স্কয়ার ফার্মার ১৫ লাখ শেয়ার কিনেছেন অঞ্জন চৌধুরী
Published: 10th, March 2025 GMT
স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী বাজারমূল্যে কোম্পানির ১৫ লাখ শেয়ার কিনেছেন। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি তিনি এই শেয়ার কেনার ঘোষণা দেন। এরপর আজ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে দেওয়া ঘোষণায় জানানো হয়েছে, এই ১৫ লাখ শেয়ার কেনা সম্পন্ন হয়েছে।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি এই ঘোষণা দেওয়ার পর শেয়ারবাজারে স্কয়ার ফার্মার প্রতিটি শেয়ারের বাজারমূল্য ছিল ২১৫ টাকা। সেই হিসাবে ১৫ লাখ শেয়ারের বাজারমূল্য দাঁড়ায় প্রায় ৩২ কোটি ২৫ লাখ টাকা। ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে তাঁর এই শেয়ার কেনার কথা। ঠিক কত দামে এই শেয়ার তিনি কিনেছেন, তা জানা যায়নি।
স্কয়ার ফার্মা দেশের শীর্ষস্থানীয় ওষুধ কোম্পানি। প্রয়াত স্যামসন এইচ চৌধুরী ও তাঁর কয়েকজন বন্ধু মিলে কোম্পানিটি গড়ে তোলেন। বর্তমানে কোম্পানিটি পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন স্যামসন এইচ চৌধুরীর চার ছেলে-মেয়ে।
সর্বশেষ গত অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস ৬৬০ কোটি টাকা মুনাফা করেছে। তার আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কোম্পানিটির মুনাফা বেড়েছে ১৩৫ কোটি টাকা বা ২৬ শতাংশ। গত অক্টোবর-ডিসেম্বরে কোম্পানিটির আয় বা ব্যবসায় প্রায় ১৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এ সময় কোম্পানিটি ১ হাজার ৯৯৭ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে। ২০২৩ সালের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৭৭৪ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির ব্যবসা বেড়েছে ২২৩ কোটি টাকার।
অতীতেও দেখা গেছে, যখনই বাজারে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম কমে যায়, তখনই বাজার থেকে কোম্পানিটির শেয়ার কেনার উদ্যোগ নেন পরিচালকেরা। এবারও একই উদ্দেশ্যে এক পরিচালক শেয়ার কেনার ঘোষণা দিয়েছেন বলে কোম্পানি সূত্রে জানা যায়।
আগের প্রান্তিকে ভালো মুনাফা করলেও স্কয়ার ফার্মার শেয়ারের দাম তেমন একটা বাড়ছে না। এমনকি আজ এই শেয়ার কেনার ঘোষণা আসার পরও শেয়ারের দাম বাড়েনি। গত এক মাসে এই কোম্পানির শেয়ারের সর্বনিম্ন দাম ছিল ২১৪ টাকা এবং সর্বোচ্চ দাম ছিল ২১৭ টাকা। এ অবস্থায় কোম্পানিটির উল্লেখযোগ্য পরিমাণ শেয়ার কিনলেন পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ১৫ ল খ শ য় র এই শ য় র
এছাড়াও পড়ুন:
তারেক রহমানের নির্দেশনায় ‘জাতীয়তাবাদী চালক দলের’ জুয়েল ও তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে মামলা
‘অবৈধ অস্ত্র ও ছাত্র-জনতার হত্যাকারীরা’ লুকিয়ে আছে—এমন কথা রটিয়ে ‘মব’ সৃষ্টি করে ঢাকার গুলশানে একটি বাড়ি লুট করতে যাওয়া কথিত ‘জাতীয়তাবাদী চালক দল’-এর সাধারণ সম্পাদক জুয়েল খন্দকার ও তাঁর ছেলে শাকিল খন্দকারের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইলতুৎমিশ সওদাগর বাদী হয়ে আজ সোমবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে এই মামলা করেন। আইনজীবী ইলতুৎমিশ সওদাগর জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসম্পাদক। আদালত মামলাটি এজাহার হিসেবে রেকর্ড করার জন্য গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল। তিনি বলেন, অবৈধ অস্ত্র ও ছাত্র-জনতার হত্যাকারীরা’ লুকিয়ে আছে—এমন কথা রটিয়ে ‘মব’ সৃষ্টি করে ৪ মার্চ ঢাকার গুলশানে সাবেক সংসদ সদস্য তানভীর ইমামের সাবেক স্ত্রীর বাসা লুট করার বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নজরে আসে। তিনি কথিত ভুয়া ‘জাতীয়তাবাদী চালক দল’-এর সাধারণ সম্পাদক জুয়েল খন্দকারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী আজ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফরমের একজন আইনজীবী মামলা করেছেন।
কায়সার কামাল আরও বলেন, ভবিষ্যতে যারা বিএনপির নাম ভাঙিয়ে ভুয়া সংগঠন কিংবা দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করবে, তাদের বিরুদ্ধেও একই রকমের আইনগত ব্যবস্থা নেবে বিএনপি।
মামলায় অভিযোগ আনা হয়েছে, আসামি জুয়েল খন্দকার ও শাকিল খন্দকাররা জালিয়াতির মাধ্যমে কথিত জাতীয়তাবাদী চালক দল নামে ভুয়া সংগঠন তৈরি করেন। একই সঙ্গে তাঁরা ‘অবৈধ অস্ত্র ও ছাত্র-জনতার হত্যাকারীরা’ লুকিয়ে আছে—এমন কথা রটিয়ে ‘মব’ সৃষ্টি করে ৪ মার্চ ঢাকার গুলশানে সাবেক সংসদ সদস্য তানভীর ইমামের সাবেক স্ত্রীর বাসা লুট করেন। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের বিএনপির নীতিনির্ধারণী ফোরামের নজরে আসে।
প্রথম আলো অনলাইনে ‘জাতীয়তাবাদী চালক দল কীভাবে এল, নেতা কারা’ শিরোনামে ৯ মার্চ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তাতে বলা হয়, ‘অবৈধ অস্ত্র ও ছাত্র-জনতার হত্যাকারীরা’ লুকিয়ে আছে—এমন কথা রটিয়ে ‘মব’ সৃষ্টি করে ঢাকার গুলশানে একটি বাড়ি লুট করতে যায় একদল লোক। ৪ মার্চ মধ্যরাতে এ ঘটনার নেতৃত্বে ছিলেন জুয়েল খন্দকার নামের এক ব্যক্তি, যিনি নিজেকে ‘জাতীয়তাবাদী চালক দল’-এর সাধারণ সম্পাদক বলে পরিচয় দেন।
আরও পড়ুনজাতীয়তাবাদী চালক দল কীভাবে এল, নেতা কারা০৯ মার্চ ২০২৫গুলশানে বাড়ি লুটের ঘটনায় জুয়েল খন্দকার, তাঁর ছেলে শাকিল আহমেদসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এরপর জুয়েলকে জাতীয়তাবাদী চালক দলের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলেও জানান সংগঠনের সভাপতি জসিম উদ্দিন।