসে।
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি-২০১৭:
পারফরম্যান্স: রানার-আপ। ভারত ফাইনালে পৌঁছালেও পাকিস্তানের কাছে পরাজিত হয়।
:: নিউ জিল্যান্ডের রেকর্ড ::
আইসিসি নকআউট ট্রফি-২০০০:
পারফরম্যান্স: ফাইনাল এবং চ্যাম্পিয়ন। ভারতকে হারিয়ে প্রথমবার শিরোপা জিতে নেয় নিউ জিল্যান্ড।
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি-২০০২:
পারফরম্যান্স: গ্রুপপর্ব থেকে বিদায় (নকআউট পর্বে পৌঁছাতে ব্যর্থ)।
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি-২০০৪:
পারফরম্যান্স: সেমিফাইনাল। সেমিফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরে ফাইনালে যেতে ব্যর্থ হয় নিউ জিল্যান্ড।
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি-২০০৬:
পারফরম্যান্স: রানার-আপ। নিউ জিল্যান্ড ফাইনালে পৌঁছালেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরে শিরোপা হাতছাড়া হয়।
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি-২০১৩:
পারফরম্যান্স: গ্রুপপর্ব থেকে বিদায় (নকআউট পর্বে পৌঁছাতে ব্যর্থ)
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি-২০১৭:
পারফরম্যান্স: সেমিফাইনাল। সেমিফাইনালে পাকিস্তানের কাছে হেরে ফাইনালে যেতে ব্যর্থ হয়।
সারসংক্ষেপ:
ভারত একাধিকবার আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির নকআউট পর্বে পৌঁছেছে এবং ২০১৩ সালে একবার শিরোপা জিতেছে।
নিউ জিল্যান্ডও একাধিকবার নকআউট পর্বে খেলেছে, তবে তারা কখনও ট্রফি জিততে পারেনি। তাদের সেরা ফলাফল ছিল ২০০৬ সালে রানার-আপ হওয়া এবং বিভিন্ন আসরে সেমিফাইনাল খেলা। উল্লেখ্য, ২০০০ সালে তারা ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল। তবে তখন এটার নাম ছিল আইসিসি নকআউট ট্রফি।
ঢাকা/আমিনুল/নাভিদ